নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি (প্রায়) কালোরাতের উপাখ্যান

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

বছর বারো আগের কথা। মানে এক যুগ আর কি।

জনৈক লোক....উঁহু....ভুল বললাম। তখনও সে 'লোক'' হয়নি, 'তরুন'ই ছিলো। তাকে আমি খুব ঘনিষ্ঠভাবে চিনতাম। চিনতাম বলা ঠিক হবে না। এখনও চিনি। প্রতিদিনই দেখা হয়। সুতরাং, আমি এখন যা বলব, তা আসলেই ঘটেছিল।

তাহলে শুরুটা একটু অন্যভাবে করি। - জনৈক তরুন এক 'হতে পারতো রোম্যান্টিক' সন্ধ্যায় আসন্ন রাত্রির ভয়ংকর কয়েকটি ঘন্টার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এবং সেটা ঘটেছিলো তিনটি বিষয়ের সম্মিলিত প্রভাবে - ভুল ক্যালকুলেশন, আত্মবিশ্বাস এবং মিষ্টি এক তরুনী।

এক কাজ করি।

গল্পটা বলার সুবিধার্থে ধরে নেই তরুনটির নাম....উমমম....গুল্লু। আসল নাম বললে অনেকেই চিনে যাবে। তাই সেটা উহ্যই থাক। বাকি পরিচয় - বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা এবং চাকরি করা এক তরুন। পিতার চ্যারিটির মধ্যে আছে তখন। বাকিটুকু ক্রমে-প্রকাশ্য।

আমাদের গুল্লু অর্ধ যুগ ধরে ফাটিয়ে প্রেমের পাঠ নিচ্ছিলো জনৈক মিষ্টি তরুনীর কাছে। লোকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে কোন কিছু অর্জনের জন্য। গুল্লুর ক্ষেত্রে দুই পরিবারের বাবা এবং মা নামধারী মুর্তিমান আতংকগুলোকে ম্যানেজ করতে পায়ের ঘাম মাথায় উঠে গেছিল। অবশেষে একদিন প্রেম-সাগরে নৌকা বাইচ শেষে সে তার অর্ধযুগের 'প্রনয়ীনীর' বাহুডোরে নিজেকে ভিড়তে পারল। আর বিবাহ পরবর্তী প্রেম-উত্তাপে সেই উঠে যাওয়া 'ঘাম' হড়হড় করে নামতে শুরু করলো।

তখন তার অবস্থা - 'আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম।' চলাফেরায় সারাক্ষন নজরুলীয় ভাব - আমি সাইক্লোন, আমি চেঙিস, আমি ভুমিকম্প, আমি বেডফ্যোর্ড ট্রাক...। ধরে আনতে বললে বেঁধে আনে। এইসব 'এফেয়ার ম্যারেজের' পর সব সময় দেখবেন একটা 'গ্লোবাল ওয়ার্মিং' ঘটে যায়। অর্থাৎ, প্রেমের উত্তাপে এতদিনের দূরে দূরে থাকার বরফ গলতে থাকে ভড়ভড় করে এবং প্রেম-সমুদ্রের পানির উচ্চতাও বাড়তে থাকে। গুল্লুরও তাই হাবুডুবু অবস্থা। সারাক্ষনই চোখে হারাই ভাব। একদিনও (এবং এক রাতও) 'তাঁকে' ছাড়া কাটানোর কথা কল্পনাও করতে পারে না।

সেই গুল্লুই এক সন্ধ্যায় খেল মারাত্মক দাগা।

যে রাত রঙিন হতে যাচ্ছিল রোম্যান্সের ঝিকিমিকিতে, সেই রাতই হয়ে বদলে গেলো 'কালোরাত'।

বাপের যে হোটেলে গুল্লু এদ্দিন চরে খাচ্ছিল, বিয়ের পর হঠাৎ করে তার মনে হতে লাগল, বাসাটা লোকসংখ্যা অনুপাতে বড়ই ছোট। প্রাইভেসিরও তেমন আধুনিক সুযোগ সুবিধা নেই। বন্ধ দরজার ওপাশে কাশি দিলেও এপাশ থেকে হেঁড়ে গলায় প্রশ্ন আসে - কি, হলোটা কি? তাই গুল্লু দম্পতির প্রাইভেসি মার খেয়ে যাচ্ছিল যখন তখন। কিন্তু একথা তো আর বাপকে তো আর বলা যায় না।

অতএব.....

অতএব নিতান্তই নিরূপায় হয়ে গুল্লু একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে নিলো। আগের বাসা থেকে বেশি দূরে না। ছিমছাম ফ্ল্যাট। লোক অনুপাতে বড়ই। সুতরাং তারা একরুমেই থাকে। বাকিগুলো ঝেড়েঝুড়ে রাখে সময় কাটানোর জন্য। বউ রাঁধে বাড়ে। তারপর দু'জনে হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে টেবিলে বসে খায়। এককথায় গুল্লু এবং গুল্লুপত্নী সেখানে মহা সুখে দিনানিপাত করছিল।

আচ্ছা....এই যে বার বার গুল্লু-পত্নী ডাকছি, এটা ঠিক হচ্ছে না। গুল্লু যদি কখনও এই লেখা পড়ে, মাইন্ড খাবে নির্ঘাত। তাহলে এক কাজ করা যাক। এরও একটা নাম দেই।...তিল্লি। পারফেক্ট নাম। গুল্লুর বউ তিল্লি। অথবা বলতে পারেন তিল্লির গুল্লু।

বলতে ভুলে গেছি, প্রতিবেশীদের সাথে তেমন মেশামেশির সুযোগ হয়নি ওদের। কারন...ওই যে....প্রাইভেসি হ্যাম্পার। নবদম্পতির 'ব্যস্ততা' কি কম? তো, নেইবাররা নেইবার-হুডের তলায় আছে আর তিল্লি-গুল্লু তাদের মতো উড়ে বেড়াচ্ছে। বাসার মধ্যেই অবশ্য।

এরমধ্যে একদিন ঘটনা ঘটে গেল.....।

আরে নাহ....! আপনাদের 'দুষ্টু মন' যা ভাবছে, সেরকম কিছু না। গুল্লু আর গুল্লু-পত্নীর একটা ক্যালকুলেশনে গোলমাল হয়ে গেল। সেই থেকে ঘটনা।

আগেই বলেছি, তিল্লি আর গুল্লু তখনও পর্যন্ত একদিনের তরেও আলাদা থাকেনি। অফিসটাইম বাদ দিয়ে বাকি সময় গুড়ের সাথে মাছির মত গুল্লু তিল্লির সাথে গোল্লা পাকিয়ে থাকতো।

তো একদিন তিল্লি গেছে ওর মা'র বাড়ি। গুল্লু অফিসে। কথা ছিল, তিল্লি আসবে ওর মত। দেরি হতে পারে। গুল্লু বাসায় অপেক্ষা করবে। যেন চিন্তা না করে। তিল্লি আসলে দু'জনে মিলে বাইরে ডিনারে যাবে। মানে রেঁস্তোরার আবছা আলোয় স্যুপে চুমুক দিতে দিতে প্রাক-বৈবাহিক আবহটা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে আরেকবার।

তারপর...! উফ..!...বিল্লুর তনুমন যেন শিউরে উঠলো!

কিন্তু এই 'ডিনার' কথাটার যে আরেকটা প্রচ্ছন্ন অর্থ আছে, বেওকুফটা সেটা খেয়াল করেনি।

এর মানে হলো, বাসায় কোন খাবার নেই। নেই বলাটা ঠিক হলো না। আছে সবই। কিন্তু তা খেতে গেলে সে প্রাক-অগ্নি যুগে ফিরে যেতে হবে। সোজা বাংলায় - কাঁচা চাল আর কাঁচা মাছ চিবুতে হবে। অথবা হরিমটর।

সে 'ভয়ানক' সন্ধ্যায় যে কোন কারনেই হোক, তিল্লি আসতে পারেনি। গুল্লু যখন এটা কনফার্ম হলো তখন রাত হয়েছে এবং অপেক্ষার প্রেম চটকে যাবো যাবো করছে। অফিস-ফেরতা খিদের জ্বালায় সে তখন উন্মাদপ্রায়। এত রাতে শ্বশুরবাড়িতে যে ধেয়ে যাওয়া যায় না, সেই বোধটুকু অবশ্য তার আছে। কাছাকাছির মধ্যে তার নিজের বাপের হোটেলটাও ছিল। কপালের ফেরে সেটাও সে বেমালুম ভুলে মেরে দিল গাধাটা।

এরমধ্যে অবশ্য বার দশেক কথা হয়েছে তিল্লির সাথে।

"জান্টু আমার। স্যরিইইইইই...! আটকে গেলাম যে। প্লিইইইইজ.....রাগ করো না। প্লিইইইজ....।"

তিল্লির এই 'প্লিইইইইইজ' এর টানে সে চুপ করল। অবশ্য অভিমান কমলো না তেমন। আর খিদে? সেটা তো আর হৃদয় নয়, বরং পাকস্থলির সাথে কাজকারবার করে। সেটা ততক্ষনে বিপদসীমা ছোঁয় ছোঁয়।

তো বিল্লু সিদ্ধান্ত নিলোঃ "আমিই রান্না করবো। সামান্য রান্নাই তো। কিসের এমন হাতি ঘোড়া!" তিল্লিকে দেখিয়ে দিতে হবে, তিল্লি ছাড়াও বিল্লু থাকতে পারে। রান্না করে খেতেও পারে। একা একা রাতও কাটাতে পারে। হুঁহ...! এমনকি ফোন করে জানিয়েও দিল তিল্লিকে যে আজকের 'মাস্টারশেফ' হতে যাচ্ছে সে নিজে। মেন্যু হবে ভাত, ডাল, ডিম-ভাজা আর আলু-ভর্তা। ডেসার্টটা বাদ রাখলো। পরে ভাববে।

পরে আমাকে বলেছিল বিল্লু। এই বিরত্ত্ব দেখাতে যেয়ে সে দুটো ব্যাপার মিস করে গিয়েছিলো।

প্রথমতঃ রান্না করার দরকারই ছিল না। বাইরে থেকে খেয়ে এলেই হতো। এক বেলারই তো ব্যাপার।

আর দুই নম্বরটা হলোঃ পড়ালেখার চোথা আছে, কিন্তু রান্নার চোথা তো নেই। সেই সময় তো আর 'কেকা ফেরদৌসী' ছিল না, যে দেখে দেখে নুডুলসের কোর্মা রেঁধে ফেলবে। রাঁধতে হবে নিজের জ্ঞান থেকে। আর সেইটাই তার ছিল না বলাইবাহুল্য।

বটমলাইন হলোঃ বিল্লু রান্না করতে পারে না। জীবনেও করেনি। শুধু খেতে পারে। তাইই করে এসেছে এ পর্যন্ত।

কিন্তু বিল্লুকা দাঁত, হাতি কা বাত।
ওহো...খিদের চোটে উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে।
মানে বিল্লুকা বাত, হাতি কা দাঁত।
রান্না হবেই। আর বিল্লু সেটা খাবেই।

সুতরাং বিল্লু রান্নাঘররূপী আফ্রিকায় প্রবেশ করলো।এ ঘরে সে পারতপক্ষে ঢোকে না। সুতরাং চুলা ছাড়া আর কিছুই ভাল করে চেনে না বা ব্যবহারবিধি জানে না। কিন্তু রান্নার বেসিক প্রসেসটা ধারণায় আছে। আফটারঅল গুল্লু ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিল। ফ্যাকটর অফ সেফটিটা সে ভালই বুঝতো।

এক চুলায় চারটা মেগা সাইজের আলু সেদ্ধ আর আরেক চুলায় চাল দিয়ে শুরু হলো। ধারনা করলো মিনিট বিশেক লাগতে পারে। সুতরাং বিল্লু স্টপওয়াচ চালু করে টিভি দেখতে গেল। এরপর গরম ডিমভাজা করতে কয় মিনিটই বা লাগবে। সিডিতে হালকা মিউজিক দিতে ভোলেনি।

এদিকে এক মিনিট, দুই মিনিট করে বিশ মিনিটই পার হয়ে গেছে। বিল্লু গেল অগ্রগতি দেখতে। খুন্তির চোখা দিক দিয়ে চাপ দিয়ে দেখলো। উঁহু...আলু লোহার মত শক্ত।

আরও বিশ মিনিট গেল।

ততক্ষনে আলু কুচকুচে কালো হয়ে সুবাসিত 'পোড়া' গন্ধ ছাড়া শুরু করেছে। আরে...! সেদ্ধ না হওয়ার কথা? পুড়িস কেন রে বাবা? খুন্তি দিয়ে হেঁইয়ো বলে খোঁচা মারতেই একটা আলু হাঁড়িচ্যুত হয়ে ছিটকে গেল ওয়াটার পিউরিফায়ারের দিকে। ততক্ষনে পোড়া গন্ধ চরমে পৌঁছেছে। আতংকে দিশেহারা হয়ে সে হাঁড়ি নামাতে যেতেই.... 'গেছি রেএএএএএ প্রভু....'বলে গগনবিদারি চিৎকার! লুঙি দিয়ে ধরতে গেছিলো। লুঙি না লুছনি - বেচারা গুলিয়ে ফেলেছিল।

এই গোলমালের মধ্যে হঠাৎ 'হুউউউউস' এবং তার পরপরই 'ছ্যাঁত' ফলোড বাই 'ভুউউস' শব্দ।

কি হলো...? এই কনসার্ট কিসের?

তেমন কিছুই না। বৈজ্ঞানিক নীতির সামান্য ভুল প্রয়োগের শব্দ ছিল সেটা।

বিল্লু জেমস ওয়াটের বাষ্পীয় ইঞ্জিনের মূলনীতি অনুসারে ভাতের হাঁড়ির ওপর ঢাকনা চাপা দিয়েছিল। তার ওপর চাপিয়েছিল ভারি কিছু একটা। উদ্দেশ্যঃ চাপ বাড়িয়ে অল্প তাপে দ্রুত ভাত রান্না করা। ভাত রান্না হয়েছিল কি না, সেটা পরের ব্যাপার। বাষ্পচাপে 'হুউউউইস' করে ঢাকনা ছিটকে গিয়ে আংশিক ফ্যান উথলে পড়ে 'ছ্যাঁত' করে চুলোর আগুন নিভিয়ে দিল।

এরপরই বিল্লুর 'আঁক' শব্দ...! হাঁড়িতে সাদা সাদা চাল দেখা যাচ্ছে। পানিগুলো যে কোথায় গেল সে ভেবেই পেল না। এবং এই হাঁড়ি থেকেও একই গন্ধ।

চাল পুড়ছে অল্প। আর পুরো চুলা মাখানো সাদা সাদা ফ্যান। মেঝেও বাদ যায় নি।

ততক্ষনে ১১টা বাজে। বিল্লু নেতিয়ে পড়েছে। চুলা বা মেঝে মোছার শক্তি নেই। ধুর শালা...! বিল্লু গালি দিল একটা। এই আধসেদ্ধ ভাতই চলবে। আলুভর্তাটা করে নেই - এটা ভাবা ছাড়া তখন আর কোন গত্যন্তর নেই।

তো, আলু চারটাকে বাটিতে নিয়ে ( কিসের খোসা ছাড়ানো....) আরেক বাটি দিয়ে সর্বসক্তি দিয়ে চেপে ভর্তা করলো। উহ...কি শক্ত রে বাবা! হাড় পর্যন্ত ঝনঝন করে ওঠে। এরপর পিয়াজ, মরিচ, মায় ঘি পর্যন্ত মাখানোর পর পরিমান দেখে গুল্লু চমৎকৃত! মাশাল্লাহ..! জনাদশেক লোক তো খেতে পারবেই।

যাক, পরিমানের হিসেবটা সামান্য (!!!) একটু গড়বড় হয়ে গেছে। কম তো আর হয়নি। বিল্লু স্বান্তনা দেয় নিজেকে। ফ্যাকটর অফ সেফটি একটু বেশিই ধরা হয়েছে।

ভাত নিতে গিয়ে সে সত্যিই চমকে গেল। আলাদিনের চেরাগ এর মত ব্যাপার না কি? তুলেই যাচ্ছে তুলেই যাচ্ছে, হাঁড়িতে পরিমান একবিন্দুও কমে না। এতো পুরো পল্টনের খোরাক। একমাসের চাল কি একদিনেই রান্না হয়ে গেল?

পরবর্তীতে পোস্টমর্টেমে তিল্লি দেখেছিল যে, তার জান্টু হাঁড়ির প্রায় ৩ ভাগের ২ ভাগ চাল নিয়ে তার থেকেও কম পানি নিয়েছিল। চাল ধোয়া হয়নি বলে ভাতের রঙও ছিল আলাদা।

গল্পের শেষটা বলি।

সেই ১০ জনের আলুভর্তা বিল্লু খেয়েছিল। আফটার অল, নিজের বানানো। ভাত খেয়ে শেষ করতে আরও তিন চার দিন লেগেছিল দু'জনের।

পরদিন সকালবেলায়ই বিল্লু হাওয়া হয়ে গিয়েছিল তিল্লি আসার আগেই। কারন সে তিল্লিকে ভালই চিনত। সেউ বয়সে আলুভর্তা খাওয়া যায় (পেট খারাপ হোক গে) কিন্তু বউ এর মার খাওয়া যায় না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এত ভালবসার গুডুগুড়ুর মাঝে এইডা কি কইলেন-বউ এর মার খাওয়া যায় না।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:২৭

মন থেকে বলি বলেছেন: মার তো খেতেই হয় মাঝে মাঝে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.