নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাসাজ স্যার....মাসাজ

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২০



"স্যার...মাসাজ স্যার....মাসাজ....মাসাজ স্যার....!!!"

কোকিলকন্ঠী মধুর আহবান শুনিয়া চটক ভাঙিল। তাকাইয়া দেখি, স্বল্পবসনা এক সুন্দরী রমনী মদির কন্ঠে আমারই দিয়ে লুব্ধ দৃষ্টি হানিয়া আহবান করিতেছেন।

অহোঃ এই স্বর্গীয় আহবান যেন এ পুরুষজন্ম ধন্য করিয়া দিল।

ঘটনাটি তাহলে খুলিয়াই বলি।

স্বস্ত্রীক হাঁটিতেছিলাম শ্যামদেশের রাজধানীর (অধুনা ব্যাংকক) ফুটপাথে। গৃহিনীর ঈগলচক্ষু পার্শবর্তী মাকড়সার জালে (পড়ুন ফুটপাথে বিছানো চটকদার দোকান) লুব্ধ মাছির ন্যায় ঘুরঘুর করিতেছিল। রাজ্যের অপ্রয়োজনীয় 'দরকারি' জিনিসের পসরা হতে দৃষ্টি টানিয়া লওয়া আমার পক্ষেই দুষ্কর। তা, আর গৃহিনীকে দোষ দিয়া কি হইবে। ইহার মধ্যে উক্ত লাস্যময়ী আহবান তাঁহার কর্ণকুহরে প্রবেশ করে নাই। কিন্তু আমার কর্ণযুগল তাহা র‍্যাডারের মত ক্যাচ করিয়া লইল।

লইবেই তো। আফটার অল, তাঁহাদের লক্ষ্য তো হাট্টাকাট্টা পুরুষ।

তাই এই অধমের নজর ঘুরিয়া গেল।

আর নজর ঘুরিয়াই সাঁটিয়া গেল উহাদের দিকে। পদযুগলও যেন স্বইচ্ছায় 'হাঁটি হাঁটি পা-পা' করিতে চাহিতেছে।

ইত্যবসরে অর্ধাঙ্গিনীরও খেয়াল হইয়াছে, ডাল মে কালা আ র‍্যহা হ্যায়।

আসলে এতক্ষন উনি আমার দক্ষিনহস্ত পাকড়াইয়া রাখিয়াছিলেন। আমিও হ্যাঁচড়াইতে হ্যাঁচড়াইতে উনার পশ্চাদগমন করিতেছিলাম নির্বিবাদে। এক্ষনে পদযুগল যেই না অন্য পথের পথিক হইতে চাহিল, গৃহিনীর হাতেও হালকা টান পড়িল। দেখিলেন, স্বামী বাবাজি হাঁ করিয়া 'মাসাজ গার্ল'দের পানে চাহিয়া রহিয়াছে।

না...যাহা ভাবিতেছেন তাহা হয় নাই।

নিশ্চয়ই ভাবিতেছিলেন আমার দৃষ্টিস্খলন দেখিয়া গৃহিনী দন্ত কড়মড়াইবেন। অন্ততপক্ষে দৃষ্টি দ্বারা ভষ্ম করিয়া ফেলিবেন। কিন্তু তাহা হয় নাই। হইয়াছিল উল্টাটি।

আমি বাতব্যাধিগ্রস্ত। গৃহে মধ্যে মধ্যেই আমাকে হালকা দলাই মলাই করিতে হয়। আর এই কাজটি মাঝে মধ্যে অপটু হস্তে তিনিই সম্পাদন করেন। এক্ষনে professionalদের দেখিয়া তিনি হয়ত ভাবিলেন, দেই না একটা ঘোড়ার দলাইমলাই। হয়ত আমার হতাশামিশ্রিত লোলুপ দৃষ্টি উনার প্রাণে করুণা সঞ্চার করিয়া থাকিবে।

অথবা হয়ত ভাবিলেন, খালটি কাটিয়াই দেখি, কুম্ভির আসে কি না। আর কুম্ভিরকে 'ওয়াচ' করিবার জন্য তিনি স্বয়ং হাঙর রহিয়াছেনই।

সুতরাং...

সাব্যস্ত হইল 'দলিত' হইব। উভয়ই। তবে আমি পুরা দেহ আর উনি শুধু পদযুগল।

এতদস্থলে উল্লেখ থাকে যে, মাসাজ কর্মটি সচরাচর নারীদিগের দ্বারাই সংঘটিত হইয়া থাকে। কদাচিৎ পুং মর্দনকারীও যে থাকে না, তাহা নহে। কিন্তু সে তথ্য আমাদিগের জ্ঞাত ছিল না।

বলাইবাহুল্য, মৎ প্রাণে হিল্লোল জাগিয়া উঠিল। এই অপ্সরাদের পুষ্পসম কোমলহস্তে দলিত হইবার সৌভাগ্য বিশ্বাস করিতে মনে চাহিতে ছিলনা। কিন্তু গৃহিনী যখন দ্বারপ্রান্তে অগ্রসর হইলেন, তখন আমিও প্রফুল্লচিত্তে অনুগামী হইলাম।

প্রথমেই মেনু চার্ট।

হরেকরকম মাসাজের বর্ননা সহ মূল্য লিখা রহিয়াছে। গৃহিনীতো একবারেই অঙ্গুলিনির্দেশ করিলেন ফুট-মাসাজের দিকে।

আমি পড়িলাম ফাঁপড়ে। এত বিচিত্র উপায়ে যে দেহ-মর্দন করা যায়, জানিতাম না। সঙ্গে অভিজ্ঞ কেউ থাকিলে তা-ও হইতো। যাহাই হউক, মেন্যু বাছিতে গিয়া তো আর সুযোগ ফস্কানো চলিবে না। সুতরাং বাছিয়া লইলাম 'থাই মাসাজ'। মনে তখন প্রেমভাব জাগ্রত হইতেছে।

কিন্তু হায়! মানুষ ভাবে এক, হয় আতেক।

বাহিরে যাহা ছিল, তাহা ট্রেলার। আসল মুভি হইল আর্টফিল্ম।

বুঝিলেন না? আহহা..! বাহিরের প্রলুব্ধকারী সুন্দরী নারীগন শুধু জাল বিছাইয়াই রহিয়াছেন। কিন্তু যিনি আমাকে দোতলায় ডাকিয়া লইলেন তিনি আকারে মহিলা মল্লবীরসদৃশ। বুকখানা ধড়াশ করিয়া উঠিল। প্রেম চুলায় যাক, প্রান লইয়া ফিরিতে পারিব তো?

একখানা জোব্বা ছুঁড়িয়া দিয়া মল্লবীর অদৃশ্য হইলেন। বুঝিলাম, এই পোষাক পরিধান করিতে হইবে। করিলাম। মল্লবীর প্রবেশ করিয়াই যাহা শুরু করিলেন, তাহার বর্ননা দিতে লাগিলে মহাভারত হইয়া যাইবে।

শুধু বলি, পরবর্তী একটি আর্তস্বরে চিৎকার করিয়াছি। কারন তিনি আমাকে গামছা মুচড়াইবার মত করিয়া দলাইমলাই করিয়াছেন। উফ...! ভাবিলে আজও সর্বশরীর কন্টকীত হইয়া উঠে।

মাসাজ শেষে বিদ্ধস্ত আমি কোঁকাইতে কোঁকাইতে বাহির হইয়া আসিলাম। গৃহিনীর দন্তপঙতি দেখিয়া গা জ্বলিয়া গেলেও চুপ থাকা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। কারন চয়েজ আমারই।

আবার পথে নামিলাম। দুই পা আগাইতেই পুনরায় কানে আসিলঃ

"মিত্তার...মাসাজ..মাসাজ...বুম...বুম..."

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি প্রথম গিয়েছিলেম সেই ৮০ দশকের প্রথম দিকে।। হোটেল রূমের দরজায়ও এদের পদচারনা :-P

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৩

মন থেকে বলি বলেছেন: আমি কিন্তু ওদের কাছেই যাই। সেটাই মজা।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা।
ভাল লাগলো পড়ে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৪

মন থেকে বলি বলেছেন: নিজে অভিজ্ঞতা নিয়ে ন্রন (যদি না থাকে আর কি)
অতি চমেৎকার!

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: এখনো পর্যন্ত এই অভিজ্ঞতা হয় নাই। তবে আপনার পোস্ট পড়ে অভিপ্রায় জাগলো।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৫

মন থেকে বলি বলেছেন: আরেহ...আপনি ডার্কম্যান।
এখনও পড়ে আছেন কেন?
আমরা থাইল্যান্ডে গেলে প্রত্যেকদিন যাই।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: শুধু ম্যাসাজ করিয়াই ছাড়িয়া দিয়েছে ! আর কিছু করিলেও বলিবেন যে না তাহা আমরা জানি ভ্রাতা ! :D =p~

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৬

মন থেকে বলি বলেছেন: আহারে...! বোঝে না।
ওইটা তো বুম...বুম...
ওইটায় তো যাই নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.