নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নর, তুমিও ছলনাময় হে (পর্ব-২)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৪

চার-পাঁচ পাক মারার পর হঠাৎ খেয়াল হলো, আমি যতই চেষ্টা করছি না কেন, ওই তরূনীকে কোনমতেই ধরতে পারছি না। আমার পুরুষালী অহং গর্জে উঠল। - রে নরাধম! সামান্য এক নারীকে অতিক্রম করতে পারছিস না। তোর উচিৎ পাশের ড্রেনে ডুবে মরা। নাহ...চেহারা দেখতেই হবে। যত পাক লাগে, মারবো। স্পিডোমিটার সর্বোচ্চ বাড়িয়ে দিলুম। সন্ধ্যার আলো আঁধারিতে কোমর দুলিয়ে সামনে হেঁটে যাচ্ছে, আর পিছনে আমি ঘোঁৎ ঘোঁৎ করতে করতে ভুঁড়ি কাঁপিয়ে ছুটছি। দৃষ্টি আমার তখন আর তার দেহের ছন্দের দিকে নয়। বরং মুখ দেখব - এই চিন্তায় মশগুল। প্রায় ধরে ফেলেছি। এইতো...আর একটু। তারপরই আমি দেখতে পাব ফিগার-শ্রেষ্ঠার অপুর্ব মুখশ্রী। অবশ্য আমার হার্ট যদি ততক্ষন টেকে আর কি। বুক হাপরের মত ওঠানামা করছে। ফুসফুস বোধহয় ফুলতে ফুলতে কান পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। কান থেকেও বাতাস বেরুচ্ছে মালুম হলো।

শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম তার পাশাপাশি। সেই অতি আরাধ্য মুহূর্ত! পরম কৌতুহলে ঘাড় ফেরালাম যার মোহে এতক্ষন ছুটি মরছি - সেই ফিগারওয়ালীর চেহারার দিকে।

...এবং দেখলাম......। দেখলাম....? না....দেখলাম না, শুনলাম। কি শুনলাম...?

শুনলাম গুরুগম্ভীর স্বরে 'আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ'। শব্দগুলো বেরিয়ে এসেছে ঘন কালো দাড়ি-গোঁফে আচ্ছাদিত এক মুখমন্ডল থেকে। আর প্রতিউত্তরে আমার মুখ থেকে বেরিয়ে এলো আর্তনাদ। এঁ...এঁ....আঁ...আঁ...আঁক! কে এই দাড়িয়াল? জীবন্ত বিভিষীকা হয়ে আমাকে হাঁটিয়ে মেরেছে এতক্ষন..?

সালামের উত্তর আর দেয়া হয়নি। ততক্ষনে থেবড়ে বসে পড়েছি ঘাসের ওপর। 'পট' শব্দে একটা ক্ষীন আর্তনাদ করে হাফ প্যান্টের বোতাম উড়ে গেল ভুঁড়ির চাপে। কিন্তু আমার কোন খেয়াল নেই।

কি দেখলাম? আর কি দেখেছি এতক্ষন? উত্তরও পেয়ে গেছি ততক্ষন, জোশের বশে মন যা এতক্ষন ধরে আমাকে দেখিয়েছে, তার ব্যাখ্যা হলো এইঃ

আমারই মত এক স্বাস্থ্যন্বেষী হুজুর কালো পাগড়ি, সাদা পাঞ্জাবি আর গাঢ় রঙের লুংগি পরে হাঁটছিলেন। ছিপিছিপে শরীর। তাই আমি ভুঁড়িয়াল তাঁকে ধরতে পারছিলাম না। অন্ধকারে ওই পাগড়ির ঝুলকে আমি 'মেঘ-কালো চুল' দেখেছি। আর দ্রুত হাঁটার সুবিধার্থে হুজুর কোমরে কষে গামছা বেঁধেছিলেন। সুতরাং আমার 'লোলুপ মন' সেটাকে দেখল সরু কোমর এবং ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি... (পাঠক, বুঝে নিন)। এই দেখেই আমি এতক্ষন জান বাজি রেখে দৌড়ালাম...হে প্রভু...! ড্রেনে তুমি পানি দাও। আমি কলসি কাঁখে ঝাঁপ দিয়ে মরি।

এর পরের কাহিনী অতি সংক্ষিপ্ত। বাড়ি ফিরে কেডস জোড়া আর হাফ প্যান্টটাকে লাথ মেরে দূর করে দিলুম। স্বাস্থ্যরক্ষা প্রজেক্টের সেইদিনই ইতি।

তবে একটা লাভ হয়েছে। দিব্য দর্শন এবং জ্ঞানার্জন।

এদ্দিন জানতুমঃ নারী ছলনাময়ী।

সেদিন জানলুমঃ নর, তুমিও ছলনাময়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৯

পলাশমিঞা বলেছেন: ছি ছি!

:D

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৪

মন থেকে বলি বলেছেন: হো হো

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৭

পলাশমিঞা বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমার মত অবস্থা হবে।

আমি মুখ দেখে ভয় পেয়েছিলাম :(( তওবা তওবা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.