নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নজরুল ইসলাম টিপু

নজরুল ইসলাম টিপু

আমি একজন বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। আমি চাই আমার দেশটি সুনাম ও সুখ্যাতি সহকারে দুনিয়ার বুকে গর্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে উঠুক। আমার দেশের প্রতিটি যুবক আলস্য ও হিনমন্যতা ঝেড়ে সকল কাজে দুই হাতকে কাজে লাগাতে শিখুক। আমিও সে সব যুবকের একজন হতে চাই, যারা নিজের কর্ম ও উদ্দীপনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় চেতনাকে সজাগ করতে সদা ব্যস্ত। আমি আমার দেশকে ভালবাসি হৃদয়ের সমস্ত শক্তি উজাড় করে।

নজরুল ইসলাম টিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক জ্বিনের সাক্ষাৎকার! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-১২ (রোমাঞ্চকর কাহিনী)

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০১

জ্বিনের সাক্ষাৎকার শুনে হয়ত জ্বিনের ছবি আছে কিনা অনেকেই ভাবতে পারেন। তাই জ্বিন সম্পর্কে একটু হালকা ধারনা থাকলে ব্যাপারটি বুঝতে সুবিধা হবে। জ্বিনকে সৃষ্টি করা হয়েছে আগুনের ‘লু’ অংশ থেকে। তারা আগুনের সৃষ্টি হলেও দুনিয়া জ্বালাতে পারে এমন প্রকৃতির আগুন নয়, তবে এই আগুন মানুষের ইচ্ছা শক্তি দখল করে, তার মনকে জালিয়ে দিতে পারে। তাদের যেহেতু মাটির তৈরি জিহ্বা নাই তাই তাদের তাদের কথার আওয়াজ মানুষ শুনতে পায়না। তাদের যেহেতু মাটির তৈরি শরীর নাই, তাই চর্মচোখে তাদের দেখা যায় না কিংবা তাদের হাঁটার শব্দ মানুষ শুনে না। মানুষের ইচ্ছাশক্তি দখল করে, সেই মানুষের মুখ দিয়েই জ্বিন নিজের কথা বলে, নিজের কাজ করে নেয়। সুতরাং জ্বিনকে কথা বলতে হলে কোন মানুষের সহযোগিতা নিয়েই তাকে কথা বলতে হয়। এই সাক্ষাৎকারটিও সে এধরনের একটি।



বাড়ী থেকে রাস্তা দিয়ে যাবার পথে, আগে থেকেই আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা এক মহিলা আমাকে ডাক দিল। তিনি তার পরিচয় দিলেন, আমি তাকে সহজে চিনলাম। এই মহিলার ছেলে আমারই ক্লাস মেট, ফুটবল খেলার নিত্য সঙ্গী। তিনি ভণিতা না করে অনুরোধ করলেন আজকের মধ্যেই যেন তাদের বাড়ীতে যাই। তিনি আমাকে বেশীক্ষণ আটকিয়ে রাখবেন না, তাবিজও চাইবেন না, পানি পড়াও নিবেন না। আমার কাছে কোনটাই তার প্রত্যাশা নয়, তবে তার ব্যাপারটি বুঝার জন্য আমাকে অবশ্যই তাদের বাড়ীতে যেতে হবে। পূর্ব পরিচিতির সূত্র ধরে ওনাদের বাড়ীতে গেলাম, এই বাড়ীতে বন্ধুর সাথে বহুবার এসেছি, এটা নতুন কোন ব্যাপার ছিলনা।



বাড়ীতে ঢুকতেই দেখি ঘর থেকে আমার নাম ধরে কেউ সালাম দিল, আমি উত্তর দিলাম। ঘরে ঢুকার পর মহিলা বলল তুমি ভিতরের ঘরের এই জায়গায় বস। পাশের ঘর থেকে তখনই আমাকে আবার সালাম দিল। মহিলা বললেন, এটা আমার দ্বিতীয় ছেলে, (নাম নিলাম না কেননা সে ব্যক্তি এখনও বেঁচে আছে) আমি সেই ছেলেকে খুব ভাল করে চিনি। প্রশ্ন করলাম তাকে তো অনেক দিন ধরে দেখিনি। উত্তরে মহিলা বলতে রইলেন, তার সাথে এক জ্বিন বন্ধুত্ব করেছে, তাই সে বাড়ির বাহিরে যায় না। এই কথা বাহিরে কাউকে বললে, ছেলেকে ধরে জ্বিনে মারে। আমি ছাড়া তার ঘরে ঢুকতে পারেনা, অন্যরা ঢুকতে গেলেই সজোরে গায়ের উপর কিছু ছুঁড়ে মারে। বিগত দশ দিন সে কোন খানা খায়নি, বাতাস থেকে সংগ্রহ করে কিছু একটা খায়, বর্তমানে শরীর একেবারে রুগ্ন। এই জ্বিন তার বন্ধুত্ব ছাড়তে ইচ্ছুক নয়। মা তার ছেলেকে প্রশ্ন করেছিল, জ্বিন কি চায়? তাকে সে সব দেওয়া হবে। জ্বিনটি আমাদের সাথে কথা বলতে চায়না, সেই জ্বিন শর্ত দিয়েছে যদি তুমি এসে তার সাথে কথা বল, তাহলে সে তোমার সাথে কথা বলবে ও তার দাবীর কথা জানাবে।



ছেলেকে ধরে ডাক দিলাম, সে উত্তর দিল। দীর্ঘক্ষণ ধরে অনেক প্রশ্ন করলাম, সে থেমে থেমে সে সবের উত্তর দিচ্ছিল। প্রশ্ন উত্তর হুবহু না লিখে, মুল কথাগুলো একত্র করলে জ্বিনের দাবীটি এই রকম। ‘জ্বিনের নাম হানিফ, তারা এই এলাকাতে বসবাস করে দীর্ঘ বছর ধরে। এই বাড়ির পিছনে যে দীর্ঘ স্রোতহীন পানির লেকটি বয়ে গেছে, সেখানেই তাদের আবাস। এই ছেলের বাবা-দাদা জ্বিনদের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে, সে জন্য জ্বিনের পরিবারও তাদের ক্ষতি করতে চায়। হানিফ নামের জ্বিন ছেলেটি, মানুষের এই ছেলেটিকে খুব পছন্দ করে, তাই সে তার বন্ধুত্ব ছাড়তে চায় না। সে তার কোন ক্ষতি করবে না বরং উপকার করবে, তাকে নিরাপত্তা দিবে!



এই কথায় আমি সুযোগ গ্রহণ করলাম! প্রশ্ন করলাম তুমি কোন ধরনের উপকার করবে? সে বলল, সে যখন যা জানতে চাইবে তা বলে দিবে, তার কাছে যখন যা দরকার তা এনে দিবে, তার সাথে চলাফেরা করবে, তাকে নিরাপত্তা দিবে!



তুমি যে এসব করতে পারবে সেটা আমি কিভাবে বিশ্বাস করব? প্রশ্ন করলাম। সে উত্তর দিল তাহলে আমাকে প্রশ্ন করে দেখ, আমি উপস্থিত বুদ্ধিতে, প্রশ্ন করলাম বলতো আমার বাবা এখন কি করছে? সে আবার প্রশ্ন করল, তিনি এখন কোথায়? আমি বললাম আমাদের খামার বাড়ীতে। মুহূর্তেই উত্তর দিল, তিনি এখন ছোট্ট একটি ঘরের ভিতরে চৌকিতে শুয়ে বই দেখছে! বললাম, কিভাবে বিশ্বাস করব? সে বলল পরবর্তী সকালে ভোরে তোমাদের বাগান থেকে তোমার জন্য পেয়ারা পাঠানো হবে। পেয়ারা পাঠানোর জন্য সময় কেন নিল বুঝলাম না। আমি আবার বললাম, আরেক টি প্রশ্ন, সে এবার বেঁকে বসল। বলল আমি কোন পরীক্ষা দিতে রাজি নই। তারপরও ধরলাম, সে বলল ঠিক আছে এটাই শেষ! চিন্তা করছি কি প্রশ্ন করব তাছাড়া একটাই তো শেষ সুযোগ। হঠাৎ বুদ্ধি আসল, দুইদিন পরেই আমাদের স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা। তাবিজ পানি পড়া নিয়ে যা হয়েছে তাতে পরীক্ষায় নির্ঘাত খারাপ করব। তাই তাকে বললাম, আমাদের স্কুলের আলমারিতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আছে, তুমি আমার ক্লাসের প্রতিটি বিষয়ের একটি করে প্রশ্ন নিয়ে আস। সে বলল, দেখে আসি। মুহূতেই উত্তর আসল, স্কুলে একটিই আলমারি আছে, তাতে অনেকগুলো কাগজ আছে, তবে বের করার কোন রাস্তা নাই। সে নিজে চাবি ঢুকাবার ছিদ্র দিয়ে ঢুকেছে এবং বেরও হয়েছে কিন্তু সেই ছিদ্র দিয়ে তো কোন কাগজ বের করতে পারবেনা! আমি বুঝতে পারলাম তাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।



জ্বিন হানিফই বলল, তুমি তার মাকে বুঝিয়ে বল, আমি কোন ক্ষতি করব না। আমার দ্বারা তার লাভ হবে উপকার হবে। তারা চাইলে আমি চিরদিন থাকব, না চাইলে তিন মাস বন্ধুত্ব করে চলে যাব, তার বয়স যখন ২৭ বছর হবে তখন আবার ফিরে আসব।



প্রশ্ন করলাম, তুমি তো সব কথা বলেই দিচ্ছ, তাহলে আমাকে ডেকেছ কেন?



উত্তর দিল, আমি এখানে আছি বলে ঘরের সবাই ভয় পায়, চিৎকার করে। আমি চিৎকার করতে মানা করি, ভয় পেতে নিষেধ করি কিন্তু তারপরও তারা তা করে থাকে। তুমি যেহেতু এসব জান, তাই তোমার নাম বলেছি, যাতে করে এদের বুঝাতে পার!



ছেলের মাকে বললাম, আপনি তো শুনছেন কি বলছে এখন আপনিই বলুন। ইতিপূর্বে জ্বিনের সাথে যখন কথাবার্তা হচ্ছিল, তখন মা বারবার বলছিল, কোন কথা নাই, আমার ছেলেকে ছেড়ে চলে যাও। তোমাদের সাথে আমাদের বন্ধুত্বের দরকার নাই। তুমি কিছু চাইলে দিয়ে দিব, তুমি অনুগ্রহ করে আজই বিদায় হও ইত্যাদি....



এই পর্যায়ে এসে মনে হল, মায়ের মতি গতিতে পরিবর্তন এসেছ! আমি ছেলের মাকে প্রশ্ন করলাম ধমক দিব কিনা? তিনি হঠাৎ বলে বসলেন ধমকের দরকার নাই, দুটো দিন চিন্তা করে দেখি, আজ আর নয়। আমি তো তাজ্জব! চিন্তা করে কুল কিনারা পেলাম না, মা হঠাৎ করে কেন উল্টা বাঁকে মোড় নিলেন। প্রশ্ন করলাম আমি কি তাহলে যেতে পারি? তিনি চলে যেতে অনুমতি দিলেন! আশ্চর্য হলাম এবং আমি বাড়ী ত্যাগ করলাম।



পরদিন প্রত্যুষে অনেক গুলো পেয়রা নিয়ে একটি ছোট ছেলে আমাদের বাড়িতে হাজির! এসব আমাদের বাগানের তাজা পেয়ারা! তখন পেয়ারার মৌসুম ছিলনা, তবে আমাদের বাগানে এমন তিনটি গাছ ছিল, যেগুলোতে সারা বছর পেয়ারা ধরত। আমি গাছের সেই পেয়ারার বর্ণ, আকার, গন্ধ সব কিছু চিনি ও জানি। তাছাড়া বাগানটি তিন মাইল দূরে, এত স্বল্প সময়ে কেউ সেখানে গিয়ে চুরি করে পুনরায় আসা সম্ভব নয়!



বহুদিন পরে বিদেশ থেকে দেশে গেলাম, একদা শহরে প্যান্টের পকেটে ডান হাত ঢুকানো অবস্থায় আমার এক পরিচিত ব্যক্তির দেখা পেলাম। তিনি বাম হাত বাড়িয়ে আমার সাথে হ্যান্ডশেক করলেন! প্রশ্ন করলাম তোমার ডান হাতে কি হল? সে হাত খানা দেখিয়ে কেঁদে উঠল, কবজির উপর থেকে হাত খানা নাই। প্রশ্ন করলাম কি ব্যাপার, সে সংক্ষিপ্ত উত্তরে বলল, আমার মুরুব্বীদের লোভের খেসারত! আপনি যে জ্বিন কে আমার বন্ধু হিসেবে রেখে এসেছিলেন, সে জ্বিনকে দিয়ে আমার মুরুব্বীরা অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করছিল। মানুষের গলার হাঁর, সোনা দানা হারিয়ে যেত, যার বেশীর ভাগ আমার ঘরে পাওয়া যেত। একদা কিছু মানুষ আমাকে একাকী নির্জন স্থানে পেয়ে যায়, সে দিন সুযোগে পেয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে আমার হাত খানা দ্বিখণ্ডিত করে ফেলে। ভাগ্যিস তারা আমাকে জানে মারে নি! আপনি দয়া করে কোনদিন আমার কাছে আসবেন না, আর কোন প্রশ্ন করবেন না। কেননা আপনিই সেই ব্যক্তি, যে আমার সম্পর্কে এমন অনেক কিছু জানে যা অন্য দশ জন জানেনা অর্থাৎ উপরে বর্ণিত ঘটনা গুলো।



গ্রামের বাড়ীতে এসব জানতে কয়েক জনকে প্রশ্ন করেছিলাম। একেক জন একেক ধরনের বক্তব্য রাখল, কারো সাথে কারো কথা বা ঘটনার মিল নাই। পুলিশে কেস ও হয়েছিল তারও কোন হদিস নাই। তবে আমি তো বুঝতে পেরেছিলাম, তথ্য জানার সুযোগটাই হয়ত তাকে লোভাতুর করে ফেলেছিল এবং সুযোগও হাতছাড়া করতে ছাড়ে নি। পরিণামে যা হবার তাতো তার মুখেই শুনতে পেলাম!



পুনশ্চ:

অনেক পাঠক উল্লেখ করেছেন যে, তারা জ্বিনকে বিশ্বাস করেনা! আমি নিজে জ্বিন বিশ্বাস করি, কেননা কোরআনে জ্বিন জাতি সৃষ্টি সম্পর্কে পরিষ্কার বর্ণনা আছে, আর জ্বিন করি বলেই আজকের এই লম্বা রচনা। আমি প্রশ্ন কারী সে সব বন্ধুদের উত্তরের পিছনে ঘুরতে থাকলে সময় নষ্ট হবে প্রচুর। তাই অযথা প্রশ্নবাণ এড়াতে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আজকের প্রবন্ধের সাথে যোগ করতে চাই। যাতে করে তাদের উত্তর না দিয়ে এই ঘটনাটি দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করতে পারি।



চতুর্দশ শতাব্দীতে রাজা মুকুট রায়ের রাজধানী ছিল ব্রাহ্মণ নগর। যশোর থেকে বেনাপোলের পথে ১১ কিলোমিটারে সেই ঐতিহাসিক জনপদের বর্তমান নাম ‘লাউজানি’। ব্রাহ্মণ নগরের যে স্থানে রাজপ্রাসাদ ছিল, তার বর্তমান নাম গাজীর দরগাহ। ২০০৭ সালে এখানের একটি জমিতে কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটির অর্থানুকূল্যে আমাল কুয়েত বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানা স্থাপন করা হয়। ২০ কক্ষবিশিষ্ট দোতলা এই মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রথম তলায় ক্লাসরুম এবং দ্বিতীয় তলা আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই মাদ্রাসাটি চালুর পর পরই একদল জিন দাবি করে, যে জমির ওপর এতিমখানা স্থাপন করা হয়েছে পুরুষানুক্রমে সেই জমির মালিক তারা। তাই এতিমখানাকে এখান থেকে সরিয়ে নিতে হবে। নতুবা তারা ক্ষতি করবে। এতিমখানা কর্তৃপক্ষ প্রথম দিকে জিনদের কথায় গুরুত্ব না দিলে আলামত হিসেবে একদিন এতিমখানা চত্বরে নতুন জাতের চার-পাঁচ শ’ সাপ জড়ো হয়, যা ইতঃপূর্বে কেউ কোনো দিন দেখেনি। পরে জিন পর্যায়ক্রমে ভর করে এতিমখানার বাসিন্দা ১৪ জন বালিকার ওপর। তারা হলো- মোবাশ্বেরা, লাবনী, শম্পা, মমতাজ, রহিমা, লাকি, আনোয়ারা, মিনা, যুঁথি, সাথী, রাবেয়া, পিংকি, তানজিরা ও খাদিজা। পেটব্যথা, মাথাধরা ইত্যাদি ধরনের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে থাকে তাদের। এক পর্যায়ে তারা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। তারা প্রায়ই খাওয়ার পর সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলত......... অনেক লম্বা কাহিনী।



এটি জিনের কারণেই হচ্ছে বলে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে গত ১০ অক্টোবর ২০০৯ যশোরের ডিসি একজন ডাক্তার, জেলা প্রশাসনের চারজন পদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে তদন্ত করেন। ওই দিনও বালিকাদের আচরণে কর্মকর্তারা হতচকিয়ে যান। এরপর এতিমখানাটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। বিষয়টি উচ্চতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার চারজন খ্যাতনামা ডাক্তার আসেন। তারা হলেন- স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. মানোয়ার হোসেন, জাতীয় মানসিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. এম রব্বানী এবং স্কয়ার হাসপাতালের দু’জন কনসালটেন্ট ডা. সরোয়ার আলম ও ডা. তৌহিদুজ্জামান। তাদের সাথে ছিলেন ধানমন্ডি পাকোয়া মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ জুলফিকার। জেলা প্রশাসনের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি কমিশনার মোঃ মহিবুল হক, এডিসি (শিক্ষা) সেফিনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান প্রমুখ।



উপস্থিতিদের মধ্যে একজন মনোবিজ্ঞানী এটাকে মাস হিষ্টিরিয়া বলে মন্তব্য করেছেন। এসব কন্যারা নিজের বাড়ীতে সুস্থ থাকে এতিম খানায় অদ্ভুত আচরণ করে, তাহলে মাস-হিষ্টিরিয়া প্রকোপ শুধু এতিম খানায় আসলেই হবে। তাছাড়া এসব বালিকাদের আচরণ মাস হিষ্টিরিয়া রোগীর মত নয়। রীতিমত পুরুষের মত গালাগালি, খিস্তি খেউর, বিভিন্ন জিনিষ ছুড়ে মারা ইত্যাদি আচরণ করে। এর প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেনি। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ এতিম খানাটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়, বালিকারা তাদের পিতামাতার কাছে সুস্থ জীবন কাটাচ্ছে।




এই ঘটনাটি তখনকার সময়ে প্রায় অনেক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আমি নিজেই অনেক সরকারী কর্মকর্তার পদবি সহ নাম উল্লেখ করেছি। আরো সুবিধার্থে তখন কার দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার তারিখ সহ কিছু শিরোনাম নিচে উল্লেখ করলাম।



'যশোরে জমি নিয়ে মানুষ-জিন বিবাদ: এতিমখানা বন্ধ'



শাহাদত হোসেন কাবিল, যশোর অফিস



দৈনিক নয়া দিগন্ত : অক্টোবর ১৩, ২০০৯



'জিনের আছর পড়া ছাত্রীরা বাড়িতে ভালো আছে: যশোর অফিস'



দৈনিক নয়া দিগন্ত : অক্টোবর ১৭, ২০০৯



‘জিনে পাওয়া’ বালিকারা ডাক্তারদের বলল, তোরা কি করতে এসেছিস? যশোর অফিস'



যশোরে জিনের আছরকৃত বালিকারা একপর্যায়ে দুর্বল হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ে।



নয়া দিগন্ত: ২৮ শে অক্টোবর ২০০৯




আগের পর্ব: জ্বীন বৈদ্য হিসেবে বিব্রতকর খ্যাতী অর্জন! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-১১ পড়তে চাইলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

হলুদ ফুল বলেছেন: আমার এসব বে বিলিভ কম । তবে লিখার ইস্টাইল ভাল লেগেছে

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওত্তেরী!!!!!! জিন মানুষে জমি নিয়া ফাইটিং!!!!
যে পত্রিকার রেফারেন্স টানলেন, সেটা নিয়া আর কিছু না বলি। তবে আপনার লেখার স্টাইল ভালো লেগেছে সুন্দর, বেশ সুন্দর!

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: এ ঘটনাটি তখন কার অনেক জাতীয় দৈনিকে ছাপিয়েছে। সরকারী কর্মকর্তাদের নাম পদবী উল্লেখ আছে। ঘটনাক্রমে এটি আমি পিসিতে সংরক্ষণ করেছিলাম বলে দিতে পেরেছি।

আপনার ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সালাম টিপুবাবা , এই অধমকে কিছু গুপ্ত জ্ঞান বিতরন করুন !!

সাথেই আছি, চলুক।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: মানুষ গুপ্ত ধনের পিছনে ঘুরে, আপনি গুপ্ত জ্ঞান চাইলেন, মতলব বুঝলাম না! ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: যার ধন প্রয়োজন ধন খুজে, যার জ্ঞান প্রয়োজন জ্ঞান, যে যার কাঙ্গাল !! :P :P

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @মুদদাকির.. গুপ্ত জ্ঞান কি আর প্রাকশ্যে দেয়া যায় ;)

গুপ্ত জ্ঞান গুপ্ত ভাবেই নিতে হয় :):):)

@ লেখক.. যারা জিনকে অবিশ্বাস করে, তারা আল্লাহর বানীকেই অস্ভীখার করে।

বাহ্য দেখা বা প্রমাণই কি সকল বিশ্বাসের চূড়ান্ত!???

আমি ২ বার প্রত্যক্ষ সাহায্য পেয়েছিলাম...। যদিও তাদের দেখা যায়নি.. একবার শুধু কন্ঠ শুনেছিলাম।

যাকগে। আমি আল্লাহতে বিশ্বাসি। তাই আল্লাহর ঘোষনা- অমা খালাকতুল জিন্না অর ইন্সা ইল্লা লিয়াবুদুন-এর উপরে কোন জ্ঞানকেই গুরুত্বপূর্ন মনে করি না।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: আপনার দৃঢ়তা মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা জীবনে অনেক কিছু না দেখেই বিশ্বাস করি। বহু শত উদাহরন দেওয়া যায়।

আমরা বাতাসকে দেখিনা কিন্তু তার প্রবল ক্ষমতা কে বিশ্বাস করি।
আমরা শব্দ তরঙ্গ অনুভব করিনা কিন্তু ভীতিকর ক্ষমতা কে বিশ্বাস করি।
আমরা চু্ম্বক শক্তি ধরতে পারিনা কিন্তু তার অস্তিত্বে ভয়ানক বিপদকে বিশ্বাস করি।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩

আজীব ০০৭ বলেছেন: চলুক................+++

২০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.