নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য ঘটনা অবলম্বনে রম্যঃ জেনরেশন গ্যাপ, না গাল্ফ অফ গ্যাপ?

২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬



ছোট ছেলেকে একদিন প্রস্তাব দিলাম, "যাবে আমার অফিস দেখতে?"

এর পিছনে আমার শৈশবের এক মধুর স্মৃতি কাজ করেছিল। আব্বু তাঁর অফিসে নিয়ে গিয়ে একটা টাইপরাইটারের সামনে বসিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ৩৫ বছর আগে। চাবি টিপে টিপে টাইপ করার সেই আনন্দ আজও ভুলিনি। ভেবেছিলাম, আমার ছেলেও লাফ দিয়ে উঠবে।

কিন্তু প্রথমেই প্রশ্নঃ " অফিসে কি আছে? কেন যাব?"

বললামঃ "গিয়েই দেখবে, চল। বাবা কি করে। কোথায় কাজ করে।"

মনে হলো, অর্ধ-ইচ্ছায় রাজি হলো। তা-ও যাক। একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে।

আধবেলা কাটালো আমার সাথে। পুরোটা সময় ট্যাবে গেম খেলে। আর কোন কিছুতেই আগ্রহ নেই। অফিস জিনিসটা কি, ভেবেছিলাম কিছু হলেও জিজ্ঞেস করবে। কিসের কি? কিন্তু তখনও বুঝিনি, এ জিনিস এযুগের। আমাদের মত ওল্ড মডেল নয়।

এটম বোমাটা মারল বাড়িতে ফিরে।

আমি টিভি দেখছি। হঠাৎ কান গেলো ছেলে আর মায়ের কথোপকথনের দিকে।

"আম্মু, বাবা অফিসে কি করে সারাদিন?"

ওর মা জিজ্ঞাসু চোখ ফেরালো। আরো শুনবে।

"কিছুই তো করে না।
শুধু বসে থাকে চেয়ারে।
মাঝে মাঝে চা খায়।
আর অন্যদের হুকুম দেয় - এই কর, সেই কর।
কোন কাজ তো করলো না।
এইটাকেই কি অফিসের কাজ বলে?"

শেষে ট্যাগ-লাইন মেরে দিল - "সাচ আ ওয়েস্ট অফ মানি।"

স্যালারির কথাই বুঝালো কি না, প্রভু জানেন।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

বলেছেন: মজা পেলাম।

২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৮

মন থেকে বলি বলেছেন: মজা তো লাগবেই।
এ যুগের ডিজিটাল পোলাপান না...!
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছেলে তো বাপেকে জাজ করা শুরু করে দিছে!
মজা পাইলাম

২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩০

মন থেকে বলি বলেছেন: ডিজিটাল পুত্র এনালগ বাপকে তো স্ক্যান করবেই।
তাই আশ্চর্য হইনি।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৭

সুমন কর বলেছেন: দারুণ, মজা পেলাম।

২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩০

মন থেকে বলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সাচ অ্যা ওয়েস্ট অব মানি :-/

২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩২

মন থেকে বলি বলেছেন: বোঝেন তাহলে কি অবস্থার মধ্যে আছি।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩২

বর্ষন হোমস বলেছেন:
মজা লগল।অল্প কথায় ভাল একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।
আপনি ভাল পর্যায়ে কাজ করছেন আপনার অফিসে সেটা বোঝা গেল। ;)

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

মন থেকে বলি বলেছেন: কি পর্যায়ে কাজ করছি, আমি নিজেও শিওর না। :)
তবে ছেলের অবার্ভেশন সঠিক ছিল।
দারুন কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: অপ্স!! দারুণ মজা পাইলাম।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

মন থেকে বলি বলেছেন: দারুন কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ছেলের খোজও কেউ নিয়েছে কি না, সেটাও বিবেচ্য।। আমার স্মৃতি কিন্তু আব্বার কলিগদের আদরে আর চকলেট উপহারের মাঝে।।
আপনর ছেলে তেমনটা পাওয়ার পরও এমন করেছে কি না!!!!!!

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

মন থেকে বলি বলেছেন: আমার ছেলেও উপহার পেয়েছিল। চকলেট, চিপ্স, কোল্ড ড্রিংক্স। আমি এত কিছু পাইনি। কিন্তু তাতে কি। ওর যা বোঝার, সে নিজের থেকেই বুঝেছে।

ডিজিটাল মাল রে ভাই।

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:০০

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: হাহাহা... আমি কিন্তু অতটা ডিজিটাল যুগের না। সেই ২০০০ এর দিকে আব্বুর সাথে তার অফিসে যেতাম প্রায়ই। প্রতি রবিবারে স্কুল দেরিতে শুরু হওয়ার ফলে আমাকে আব্বুর অফিসেই প্রথম যেতে হত, ওখান থেকে স্কুলে রেখে আসতো। আমার খুব বিরক্ত লাগতো এই অফিস ব্যাপারটা। বাসায় এসে সুযোগ পেলেই চিৎকার চেঁচামেচি করতাম আম্মুর সামনে যে আব্বু একটা অকর্মার ঢেঁকি। সারাদিন আরাম করে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে থাকাই হল প্রধান কাজ। সাথে চা খাওয়া আর গল্প করা। অথচ আমরা দু ভাইবোন সারাদিন স্কুল করে এসে আবার রাতে পড়তে বসা টা যে কত কষ্টের কাজ ছিল কিন্তু তবুও সেই কষ্টের উপযুক্ত স্বীকৃতি না দিয়ে ওল্টো আমাদের জন্যে আব্বুর কষ্টের রোজগারের কয়টা নীতিকথা কেন যে শুনতে হত আমরা বুঝতাম না :|

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

মন থেকে বলি বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার প্রথমটার সাথে আমারটা মেলে না। আব্বুর অফিসে যাওয়া ছিল স্বপ্নের মত একটা ব্যাপার।

তবে শেষাংশের সাথে সহমত। আমিও বুঝতাম না, পড়ালেখার এত কষ্টের পর ওই নীতিকথা কারই বা শুনতে ইচ্ছা করে?

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মজা পেলাম।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

মন থেকে বলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক মজা পেলাম । শুভ কামনা বাপ বেটার জন্য :)

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

মন থেকে বলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য।

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:১৭

রাসেল ০০৭ বলেছেন: সাচ আ ওয়েস্ট অফ মানি!
বুঝাই যাচ্ছে আপনার ছেলে বড় হয়ে একদিন অফিসের বড় কর্তা হবে ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

মন থেকে বলি বলেছেন: এবং তার ছেলের কাছে একই কথা শুনবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.