নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিউজিয়াম অব হরর (পর্ব ২)

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০২

আগের পর্বের লিংকঃ মিউজিয়াম অব হরর (পর্ব ১)আগের পর্বের লিংকঃ Click This Link

পালার্মো'র ক্যাটাকম্ব






এর সঠিক নামকরন হবে - মৃত্যুর জাদুঘর। শত শত লাশ সাজানো আছে এমন ভাবে যে মনে হবে এরা ঘুমিয়ে আছে। জেগে উঠবে যে কোন সময়। সব একদম ঠিকঠাক পোষাক পরা, সার বেঁধে দাঁড়ানো। অবস্থিত ইটালির কাপুচিনো মনেস্টরির গভীরে। এখানে যেমন মংকদের লাশ রয়েছে, তেমনি রয়েছে সাধারন মানুষের। সেই ১৬ শতক থেকে শুরু করে শেষ লাশটার মৃত্যুকাল ১৯২০। যে যে পোশাকে মারা গেছে, তাকে সেইভাবেই কবর দেয়া হয়েছে। জায়গটার মাটির শুষ্ক আবহাওয়াই লাশগুলোকে এরকম অবিকৃত রেখেছে।

মিউজিয়াম অব এনাটমি

[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/tmh77bd/tmh77bd-1437241998-3e27264_xlarge.jp

[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/tmh77bd/tmh77bd-1437241999-84de697_xlarge.jpg

[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/tmh77bd/tmh77bd-1437242000-9a0fbfe_xlarge.jpg



প্যারিসে অবস্থিত এই জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন এনাটমির প্রফেসর Honoré Fragonard. ১৭৯৪ সালে শুরু করে প্রায় ২০ বছরে তিনি গড়ে তোলেন এই ব্যতিক্রমধর্মী জাদুঘর, যা তার জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ।

কি আছে এই জাদুঘরে?

আছে লাশ-বিকৃত, বিভৎস লাশ যেগুলোর প্রায় সবই তার নিজের হাতে কাঁটাছেড়া করা। লাশগুলোকে এরপর তিনি এমন এক সিক্রেট রাসায়নিক পদার্থে সংরক্ষণ করেছেন যে আজ অবধি তার রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তার কালেকশনে আরও আছে ক্ষতবিক্ষত পশু আর শিশুর মৃতদেহ, মৃত্যুদন্ডিত অপরাধীদের লাশ আর পাগলাগারদ থেকে আনা পাগলদের খুলি। এ এক বিশাল সংগ্রহ।

জাদুঘরটা এতটাই ভয়ংকর যে শুধুমাত্র এপয়েন্টমেন্ট করা থাকলেই এতে প্রবেশাধিকার পাওয়া যায়।

মাটার জাদুঘর




ফিলাডেল্ফিয়া, পেন্সিলভিনিয়া। প্রতিষ্ঠাতা ডঃ থমাস ডেন্ট মাটার, ১৮৫৮ সাল।

এই জাদুঘরটি বিখ্যাত এর মানুষের খুলি আর এনাটমিক্যাল নমুনার বিশাল সংগ্রহের জন্য। এর বিশেষ আকর্ষনের মধ্যে আছে মোমের তৈরি এক মহিলার মডেল যার কপাল থেকে এক শিং বের হয়ে আছে। আছে উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে লম্বা কংকাল, মানুষের ৫ ফুট লম্বা কোলন এবং 'মোম-মানবী'র প্রস্তরীকৃত নমুনা। এই মহিলা এম্ন এক বিরল রোগে আক্রান্ত ছিল যে তার মৃত্যুর পর তার পুরো কংকাল মোমে পরিনত হয়।

জাদুঘরটিতে আরো আছে প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের ম্যালিগ্ন্যান্ট টিউমার, বিখ্যাত সিয়ামিজ টুইন চ্যাং এবং ওয়েং বাংকারের সংযুক্ত লিভার, এবং প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের হত্যাকারী জন উইলক্স বুথের দেহ থেকে অপসারিত টিউমার।

মুসি দুপয়ট্রান



প্যারিসে অবস্থিত এই জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা ম্যাথিউ অরফিলা যিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত টক্সিকোলজিস্ট এবং কেমিস্ট। মানুষের শারিরীক বিকৃতি কিরকম হতে পারে, সেটা উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে ১৮৩৫ সালে তিনি এই জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা করেন। এতে প্রায় ৬০০০ এর বেশি নমুনা আছে যার মধ্যে আছে মানুষের বিকৃত অংগ, সিয়ামিজ জমজ, ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া মস্তিষ্ক আর এনাটমিক্যাল মডেল।

মেগুরো পরজীবি জাদুঘর



টোকিওতে অবস্থিত পৃথিবীর একমাত্র জাদুঘর যা তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র পরজীবিদের নিয়ে। ১৯৫৩ সালে চালু হওয়া এই জাদুঘরে আছে প্রায় ৪৫০০০ পরজীবির নমুনা সাজানো আছে যার মধ্যে আছে প্রায় ৮.৮ মিটার লম্বা একটা টেপওয়ার্ম। যদিও শুনতে তেমন ভয়ংকর লাগছে না। কিন্তু যখন আপনি ওইসব নমুনাগুলোর সামনে দাঁড়াবেন, তখন আপনার মনে হবেই এর কোনো কোনোটা হয়তো আপনার শরীরের মধ্যেও বাসা বেঁধে আছে।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

সুমন কর বলেছেন: ছবিগুলো বীভৎস !! চমৎকার শেয়ার।

উপরের দিকে কিছু ছবি আসেনি, সময় হলে ঠিক করে দিয়েন।

২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

মন থেকে বলি বলেছেন: ছবি ঠিক করতে পারছিনা কারন অদ্ভুত একটা কারনে আমি ডেস্কটপ থেকে লগইন করতে পারছিনা।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

রিকি বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে, ছবিগুলো ভয়াবহ :-* অ্যানাটমি জাদুঘরের মত জার্মানির এক লোকের একটা ব্যাক্তিগত উদ্যোগে জাদুঘর রয়েছে, ওখানে সে মরা মানুষকে আর্ট হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে---কোথাও শুধু পেশি দেখা যায় মানুষের, আবার কোথাও শুধু চর্বির লেয়ার সহ মানুষ---মাদাম তুশোতে তো মোমের মূর্তি বানায়, সেখানে জলজ্যান্ত মানুষকে মেডিক্যাল থেকে নিয়ে এসে বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরে, সেটাই একটা আর্ট বলে !!! /:) প্রক্রিয়া গুলোও দেখিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে। চলতে থাকুক এই পর্ব। পোস্টে প্লাস :)

২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

মন থেকে বলি বলেছেন: আপনি যে জার্মানের কথা বললেন, আমিও সেটা ডিস্কভারিতে দেখেছি। সম্ভবত মোমজাতীয় কিছুতে সে আগে ডুবিয়ে নেয়। বিভৎস।

আপনার ভাল লেগেছে দেখে ভাল লাগল।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫১

এন জে শাওন বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট আপনার।

২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

মন থেকে বলি বলেছেন: ধন্যবাদ। উৎসাহ পেলাম।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

রিকি বলেছেন: হ্যাঁ হ্যাঁ ভাই ওটায়--- বীভৎস মানে কি !!! :-&

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: +++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫০

মন থেকে বলি বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: :|

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৯

মন থেকে বলি বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.