নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠোঁট দেখে ঠোঁট খুলবো...যা বলব সত্য বলব (না)

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৯

বৃহষ্পতিবার রাত্রে আমরা একটু বাইরে বের হই। মানে গিয়ে হলো পকেটের রেস্ত উড়াতে যাই রেস্তোঁরায়। আন্ডাবাচ্চাসহ।

আজও সেই প্রস্তুতি চলছিল। স্ত্রীর সাজসজ্জা চলছে। আমি আকাশ-পাতাল ভাবছি - গত একসপ্তাহ কি কি খেয়েছি আর ফলস্বরূপ কাল সকালে যখন ওজন মাপবো, তখন কতটা বাড়তি দেখাবে।

এমন সময় আয়নার সামনে থেকে রোম্যান্টিক আহবানঃ

"এই, এদিকে এস না। দেখ না একটু।"

এরকম ডাক আমার তখনই আসে যখন আমি বিছানায় চিৎপটাং হয়ে ভুঁড়িতে হাত বুলাই। দারুন ফিল করি, জানেন। যেন সৌদি কম্বলে হাত পিছলে যাচ্ছে।


তাকিয়ে দেখি, আমার বংগললনা একেবারে আটলান্টিকের ওপারের বেশ-এ নিজেকে সাজিয়েছেন। তবে এটা দেখতে 'ডাক' আসে নি। ডাক এসেছে অন্য কিছুর জন্য।

"দেখ তো, আমার মেকাপটা কি আজকে অন্যরকম লাগছে?" খুবই উৎসুক গলার প্রশ্ন। আমার জন্য প্রোমোশনের ভাইবা।

খোদা জানেন, এই ১৯ বছরেও কেন জানি আমার কাছে সব লিপস্টিকের কালারই লাল রঙ এর মনে হয়। আর গালে যা মাখে, আমি জানি ওইটাকে বলে ফাউন্ডেশন - বাড়ির না, মেকাপের। এরপর পাউডার পর্যন্ত গিয়েই আমার মেকাপ এনসাইক্লোপিডিয়া খতম। শুধু জানি, মেয়েরা পাউডার মাখে মুখে, আর ছেলেরা বগলে - এই পার্থক্য।

বললাম - "আরে...! তাই তো...!! আসলেই একদম নতুন ধরনের মেকাপ করেছ। কিভাবে করলে?"

বউএর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল খুশিতে। স্পষ্ট পড়লাম - এদ্দিনে চাঁদু তুমি বউ এর মেকাপ বুঝতে শিখলে। ভেরি গুড!!

এরপরই গুবলেট হয়ে গেলো। আরেকটু জ্ঞান ফলিয়ে বললাম - "একদম বিদেশি মডেল লাগছে যে তোমায়...বিদেশি স্টাইলে মেকাপের জন্য...!!"

ধর্মসাক্ষী, আমার কোন বদ উদ্দেশ্য ছিল না। যা মনে হয়েছে, তাইই বলেছি। আর দেখি তো, সব মেকাপই বিদেশি কোম্পানির। তাইই বলেছি।

দেখি, ধনুক ভ্রু কুঁচকে গেল। হাসি উধাও। গম্ভীর প্রশ্ন ছুটে এলোঃ

"মানে? কি বিদেশি স্টাইল মেকাপ?"

আমি আরও উৎসাহী ব্যাখ্যা মেরে দিলাম -

"মানে...তোমাকে তো একদম ফরেনার লাগছে এই বিদেশি স্টাইলে মেকাপের পর। মানে একদম দেশি স্টাইল না। তাই তো করেছ...মেকাপ...তাই না? তারওপর ওইযে ড্রেসটা....হেহ হেহ....একদম নতুন না? ওহ না...মানে...এইটাই বললাম। মানে...বুঝলে না...আহহা...!!" শব্দগুলো যেন ছিটকে ছিটকে বেরিয়ে এলো দাঁতের ফাঁক দিয়ে।

তারপর...ইয়া মাবুদ...! গর্জন হলো। বজ্রপাতের না রে ভাই। গিন্নীর গলা থেকে।

"ওই...
ফাইজামি কর?
কিসের বিদেশি স্টাইল?
আমি তো চোখে কাজল দেই নি।
একটা কড়া লিপস্টিক দিয়েছি।
চোখে দেখ না?
ওইটার রঙ কেমন ম্যাচিং হয়েছে সেইটা জিজ্ঞেস করেছি।
কোনদিন তো কিচ্ছু খেয়াল করতে দেখলাম না আমার ব্যাপারে।
সবসময় ফাইজলামি না করলে চলে না?"

আমি একদম মাননীয় স্পিকার।

মনে মনে তখন ভাবছি, ভুলটা হলো কোথায়? বিদেশিরা কি চোখে কাজল দেয় না?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমিও এমনই বিপদে।। গিন্নী এমন মেকাপ দেয় যে, চিমটি দিলে মেকাপ পাবো, তবু চামড়া পাবো না!!!
মেয়ে তার "গুল্লি" চোখে হরিনী মার্কা কাজল দিয়ে বলে, আব্বু কেমন লাগছে!!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

মন থেকে বলি বলেছেন: গৃহিনীর ব্যাপারটা ঠিকই বলেছেন। বিয়েবাড়ি যাওয়ার আগে ওই তিন ইঞ্চিই মেকাপ দেয়।

বেঁচে গেছি আমার মেয়ে নেই। দুটোই ছেলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.