নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাবায়া

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৯




এটা একটা গল্প। প্রেমের গল্প।

তবে গল্পই। সত্যের লেশমাত্র নেই। যদি মিলেই যায়, আমার দোষ দেবেন না কিন্তু। সে হবে নিতান্তই কাকতালীয়।

দাঁড়ান, দাঁড়ান। অস্থির হবেন না।

গল্পের নায়ক নায়িকা ঠিক করি আগে। না হলে জমবে কি করে? একটু ধৈর্য ধরেন না রে ভাই।

উমমম...ধরে নেন গল্পটা গুল্লু আর তিল্লির। গুল্লু হলো নায়ক আর তিল্লি তার বউ কাম আমাদের গল্পের নায়িকা। গুল্লু আর তিল্লি - ভাল শোনাচ্ছে না? না হয় বলি তিল্লির গুল্লু।

গুল্লু 'বউ এর পাগল' না 'বউ এর ছাগল' সেটা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে সে যে 'ম্যারি হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব'র মতই তিল্লির পিছন পিছন ঘুরত এ বিষয়ে সব মুনিরই একমত।

তাই গুল্লুর ফ্রেন্ডরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তারা ওকে একবাক্যে 'গাড়ল' বলে সম্বোধন করত। বান্ধবীরা আদর করে ডাকত - ভ্যাড়া।

অন্যদিকে তিল্লির বান্ধবীরা হিংসায় জ্বলে যেত। এহ....কি কপাল রে..!! আর বন্ধুরা ইয়া নফসি, ইয়া নফসি করত।

তাতে অবশ্য গুল্লু-তিল্লির বয়েই গেল।

মাঝ-বয়েসেও তারা টিনেজ হাবভাব চালিয়ে যাচ্ছিল মজাসে। তা চলুক। কিন্তু বিপত্তি বাধল তখন যখন গুল্লু সপ্তাহখানেকের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় গেল। তিল্লিকে রেখেই।

হায়...! সে বিরহ কালিদাসের বিরহকেও হার মানায়। বিরহ ব্যাথায় গুল্লুর ঘামাচি উঠে গেল পিঠে। দুটো ফোড়া গজাল। একটা গালে আর আরেকটা সেইখানে, যেটার নাম সভ্যসমাজে করা যায় না। শুধু বসতে গেলে টের পাওয়া যায়।

এদিকে তার পকেটে সযত্নে রাখা আছে লিস্টি - তার প্রানাধিক তিল্লির দেয়া শপিং-অর্ডার। অবশ্য কাগজে নয়, মোবাইলে। তিল্লি একদম ছবি তুলে দিয়েছে। গুল্লুরও প্রতিজ্ঞা - জান গেলে যাবে, মাগার 'মাল' আনতেই হবে।

প্রথমদিন জাকার্তায় কোনরকম কাটলো গুল্লুটার। সন্ধ্যেবেলায় বেরুলো লিস্টি নিয়ে। ১ নম্বরে আছে 'কাবায়া' - ইন্দোনেশিয়ার পপুলার ড্রেস। আসলে জোব্বা টাইপ। ওপরে লং কোটের মত আর নিচে বাহারি - কি হবে - পেটিকোটই মনে হলো গুল্লুর। এখন খোঁজ কাবায়া।

খুঁজে পেতে গেল এক মার্কেটে। সেটা নাকি কাবায়ার গোডাউন। তথ্য দিয়েছে খোদ এক ইন্দোনেশিয়ান - তিল্লির বান্ধবী। কথাটা ভুল নয়। শুধু একটা জিনিস মিস করে গেছে তিল্লি। সেটা হলো জাকার্তার 'গাউসিয়া'। ঘোড়েল ধরনের এক্সপার্ট ছাড়া ওই ভুলভুলাইয়াতে প্রান হারানো অসম্ভব কিছু নয়।

কিন্তু আমাদের গুল্লুর সাথে ছিল 'অমর প্রেম'এর শক্তি। চক্কর কাটতে কাটতে সে অবশেষে বের করল এক দোকান যেখানে জোব্বা ঝোলানো।

সাথে সাথে ভাইবার কল। ভিডিওতে। তিল্লির চেহারা দেখে বিজয়গর্বে গুল্লুর বুকের ছাতি দেড় ইঞ্চি উঁচু হয়ে উঠল। 'তোমার কাবায়া পেয়ে গেছি' - এই বলে এক ঝলকে দেখিয়ে দিল দোকানে ঝোলানো সারি সারি পোষাক। মুখে তার মিটিমিটি হাসি। মনে ভাবছে, তিল্লি যা খুশি হবে না। এও বুঝবে, আমার রুচি কত ভাল।

এই ক্যালানো মুখ আবার যখন তিল্লির দিকে ফোকাস করেছে তখন ওই প্রান্তে অগ্নিগিরির আভা। এঁক...! তিল্লি হুংকার দিল।

"টপস দেখাচ্ছ কেন? সারা জীবন আমাকে পরতে দেখেও শিক্ষা হয়নি। যাও...ছবি দেখিয়ে কাবায়া খোঁজ।"

কোথায় কাবায়া, আর কোথায় টপস! ধুর...! গুল্লুর একবার মনে হলো কাবায়া-টাবায়া ফেলে কাবাব খেয়ে আসে। মার্কেটে ঢোকার মুখেই দেখেছে।

কিন্তু না। একবার না পারিলে দেখ শতবার - এ তিল্লিবাক্য স্মরন করে সে আবার এক্সপিডিশনে বেরিয়ে পড়ল। অবশেষে আধ ঘন্টার পরিশ্রমে ফল মিলল। এইতো কাবাবের দোকান - থুড়ি কাবায়ার দোকান।

এরপর আবার ভিডিও কল। এবার তিল্লি একটা পছন্দ করল। সোনালী রঙের। বেশ সুন্দর। কিন্তু হাইট আর সাইজ বোঝা যাচ্ছে না। গুল্লুর রিকোয়েস্টে দোকানি মহিলা টেপ উঁচু করে ধরল। কিন্তু ভাইবারে তো আর বোঝে না তিল্লি। এদিকে পছন্দও হয়েছে। আবার সাইজ না মিললে কনফিউশন।

কি করা যায়...??? দোকানীকে তো আর পরতে বলা যায় না। তাছাড়া তার সাইজের সাথে তিল্লির সাইজে অনেক ফারাক।

সুতরাং...এলো সেই অমোঘ নির্দেশঃ এই গুল্লু। তুমি পর না। আমাদের সাইজ তো একই।

এইবার...এইবার গুল্লুর প্রেম মাথায় উঠে গেল। তার আর বউয়ের সাইজ একই হয় কি করে? হাইট এক - সেটা ঠিক। কিন্তু ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক্স তো ধারে কাছেও না।

আর সবচে বড় কথা, এই এক মার্কেট লোকের সামনে সে পেটিকোট পরবে? তিল্লির জন্য? এর ওপর কাবায়াও? ততক্ষনে গুল্লুর মাথাটা বোঁ বোঁ করে ঘুরতে শুরু করেছে। প্রেম বড়, না প্রেস্টিজ..?? ধুত্তোর...! তিল্লির নিকুচি করি।

যাক...কাহিনী আর ফেনাবো না। শুধু এইটুকু জেনে রাখুন, সেই কাবায়া+পেটিকোট কেনা হয়েছিল। গুল্লুর দ্বারাই। এবং তিল্লিকে সেটা একদম ফিট করেছে।

কিন্তু কিভাবে সেই অসম্ভব সম্ভব হয়েছিল, তা কিন্তু জানি না। গুল্লুই শুধু জানে। আর জানে সেই দোকানী।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ফালতু ---

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

মন থেকে বলি বলেছেন: খুব কৃতজ্ঞ থাকব যদি গঠনমূলক সমালোচনা করেন। ভবিষ্যতে তাহলে লেখার মান বাড়াতে সাহায্য হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.