নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর্লি লার্নিং - বেস্ট লার্নিং

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

পড়াচ্ছিলাম দুই ছেলেকে।

আসলে বদলি ডিউটি দিচ্ছি বউএর।

দুটোই ট্যাটন-দ্য-গ্রেট। রবার্ট ব্রুসের মত ধৈর্য্য না থাকলে ৫ মিনিটের বেশি হস্তদ্বয়ের সঞ্চালন সংবরন করা অসম্ভব।

চেষ্টা করছি রবার্ট ব্রুস হওয়ার। কিন্তু বিধি না চাইলে কি হবে।

দুইপাশ থেকে দুইজন একসাথে ডেকে ওঠে। একবার বলে 'সায়েন্স পড়া ধর, বাবা'। আরেকবার বলে, "ওই যে, দেখ বাবা, ভাইয়া পড়ে না।" একজনকে ধরতে গেলে আরেকটা সাথে সাথে পালায়।

মাঝে একটা ফোন এসেছিলো ১ মিনিটের জন্য। হ্যালো বলার আগেই ঠক...ঠক শব্দে তাকিয়ে দেখি, সোর্ড ফাইট হচ্ছে উইকেট দিয়ে। হুমায়ুন আর দারাশিকো।

মাথায় চন করে রক্ত উঠে গেলো।

নিজেকে শান্ত করে আওরঙজেবের স্বরে ডাকলাম, "এই, টেবিলে আয়।"

হতাশ দুই সমরনায়ক যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে 'তুচ্ছ' পড়ার টেবিলে ফিরে এলেন। কিছুক্ষন পেন্সিলের খস খস শব্দ। এরপরই বামপাশ থেকে আবদার উড়ে এলো। "এগুলো তো অনেকবার করেছি। চল না খেলি, বাবা।"

প্রথমে ভাবলাম বলিঃ একদম জান শেষ করে দেবো। সামলে গেলাম । বদলে উপদেশ দিলাম দুই মিনিট। যদি মটিভেট করা যায়, দেখি না।

"দেখো বাবারা, আম্মু কত কষ্ট করে তোমাদের জন্য। যদি এসে দেখে তোমরা পড়ার টেবিলে নেই তাহলে অনেক মন খারাপ করবে, তাই না? প্লিজ পড় বাবা। আম্মু তাহলে খুশি হবে।"

কিছুক্ষন চুপচাপ।
এরপর এলো অমোঘ বাণী....বাম পাশ থেকে।

"তুমি আসলে আম্মুকে অনেক ভয় পাও, বাবা। এটা একদম present tense এর মত সত্যি।" দারাশিকোর (বড় পুত্র) গলা।

সাথে ইংলিশে টিপ্পনি যোগ হলো হুমায়ুনের, মানে ছোট পুত্রের - "Pops, you are the shame for all man...!"

আমার হতাশ কন্ঠ এবার উত্তর দিল -

"বাবাসকল। বড় হও, বিয়ে কর। নিজেরাই বুঝবে। দুনিয়ার সব বাবাই আম্মুদের ভয় পায়। তোরাও পাবি। নিশ্চিন্ত থাক।"

কে যেন বলেছিলঃ শিশুদের হ্যাঁ বলুন। মরার আগে তাকে যেন একবার হাতের কাছে পাই গো প্রভু!
.
.
নিকেতন/৩রা ডিসেম্বর

(ছবিতে গল্পের কুশীলবদ্বয় - আইমান ও তওসিফ)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২১

কালীদাস বলেছেন: বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম পুলাই বাপেরে ভয় পায়। আপনের তো খুশি হওয়া উচিত যে আপনার উল্টা কেস যে :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫

মন থেকে বলি বলেছেন: আমার দুইটা আমারে ভয় পায় না। মা'কে পায়।
আমিও পাই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.