নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমরশি পুরি - একজন কালজয়ী অভনিতো

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

১৯৩২ সালের ২২শে জুন।

ভারতের তৎকালীন পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার তেহশিল এখনকার নাওয়ানশাহ’র লালা নিহার চান্দ পুরি আর ভেদ কাউরের ঘরে তিন ভাই আর এক বোনের পর জন্ম হলো এক বালকের। বাবা নাম রাখলেন অমরেশ-পুরো নাম অমরেশ লাল পুরি। প্রায় ৩০ বছর পর সেই বালকটি-ই হিন্দি ছবির খলনায়কের সঞ্গাই বদলে দিলো। জন্ম দিলো ’মোগাম্বো খুশ হুয়ে’ বা ’আব সামঝোগে পাশা কি ভাষা’র মতো কালজয়ী সংলাপ আর চরিত্রের। ঠিকই ধরেছেন, আমরা কথা বলছি হিন্দি চলচিত্রের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভিলেন অমরেশ পুরির কথা।
পুরিরা ছিলেন চার ভাই আর এক বোন। পুরি তাঁদের মধ্যে চর্তুথ। পুরি পরবর্তীতে সিমলা (হিমাচল প্রদেশের বি.এম. কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেন।

অসাধারন হাস্কি ভয়েস আর ক্লাইম্যাক্সের সিনে কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসা বড় বড় চোখ-এই ছিলো অমরেশ পুরির ট্রেডমার্ক। যদিও ’রেশমা ঔর শেরা’ অমরেশ পুরির প্রথম ছবি, কিন্তু তাঁর প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি হলো ১৯৭০ সালের ‘প্রেম পুজারী’। ‘রেশমা ঔর শেরা’ মুক্তি পায় তার এক বছর পর-১৯৭১ সালে। তবে তাঁর সবচেয়ে সাড়া জাগানো চরিত্র শেখর কাপুরের ১৯৮৭ সালের মুভি ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’তে ‘মোগাম্বো’। এছবিতেই তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত সংলাপটা পাই-’মোগাম্বো খুশ হুয়ে’। এটি আজ পর্যন্ত হিন্দি ছবির অন্যতম সফল ডায়লগ।

যদিও খলনায়কের চরিত্রেই তাঁকে বেশি দেখা গেছে, অমরেশ পুরি পজেটিভ রোলেও অনেক অভিনয় করেছেন। ১৯৯৫ সালের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র কাজলের বাবা বলদেভ সিং’র চরিত্রে বা ১৯৯৭ সালের ’পরদেশ’ সিনেমার দয়ালু আমেরিকান ব্যবসায়ীর চরিত্রে তাঁকে পজেটিভ রোলে দেখা গেছে।

১৯৫৭ সালে অমরেশ পুরি উর্মিলা দিভেকারকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তান-মেয়ে নম্রতা আর ছেলে রাজিব। অমরেশ পুরির চার নাতি নাতনি আছে।

২০০৫ সালের ১২ই জানুয়ারি ৭২ বছর বয়সে সেরিব্রাল হেমারেজে আক্রান্ত হয়ে এই কালজয়ী্ এবং অসাধারণ অভিনেতা মুম্বাইএর সিটি হাসপাতালে মারা যান।

অমরেশ পুরি সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য

অমরেশ পুরি হলেন আরেক বিখ্যাত চরিত্রাভিনেতা মদন পুরির ছোট ভাই। তাঁর আরেক ভাইও অভিনেতা ছিলেন - চমন পুরি।

পুরি চলচিত্রে নেমেছিলেন নায়ক হওয়ার জন্য। আমাদের ভাগ্য ভাল উনি প্রথম স্ক্রিন টেস্টেই বাদ পড়ে যান। পরে যোগ দেন এমপ্লয়িজ এস্টেস ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনে। এর মধ্যে অবশ্য মঞ্চ অভিনয় চালিয়ে যান। মঞ্চাভিনেতা হিসেবে অমরেশ পুরি অনেক পুরষ্কারে ভুষিত হয়েছেন। তার মধ্যে ১৯৭৯ সালের সঙ্গীত নাটক আকাদেমি এওয়ার্ড অন্যতম। মঞ্চে সফলতার পর পুরি টেলিভিশনের বিজ্গাপনের দিকে ঝোঁকেন।

এই শক্তিমান অভিনেতা তাঁর প্রথম ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পান যখন তাঁর বয়স ৪০ এর কাছাকাছি। অমরেশ পুরি সর্বমোট ৪০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন। পুরির ডেব্যু ফিল্ম একটা মারাঠি ছবি যেখানে তাঁকে একজন অন্ধ ব্যক্তির ভুমিকায় দেখা যায় যে কিনা ট্রেনে গান গেয়ে বেড়ায়। হিন্দি ছাড়ার পুরি কানাড়া, মারাঠি, পাঞ্জাবী, মালায়লাম, তেলেগু এবং তামিল ছবিতে অভিনয় করেছেন।

অমরেশ পুরির হলিউডে অভিষেক হয় ১৯৮২ সালের বিখ্যাত ছবি ‘গান্ধী’তে ‘খান’ চরিত্রে। পরিচালক স্যার রিচার্ড এটেনবার্গ। তাঁর আরেকটি সাড়া জাগানো হলিউড মুভি হলো স্টিভেন স্পিলবার্গের বিখ্যাত সিরিজ ইন্ডিয়ানা জোনসের একটা পর্ব। ’মোলা রাম’ নামের একজন কুখ্যাত সাধুর ভুমিকায় উনি অভিনয় করেন ‘ইন্ডিয়ানা জোনস এন্ড দ্য টেম্পল অব ডুম’ ছবিতে। ছবিতে তাঁর সহ অভিনেতা ছিলেন আরেক বিখ্যাত অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ড। মজার ব্যাপার হলো, পুরি কিন্তু প্রথমে এই ছবিতে অভিনয়ে রাজি ছিলেন না। পরে তাঁকে স্যার রিচার্ড এটেনবার্গ রাজি করান।

এক সাক্ষাতকারে স্পিলাবার্গ বলেছিলেনঃ ”€œAmrish is my favourite villain -- The best the world has ever produced and ever will.” হ্যারিসন ফোর্ড তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, অমরেশ পুরি হলেন তার দেখা সবচেয়ে চমৎকার এবং দয়ালু অভিনেতা।

‘ইন্ডিয়ানা জোনস এন্ড দ্য টেম্পল অব ডুম’ ছবিতে পুরি প্রথমে মাথা কামান। পরবর্তীতে ভয়ংকর ভিলেন হিসেবে এটাই তাঁর ট্রেডমার্ক হয়ে যায়।

অমরেশ পুরিকে অনেক ছবিতেই হ্যাট পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। জানেন কি, তাঁর হ্যাট সংগ্রহের বাতিক ছিলো। তাঁর সংগ্রহে প্রায় সারা পৃথিবীর প্রায় ২০০ হ্যাট ছিলো।

পুরির শেষ ছবি ২০০৬ সালের ‘কাচ্চি সাড়াক’।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.