নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা ব্লগ ভালবাসি আর সুযোগ পেলেই পড়ি। অনেক কিছু লিখতে মন চায়, কিন্তু লেখার যে হাত!...চেস্টা করে যেতে হবে তবুও।

কাতিআশা

বই এর পোকা, স্কেচ এর নেশা, পেশায় স্থপতী আর বাংলাদেশের প্রতি অসীম ভালবাসা

কাতিআশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার দিনগুলো---বেকার জীবন, ছাত্র জীবনের গাথা..

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৫৩

আমেরিকায় ট্রান্সফার স্টুডেন্ট হয়ে এসেছিলাম ছাত্রাবস্থায়-- এসে পোর্টফোলিও বানানো, ইউনিভার্সিটি তে আ্যপ্লাই কত কাজ,.. দিনগুলো দ্রুত চলে যাচ্ছিল। ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবার পরে আরও ব্যস্ত হয়ে পরলাম, শুধু উইকেন্ডে ননাশের বাসায় যেতাম। প্রথম সেমেস্টার ভালভাবে যাবার পরে পুরো সামার অখন্ড অবসার! অবশ্য একটা পার্ট টাইম কাজ করতাম এক প্রফেসরের ফার্মে..সেখানে ঘন্টায় সেই সময় পেতাম ৭ ডলার!..তাতেই কি খুশি আমি..খুব সুন্দর ছিল প্রফেসরের ফার্ম কাম বাসাটা! সেই থেকেই Locust Valley শহরটা আমার প্রিয়, যেখানে প্রফেসরের ফার্ম টা ছিল..


প্রফেসর বেনটেলের ডিজাইন করা কিছু আমার প্রিয় কাজ!
একবার সেই ফার্মে কাজ করা কালিন অবস্থায় একটা দূর্ঘটনা ঘটে গেল (আমি সামার ইনটার্ন বলে মাঝে মঝে অদ্ভুত কিছু কাজও করতে হত--যেমন, মেটেরিয়াল স্যাম্পল, বইপত্র এসব বেসমেন্ট থেকে টেনে সিড়ি দিয়ে ২তলায় তুলতাম!..খুব কস্টও হত) হ্যাজব্যান্ড এর কাছে কমপ্লেইন দিলে ও বলত, --কস্ট করে এই সামারটা কাজ কর, রেজুমি/ সিভি তে দেখাতে পারবে যে, আর্কিটেক্টের ফার্মে কাজ করেছ । যা হোক, একবার সিড়ি দিয়ে নামার সময় পা ফসকে পড়ে গেলাম..কেঁদেই ফেলেছিলাম, খুব রাগ হচ্ছিল ওর উপর, রাগ করে ২ মাইল হেটে বাসায় চলে গিয়েছিলাম..ও সব এলাকায় বেশি ফুটপাত থাকেনা, কোনরকম হেটে হেটে বাসা পর্যন্ত কিভাবে গিয়েছিলাম, কে জানে! আবার এত দূর হ্বেটে আসার পরে চরম ক্লান্ত হয়ে দেখি ইলেকট্রিসিটি নেই! খুবি আনকমন একটা বাপার আমেরিকাতে এটা!..অন্ধকার আ্যপার্টমেন্টে কি যে ভয় পেয়েছিলাম সেদিন, সেই সন্ধ্যায়!..এর পরে থেকে কাজে যাওয়া বন্ধ! খুব অভিমানী ছিলাম বটে!
ষেই সামারে খুব টিভি দেখতাম..প্রায় সারাদিন! বিকালের দিকে রান্নাবান্না করতাম--দুজন মানুষের আর কত খাবার লাগে! আমার উনি বাসায় আসলে ডিনার করে আবার টিভি দেখতে বসে যেতাম--আসলে ২২ বছর আগে ফেসবুক, ফেসটাইম, বাংলা টভি চ্যানেল এসব না থাকায় খুব নিঃস্বসংগ লাগত! বাচচা কাচচাও হয়নি তখন..তাই সময় কাটাতে আমেরিকান টিভি শো গুলো সংগি করে নিয়ে ছিলাম।


বেভারলি হিলস ৯০২১০---আমার খুবই প্রিয় সিরিজ ছিল, ঐ শোএর ছেলেমেয়েদের মত আমারও খুব ফাংকি জীবন যাপন করতে ইচ্ছে করত আর লস আ্যন্জেলেসে চলে যেতে মন চাইত!


বেভারলি হিলস ৯০২১০ এর বিপরিত কমেডী টাইপ এই সিরিজ টা ছিল একটা শিকাগের কালো ফ্যামিলীর উপরে নিত্যদিনের ঘটনার প্রবাহ নিয়ে। এই শো এর নার্ড/মেধাবী, বোকা ছেলেটার (স্টিভ আরকেল)উপরে একটা মায়া পরে গিয়েছিল!

ফ্রেস প্রিন্স অফ বেল এয়ার-- এটাও আমার পছন্দের সিরিজ! আর এর মেইন কমেডীয়ান চরিত্রের উইল স্মিথকে কে না জানে!
উইল স্মিথের ইরিটেটিং কাজিন টাকেও খুব ভাল লাগত!



সেভড বাই দা বেল--স্কুলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বানানো এই সিরিজটা আমার পছন্দের তালিকায় ছিল। আসলে আমি অবচেতন মনে আমেরিকান স্কুল লাইফ টা খুব ভালবাসতাম, আমার এক রকমের অবসেসন ছিল!...এখন মনে হলে হাসি পায়! নিজে কত মনে মনে ওদের মত লাইফ সটাইল চাইতাম, অথচ নিজের বাচ্চাদের সকুলে পাঠিয়ে সারাক্ষন চিনতায় থাকতাম, ওরা আবার না পুরা আমেরিকান হয়ে যায় এই ভেবে..কত শাষনই করেছি আমার বাচ্চাদের! অবশ্য এর ফলশ্রুতিতে আমার মেয়েকে প্রায় ডেডিকেটেড বাঙালী মেয়েই বলা যায়---মাছ ভাত, ডাল তার প্রিয় খাবার, অর্ণব তার প্রিয় শিল্পী, আমাদের গ্রামের বাড়ী তার সবচাইতে প্রিয় জায়গা!...এই ভালোলাগা যেন সবসময় থাকে, এটাই চাওয়া!

(চলবে...)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাইরে... এত পুরানা সিরিয়াল!!! এতো দেখি আমার জন্মের আগে যখন ডাইনোসর পৃথিবীতে কাবাডি খেলতো তখনকার ঘটনা

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

কাতিআশা বলেছেন: হা, আমিও পুরানো কিনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.