নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নজরুল ইসলাম টিপু

নজরুল ইসলাম টিপু

আমি একজন বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। আমি চাই আমার দেশটি সুনাম ও সুখ্যাতি সহকারে দুনিয়ার বুকে গর্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে উঠুক। আমার দেশের প্রতিটি যুবক আলস্য ও হিনমন্যতা ঝেড়ে সকল কাজে দুই হাতকে কাজে লাগাতে শিখুক। আমিও সে সব যুবকের একজন হতে চাই, যারা নিজের কর্ম ও উদ্দীপনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় চেতনাকে সজাগ করতে সদা ব্যস্ত। আমি আমার দেশকে ভালবাসি হৃদয়ের সমস্ত শক্তি উজাড় করে।

নজরুল ইসলাম টিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবাকে দিয়েই প্রথম যাদু-মন্ত্রের সফলতা যাচাই! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-১০ (রোমাঞ্চকর কাহিনী)

১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২২

পীতাম্বর শাহ! নিশ্চয়ই এই নাম ভুলে যান নাই। আমি জানিনা এই ব্যক্তি কে ছিলেন এবং এই নামের অর্থই বা কি? চট্টগ্রাম শহরে সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই তিনি এবং তার বংশধর একচেটিয়া ব্যবসা করে চলছেন। তাদের পৈত্রিক বাড়ী ভারতে। ট্রাকে ট্রাকে ভারত থেকে মালামাল আসে আর এসব দেদার বিক্রি হয়। হেন জিনিষ নাই, যা এই দোকানে পাওয়া যায় না। শোধন করা পারদ, লোহা জারণ, রূপা জারণ, মৃগ নাভি, কস্তূরী, রাজা-রাণী লতার গোটা, মুনামুনী লতার বোঁটা, রাজমোহিনী দানা, বাঘের দুধের ছানা, উলট কম্বলের মূল, শতমূলীর শিকড়, যৈত্রিকের ছাল, দেবদারুর শাঁস, সোনা তোলার পাতা, রূপা তোলার কাণ্ড, চিতায় পোড়ানো বাঁশ, অমাবস্যায় মৃতের কাফনের কাপড়, জন্মান্ধের লাটি, শ্মশানের ঘটি, বারবনিতার ঘরের মাটি, ঘটি চালান দেবার বাটি ইত্যাদি। এসব উপাদান সত্যাসত্য যাচাইয়ের সুযোগ নাই, কেউ যাচাই করেও না। যার দরকার শতভাগ বিশ্বাসের সহিত দরদাম ব্যতীত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও তাবিজ, যাদু, টোনা, মন্ত্রের জন্য ব্যবহৃত সকল প্রকার উপাদান তাদের কাছে রক্ষিত আছে। আমি এই দোকানের সন্ধান পেয়ে পুলকিত হলাম এবং তাদের বিরাটকায় দোকানটির জিনিষ পত্র দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুরে দেখার সুযোগ হল। দুই ঘণ্টা দাড়িয়ে অবলোকন করলাম কত বিচিত্র ধরনের কাষ্টমার তাদের দোকানে আসা যাওয়া করছে!



যাই হোক বাড়ীতে এনে বইগুলো সব যথারীতি পড়া হল। কেউ সন্দেহ করেনি কেননা আমার এমনিতেই বই পড়ার বাতিক ছিল। সন্তান হবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন বইতে অনেক গুলো তাবিজের নকশা আঁকা আছে এবং ব্যবহার বিধি ও নিয়ম পদ্ধতি বলা আছে। কৌতূহল বেড়ে গেল। এই প্রবন্ধ লিখার শুরুতেই বলেছি, বিভিন্ন বৈদ্যের কিছু পুরানো বই আমার সংগ্রহে আগেই চলে এসেছিল। সে গুলো পড়েছিলাম, তখন মাথা মুণ্ডু কিছুই বুঝিনি। কেননা সেসব বইয়ে এমন কিছু জিনিষের নাম লিখা ছিল যার সাথে আমার কোন পরিচয় ছিলনা। পীতাম্বর শাহের দোকান পরিদর্শনের পর আমার কাছে দিনের মত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, এই বইয়ে যত উপাদানের কথা বলা হয়েছে তার বেশ কিছু সেই দোকানে দেখেছি, সুতরাং বাকীগুলোও সেখানে পাওয়া যাবে। বাজারের তাবিজের বইয়ে, মানুষের ক্ষতি করা যায় এমন তাবিজের উল্লেখ নাই। তবে সংগৃহীত এসব বইয়ে মানুষের খারাপ কিছু ঘটানোর ব্যাপারে বহু তাবিজ, কবজ, মন্ত্র, যাদুর নকশা ও উপাদানের বর্ণনা আছে। খারাপ কাজের জন্য বিখ্যাত শাস্ত্রের নাম ‘রাজমোহিনী বিদ্যা’। এখানে তাবিজ গুলো বার্মা ও পার্লি ভাষায় অঙ্কিত যার অর্থ বোধগম্য নয়। তবে বৈদ্যরা নিজে বুঝার জন্য হাতের কলমে বাংলায় কিছু ব্যাখা ও বর্ণনা লিখেছেন। এতটুকুই আমার জন্য যথেষ্ট ছিল। সব বই গুলো একে একে গিলে ফেললাম।



মন্ত্র ও মন্ত্রের কার্যকারিতার উপর লিখিত বিভিন্ন ধরনের বক্তব্যগুলো পড়ে নিলাম। কাউকে বাণ মারা, কারো মেয়ের বিয়েটা বন্ধ করে দেওয়া, কাউকে অসুস্থ করে রাখা, সবগুলো এইধরনের বর্ণনাতে ভরপুর। বিভিন্ন ধরনের চালানের মন্ত্র আছে, বাটি চালান, লাটি চালান, আতশি চালান ইত্যাদি। চোরাই জিনিষ উদ্ধার করতে বাটি চালান, চোর ধরতে লাটি চালান, কে কোথায় হারিয়ে গেছে তা জানতে আতশি চালান। রাজমোহিনী বিদ্যায় কারো ক্ষতি কিংবা কাউকে আকর্ষণ করতে চাইলে, সেই ব্যক্তির চুল, নখ, ব্যবহৃত কাপড়ের সুতা ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। ভারতীয় উপমহাদেশ তান্ত্রিকদের স্বর্গরাজ্য, একজন সঠিক তান্ত্রিক সৃষ্টি হলে, তার সাথে কমপক্ষে বিশ জন ভণ্ড তান্ত্রিক সৃষ্টি হবে। যেহেতু তান্ত্রিক হবার জন্য কোন স্কুলে লেখাপড়া লাগেনা, সার্টিফিকেটও নাই, শুধু দাবী করলেই চলে। হাতের কৌশলের সাহায্যে দুই একটি ম্যাজিক দেখিয়েও অনেকে নিজেকে তান্ত্রিক দাবী করে। কেননা মানুষ তান্ত্রিক বলে তাকেই মনে করে, যার কাছে ব্যখা যোগ্য নয় এমন কিছু কাজের উপস্থিতি আছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সহজ-সরল মানুষকে ধোঁকা দেওয়া সহজ হয়। বইয়ের ভাষানুযায়ী, একজন ব্যক্তিকে পরিপূর্ণ তান্ত্রিক হতে গেলে, অনেক কিছু অর্জন করতে হয়। চৈনিক পরিব্রাজক ‘হিউ য়েং সাং’ একদা ভারতের কালিকট বন্দরে এক তান্ত্রিক সাধুর নর বলি দেবার দৃশ্য দেখতে গিয়েছিলেন! অবশেষে পরিব্রাজক নিজেই বলির জন্য নির্বাচিত হয়ে যান। অতি ক্ষীণকায় এই সাধুর প্রচণ্ড শারীরিক বলের কাছে তিনি হার মেনেছিলেন। ভাগ্যক্রমে তুফান শুরু হওয়াতে তিনি প্রাণ নিয়ে পালাতে সক্ষম হন। এই ঘটনা তিনি তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে লিখেছেন। তাই আমার প্রাপ্ত মন্ত্র-তন্ত্রের বইয়ের এসব বর্ণনা বিশ্বাস অবিশ্বাস কোনটাই করতে পারছিলাম না। তবে কৌতূহল উত্তরোত্তর বেড়েই চলছিল।



মন্ত্র-তন্ত্র পরীক্ষার জন্য একজন তুলা রাশির মানুষ দরকার। মাকে প্রশ্ন করলাম আমাদের এলাকাতে তুলা রাশির কোন মানুষ আছে নাকি? মা বললেন, কেন তোমার বাবাই তো তুলা রাশির মানুষ। আমাদের ঘরে কোত্থেকে যেন একটি তামার বড় বাটি এসে যায়, সচরাচর এগুলো হিন্দুদের বাড়ীতে থাকে। পাত্রটি বাবার হাতে দিয়ে বললাম, আব্বু এটা ধর, একটা জিনিষ দেখব। কি মনে করে কোন প্রশ্ন না করে বাবা সেটা ধরে বসলেন। আমার একটা হবি ছিল, এটা ওটা মিশিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। সম্ভবত বাবা নতুন কোন পরীক্ষা করছি ভেবে বাটি হাতে ধরেছিলেন। যাক সেটা আরেকটা ভিন্ন অধ্যায়। বাটি বাবার হাতে তুলে, মনে মনে বাটি চালানের মন্ত্র আওড়াতে শুরু করলাম। দেখলাম পুরো বাটি বাবার হাতের মধ্যে সেঁটে গেল। তিনি ভয়ঙ্কর ভাবে কাঁপছেন। প্রচণ্ড গতিতে দরজায় আঘাত হানলেন. দরজা ভাঙ্গতে চাচ্ছেন। আমি ভয়ে কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়লাম। আতঙ্কে মাকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার দিলাম। তিনি হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে দেখলেন, বাবার হাতে পিতলের বাটি। আমাকে হুঙ্কার দিয়ে বলল তুমি কি করেছ! তাড়াতাড়ি হাত থেকে বাটিটা কেড়ে নাও। আমি ও মা প্রচণ্ড ধস্তাধস্তি করে বাবার হাত থেকে বাটি টা কেড়ে নিলাম। বাবা জ্ঞান হারালেন! আমি কান্নায় বুক ভাসিয়ে ফেললাম। নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল, কি করলাম, আর মুহূর্তের মধ্যে কি ঘটনাই না ঘটে গেল। বাবা সুস্থ হবার পর মা-বাবার হালকা তর্কা-তর্কীর মাঝে শুনতে পেলাম। মা বলছেন, ‘এই বাটি নিয়ে তুমি তৃতীয়বার এই ঘটনা ঘটালে, তোমাকে বলেছিলাম এই বাটি দূরে কোথাও ফেলে দিয়ে আস। কোন পাপের কারণে আবদুল কাদেরের সাথে পরিচয় হয়েছিল বুঝলাম না’। বুঝতে পারলাম এই বাটি আবদুল কাদেরই ঘরে ঢুকিয়েছিল এবং আজকের মত কাণ্ড অতীতে আরো দুবার ঘটেছিল। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, পরিণাম সম্পর্কে ধারনা না থাকা পর্যন্ত আর কোন মন্ত্র প্র্যাকটিস করব না। এই বিষয়টি আজো সমাধা হয়নি, সেটা কি বাটির দোষ ছিল, না আমার মন্ত্রের গুন ছিল, তবে মা কোনদিন এই ব্যাপারে কথা তুলেন নি। আজ অনুভব করছি, এটা নিয়ে কোন একদিন প্রবন্ধ লিখব, আগে থেকে যদি জানা থাকত, তাহলে মাকে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারতাম, রহস্যটা কি ছিল!



আগের পর্ব: যে ভাবীর কারণে আমি হলাম বালক পীর! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-৯ পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: চমৎকার :)

+ সহ প্রিয়তে

১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: চলুক +++

১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

মদন বলেছেন: চলুক

১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: সাথে থাকার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

খাটাস বলেছেন: এইটা কি গল্প নাকি সত্যি? B:-)
পড়ে মজা পেয়েছি।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: এটি একটি গল্পের মত সত্য ঘটনা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

নির্বাক রূপক বলেছেন: ভালো লিখেছেন তবে সমাপ্তিটা একদম হঠাতই থেমে গেল মনে হলো অনেকটা ছোট গল্পের মত। মনে হয় আরো কিছু বাকী আছে।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: এটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হচ্ছ, সামনে আরো বহু ঘটনা অপেক্ষা করছে। ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩১

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ভালো শুরু করেছেন ভাই , পরে ভালো লাগছে

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: চমতকার +++
চলুক...........

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: এর আগেও পড়েছিলাম।ভালো লাগছে, চলুক!

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: ধারাবাহিক পাঠক হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন!

৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

রাজিব বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন। অনেকেই তুক-তাক, তাবিজ কবজ ইত্যাদিতে মারাত্বক বিশ্বাস করেন এই ঢাকা শহরেই অনেক শিক্ষিত লোক আছেন যারা এসব নিজেরা করেন অন্যদের দিয়ে করান।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: যেসব শিক্ষিত মানুষ নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগায় না, বুদ্ধি দিয়ে বিচার বিবেচনা করেনা, তারাই এটা করে থাকে। অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

nurul amin বলেছেন: nice

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: গতকাল শুরু করলাম আর আজকে শেষ করলাম। চালিয়ে যাবেন আশা করি।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১১

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: কৌতুহলী ও আন্তরিক, ধারাবাহিকতায় ইচ্ছুক পাঠক হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

১২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:১৫

বাঙ্গাল অ্যানোনিমাস বলেছেন: ালো লেখসেন ভাইয়া।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১২

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

রুমমা বলেছেন: তুলা রাশির ব্যপারটা আমি াগেও শুনেছি কিনতু বিশ্বাস করতে পারছিলামনা ।সেইম ঘহটনা দুই বার শোনায় অবাক লাগছে।তাহলে কি আসলেই তুলা রাশির জাতক জাতিকা এইসব মন্র টন্রতে বেশি টানে!!!!!!

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: নিজের অভিব্যক্তি যোগ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাপরে !!!! বাপের উপ্রে প‌্যাক্টিস!!!! =p~ =p~ =p~

তবে আমিও আগে বিশ্বাস করতাম না!!!

চানখার পুলে বিখ্যাত চোর ধরার সাধুর কাছে একবার গিয়েছিলাম ;) পরে.. আলাপে আলাপে আমার অবিশ্বাস দেখে তিনি বল্লেন- দুই হাত একসাতৈ মেলাতে। মেলালাম.. কি মন্ত্র পড়ে ফু দিয়ে তিনবার টোকা দিলেন!

আমাকে বললেন হাতের জোড় খোলেন!!

আমি স্বাভাবিক ভাবেই হাত মেলতে গেলাম!! :-B

ওমা! একেবারে সিলগালা :-/

আবারও জোর করে, এটাকে মনের বিভ্রম ভেবে আরও জোরে হাতকে পৃথক করতে চাইলাম!
রীতিমতো জোরাজুরি করতে গিয়ে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছি.. সাধু আমাকে হাত দিয়ে আটকালেন!

আবার কি মন্ত্র পরলেন। তিনবার টোকা দিলেন। বল্লেন এইবার খোলেন!

স্বাভাবিক দুইহাত পৃথক হয়ে গেল!!!!

টাশকিত হয়ে গেলাম। পড়ে তার কাছে কিছূ শিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নানা ভ্যস্তার মাঝে আরেকবার খবর নিতে গিয়ে দেখি তিনি ভবলোক ত্যাগ করেচেন!!!

আর শিখা হইল না :P

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: আমার এই ব্লগে আপনার নিজের ঘটনা যোগ করে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। নতুন হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন।

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

আজীব ০০৭ বলেছেন: চলুক..............+++

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: প্রতিটি পর্ব পড়ছি, ভাল্লাগছে.......

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১২

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অপেক্ষায় থাকুন অচিরেই দেখা হবে এবং ভাল থাকুন।

১৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

মহাসাধক বলেছেন: পিতাম্বর শাহ এর বংশধরেরা এখন ঢাকায় থাকে। ওয়ারীতে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: বাহ! আমার যুতসই পাঠক পেলাম! আপনাকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.