নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইন্স ফিকশন গল্পঃ স্বপ্নের মৃত্যু

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৫৮




শেষের শুরু
------------

অজানা একটি শহর।

নামহীন একটি বাড়ি।

আয়তাকার একটি কক্ষ। ভূগর্ভস্থ কক্ষটির মাঝখানে একটা বৃত্তাকার ফ্রেম খাড়া করে বসানো। ফ্রেমের বেইজ থেকে মোটা কুন্ডুলি পাকানো কয়েল চলে গেছে কক্ষের বাইরে। সেখানে একটা অতি শক্তিশালী আয়নিক জেনারেটরের সাথে যুক্ত হয়েছে কয়েলটি। এটি তৈরি করবে স্থির সময়ক্ষেত্র আর একটা ওয়র্মহোল।

লম্বা কক্ষটির একপ্রান্তে দুটি সার্জারি টেবিল। ওপরে ঝোলানো উজ্জ্বল আলোতে টেবিল দুটি ঝকঝক করছে। প্রথম টেবিলটি খালি। তবে দ্বিতীয়টি নয়। তাতে শোয়ানো এক মানবী। অসাধারন দেহবল্লরীর এক নারী। পূর্ণ যৌবনা কিন্ত সম্পূর্ণ নগ্ন। শুধু এক টুকরো সবুজ কাপড়ে ঢাকা তার মুখমন্ডল। ঈর্ষা জাগানোর মত সরু কোমর। তারপর অসাধারন একটি বাঁক নিয়ে নিতম্বের বিস্তার। কল্পনার মানবী বলে ভ্রম হবে যে কারও। অদ্ভুত সুন্দর নিটোল স্তনযুগল ধারন করা বুকে নেই কোন উত্থানপতন। কারন দেহটি প্রাণহীন।

কক্ষের অন্ধকারাচ্ছন্ন অপরপ্রান্তে কেউ একজন, অথবা বলা ভাল 'কিছু একটা' রয়েছে। প্রতিক্ষা করছে নির্দিষ্ট মুহূর্তটির জন্য। সেই বিশেষ মুহূর্তটির জন্য।

এখানেই গল্পের শেষের শুরু।



পূর্বকথন
--------

"আমি তোমাকে চাই র‍বি। ভালবাসি। অনেক...বিশ্বাস কর। আমি আর পারছিনা।"

"প্লিজ সারা, একটু বোঝবার চেষ্টা কর। আমি আর হেলেন এনগেজড। আমি ওকে ভালবাসি। এ সম্ভব নয়।" কাতর কন্ঠে বলে উঠল র‍বি।

"কি আছে হেলেনের মধ্যে যা আমার নেই। কোনদিক থেকে আমি ওর চেয়ে কম? বল আমায় রবি। বলতেই হবে তোমায় আজ। আমি আমার সবকিছু বদলে ফেলব, রবি। আমি হেলেনের থেকেও বেশি কিছু হব তোমার কাছে। তবুও তুমি আমাকে দূরে ঠেলে দিও না প্লিইইইজ...!"

সারা'র কন্ঠের কাতরতা রবির ভেতরটা নাড়িয়ে দেয়। বলা যায় একটা ভুমিকম্পের মত সারা তার অস্তিত্ব কাঁপিয়ে দেয়। কিন্তু কি করে বোঝাবে রবি? সারা কেন হেলেন নয় - এই প্রশ্নের উত্তর সারার মুখের ওপর দেয়া ওর পক্ষে সম্ভব নয়।

রবি তাই চুপ করেই থাকে।

সারা এগিয়ে আসে দু'পা। রবির বুক ঘেঁসে দাঁড়ায়। তারপর হঠাৎ জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। রবি কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কি করবে, বুঝে উঠতে পারে না।

সারার এই পাগলামি নতুন কিছু নয়। যেদিন থেকে রবি এই ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে জয়েন করেছে, সেদিন থেকেই এর শুরু। হেলেন, সারা, রবি - তিনজনই একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করেছে আর.এ. হিসেবে। সারা আর রবি একই ল্যাবে কাজ করে - একই প্রফেসরের আন্ডারে। হেলেন অন্য ল্যাবে।

রবির কাজ জীববিজ্ঞান নিয়ে। তার প্রফেসর এ লাইনের নামজাদা লোক। সারাও একই বিষয়ের। কিন্তু তার বাড়তি একটা আগ্রহ আছে। অসম্ভব মেধাবী সারার প্যাশন পদার্থবিজ্ঞান। সঠিকভাবে বলতে গেলে ওয়ার্মহোল, ব্ল্যাকহোল - অর্থাৎ মহাকাশবিদ্যা আর সময় পরিভ্রমন - এইসব নিয়ে। বায়োলজি ল্যাবে সে কাজ নিয়েছে শুধুমাত্র রবির সংগ পাওয়ার লোভে। যদিও এ বিষয়েও সে একজন এক্সপার্ট।

একজন মানুষের জন্য আরেকজন যে কতটা পাগল হতে পারে, সেটা সারাকে দেখে বুঝতে হবে। সমস্যা একটাই। সারা বুদ্ধিবৃত্তিক দিক দিয়ে ঠিক যতটাই আকর্ষনীয়, দৈহিকভাবে ততটা আকর্ষনীয় নয়। তবে তাই বলে চোখ ফিরিয়ে নেবার মতও নয়। শুধু চেহারাটা খুব অসুন্দর।

অন্যদিকে ছ'ফুটের কাছাকাছি উচ্চতার রবি দুর্দান্ত এথলেটিক শরীরের অধিকারী এক মেধাবী তরুন। পুরো ক্যাম্পাসের অর্ধেক মেয়ে তার জন্য দিওয়ানা। রবির উৎসাহ জীববিজ্ঞানেই। ডক্টরেটটা পাওয়ার জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যায় ল্যাবে আর ঘন্টার পর ঘন্টা কাটায় প্রফেসরের সাথে তত্ত্ব আলোচনায়। সারার সেদিকে মন নেই। সে শুধু যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকু করেই বাকি সময় পার করে রবির দিকে অপলক তাকিয়ে। আর অনর্থক জেনেও ক্রমাগত বলে যায় তার ভালবাসার কথা।

রবি প্রথম প্রথম রিয়্যাক্ট করত। নানাভাবে বোঝাতে চাইত তার নিরুপায়ের কথা। যতই সে তার অপারগতার কথা বলত, ততই সারা আরও অবুঝ হত। এখন রবি হাল ছেড়ে দিয়েছে। শুধু চুপ করে শোনে আর না-বোধক মাথা নেড়ে যায়।

রবির কিইবা করার আছে?

রবি যে হেলেনে আকৃষ্ট। সেই হেলেন। তার প্রফেসরের পার্সন্যাল এসিস্ট্যাণ্ট। যেদিন রবি প্রথম হেলেনকে দেখে, তার মনে হয় এই মেয়েটাকে তার চাইই চাই। অনিন্দ্য সুন্দর মুখশ্রী আর স্রষ্টার নিজ হাতে বানানো যেন এক দেবী। আর কি নম্র ব্যবহার! প্রথম দেখাতেই দু'জন দু'জনের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। এ যেন নিয়তি। রবি সারাক্ষন হেলেনের কথা ভাবে। হেলেন রবির। একদম পারফেক্ট একটা জুটি। আর তারমধ্যে একমাত্র অসামঞ্জস্য হলো সারার অন্ধ প্রেম রবির প্রতি।

এইসব ভাবছিল যখন, তখন সারার ঝাঁকুনিতে রবির সম্বিত ফেরে। সারা তখন দুহাতে শক্ত করে রবিকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা ঘসছে। হঠাৎ রবি অনুভব করল, সারা এমনভাবে তাকে ধরেছে যে ওর পুরুষ্টু বুক দুটোও ঘসা খাচ্ছে ওর দেহে। পুরুষ মানুষ, রবি ইচ্ছা না হলেও শক্ত হয়ে ওঠা স্তনবৃন্তদুটো অনুভব করতে পারল শার্টের ওপর দিয়েই। একবার অজান্তেই হাত উঠে এলো সারার পিঠে। ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তার দেহ যেন সাড়া দিতে চাইছে।

নিজেকে হঠাৎ খুব অপরাধী মনে হলো রবির। এ কি করছে সে? কেন সারাকে সহ্য করছে? তার হেলেন যদি কখনও জানতে পারে, তাহলে কি হবে রবি আর ভাবতে পারে না।

সুতরাং এক ঝটকায় সে সারাকে পিছনে ঠেলে দিল।

"দূর হও তুমি। আমি তোমার মুখও দেখতে চাই না।"

এভাবেই রবি ব্যাপারটা থেকে মুক্তি পেতে চাইল। ঘুনাক্ষরেও যদি বুঝত, নিজের এবং হেলেনের কি ভয়ানক সর্বনাশের বীজ সে বুনে ফেলল, তাহলে হয়ত অন্তত হেলেনের খাতিরে হলেও সে সারাকে সহ্য করত। কিন্তু পাশার দান পড়ে গেছে। এতটা রূঢ় রবি হতে চায়নি। কিন্তু উপায়ও ছিল না।

সারা পিছিয়ে গেছে কয়েক পা। ধাক্কায় এখনও ধাতস্থ হয়নি। শুধু চোখ দুটো জ্বলে উঠল শ্বাপদের মত। তার চেপে বসা ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে শুধু তিনটি শব্দ ছিটকে বেরুলোঃ

"তোমাকে আমি পাবই।"

এরপরই সারা বেরিয়ে গেল রুম থেকে। আর রবি আকাশপাতাল ভাবতে লাগল।

সারার পরিকল্পনাটা একইসাথে সাদামাটা, আবার জটিলও।

রবির কাছে সে নিজেকে হেলেনের থেকেও বেশি আকর্ষনীয়ভাবে উপস্থাপন করবে। তবে তাতেও যে রবি ওর প্রতি আকৃষ্ট হব্র না সেটা সারা বুঝতে পারছে। সুতরাং সমস্যার শেষ সে রাখবে না। হেলেনকে সরিয়ে দেবে পাকাপাকিভাবে। না, শুধু রবির জীবন থেকেই না। এমনকি দুনিয়া থেকেও না। সারা হেলেনকে সরিয়ে দেবে এই সময় থেকে। কিন্তু তারপরই মনে হলো - হেলেন কেন? সে-ই পৌঁছে যাক না স্বল্প দুরত্বের অতীতে। যেখানে হেলেনের আবির্ভাব ঘটেনি। রবি প্রথমেই দেখবে সারাকে। এবং ওর প্রেমে পড়ে যাবে।

সারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটা ছেড়ে দিল পরের সপ্তাহেই। এবার কাজে লাগাল তার অসম্ভব মেধা। আগেই বলেছি, জীববিজ্ঞান আর জেনেটিকস নিয়ে যেমন তেমনি পদার্থবিদ্যাতেও সারার দখল ছিল সাংঘাতিক। তার পরিকল্পনাটা ছিল এরকমঃ

সে একটা নারীদেহ বানাবে, যা হবে আদর্শতম গড়নের এবং মুখশ্রীর। সেই দেহে সে যোগ করবে তার নিজের মস্তিষ্ক। এভাবেই সে হয়ে উঠবে পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে কাম্য নারীতে।

কিন্তু অতীতে যাবে কিভাবে? তার গাণিতিক হিসাব বলছে, সে একটা স্থির সময়ক্ষেত্র তৈরি করতে পারবে। সেই সময়ক্ষেত্রে এরপর বানানো হবে ছোট্ট একটা ওয়র্মহোল। সেই ওয়র্মহোল দিয়ে নিজে পাড়ি দেবে অতীতে, যেখানে হেলেন আসেনি নেই। এইজন্য সঠিক সময়টা নির্বাচন করাটা অত্যন্ত জরুরী।

যেহেতু পুরো গবেষনাটাই সে স্থির সময়ক্ষেত্রে করবে, তাই তার যত সময়ই লাগুক না কেন, বাইরের পৃথিবীর বয়স বাড়বেনা এক মুহূর্তও। এভাবেই সে তার ইচ্ছা পূরন করবে।

সারা এখন তার বিশেষ গবেষনাগারের অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে সেই বিশেষ সময়ের জন্য। স্থির সময়ক্ষেত্র আগেই তৈরি করে নিয়েছে সে। এরপর জীববিজ্ঞানের চরমতম উৎকর্ষের নিদর্শন স্বরূপ সেই অপূর্ব নারীদেহ টেবিলে শোয়ানো। শুধু মুখটা সবুজ কাপড়ে ঢাকা।

সারা অপরেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে নিল। তারপর কম্পিউটারে কিছু বিশেষ নির্দেশ প্রবেশ করিয়ে শুয়ে পড়ল পাশের টেবিলে। মাথায় পরে নিল একই রকম হেলমেট যেরকম পরানো আছে সেই দেহটার মাথায়ও।

কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। আগামী পনের ঘন্টায় সারার জরাগ্রস্থ মস্তিষ্কের সমস্ত স্মৃতি কপি হয়ে যাবে ওই নতুন মস্তিষ্কে। আর সেই সাথে মৃত্যু ঘটবে তার পুরোনো দেহটার।

সারা সুইচটা টিপে দিল। বিদ্যুৎগতিতে স্মৃতিগুলো ভেসে উঠতে লাগল চোখের সামনে। তারপর একসময় সে নিস্তেজ হয়ে হারিয়ে গেল অতল রাজ্যে।

একে একে ঘড়ির কাঁটা ঘুরে গেল। জেগে উঠল নতুন সারা। একবার পুরোনো দেহটার দিকে তাকিয়ে সারা বলে উঠল নিজের মনেইঃ

"রবি, জান আমার। আমি আসছি। শুধু তোমার হতে আসছি।"



শেষ পর্ব
----------

সারা ল্যাপটপ বন্ধ করে চেয়ারে হেলান দিল। চোখদুটো বোঁজা। ঠোঁটের কপাটদুটো ক্লান্ত ভঙ্গিতে বেঁকে আছে। একসময় দুফোটা পানি চোখের কোন ভিজিয়ে গড়িয়ে এলো গাল বেয়ে। কি হবে আর এসব ভেবে?

কতদিন পার হয়ে গেছে। বিশটা বছর।

আজও সে ভুলতে পারল না রবিকে। সেই প্রত্যাখ্যাত হবার দিনটার পর সারা আর কখনই রবির মুখোমুখি হয়নি। বরং এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরি ছেড়ে চলে যায় অন্যদেশে। সময়ের সাথে সাথে প্রতিহিংসাও কমে আসে। কিন্তু প্রেম কমে না। সারারটা অন্তত কমেনি।

সারার পরিকল্পনা কাজ করেনি। করার কথাও নয়। ক্লোনিং হয়ত সম্ভব, কিন্তু স্মৃতি ট্র‍্যান্সফার অসম্ভব। অন্তত সেই সময়কার প্রযুক্তিতে। আর স্থির সময়ক্ষেত্র বা ওয়র্মহোল তো হিসেবেই সীমাবদ্ধ। সারার জীবনের মূল্যবান বিশটি বছর পার হয়ে গেছে। রবি নেই; অন্তত তার জীবনে সে পায়নি।

তাই সারা রবিকে পেতে চেষ্টা করেছে তার কাল্পনিক বাস্তবতায়। বাস্তব জীবনে রবি কোথায় আর কোথায়ই বা হেলেন, সারা খোঁজ রাখেনি। কিন্তু ভার্চুয়্যাল রিয়্যালিটিতে সে তার রবিকে তৈরি করেছে।

সেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পর সে মনপ্রান দিয়ে তৈরি করেছে তার একান্তই নিজের ভার্চুয়্যাল জগৎ। আর সেই জগৎ তৈরি হয় তার লেখা বিশেষ প্রোগ্রামে। ল্য্যাপটপে সে তার কল্পনাগুলো লিখে যায়। সেটাকেই বাস্তবে জাগিয়ে তোলে তার ভি আর মেশিন। এরপর শুধু ওর মধ্যে ঢুকে পড়া।

গত দশটা বছর সারার সংসার রবির সাথে। সুখের জীবন। অদ্ভুত সুন্দর একটা দ্বীপে তাদের বাড়ি। সেখানে খেলে বেড়ায় দেবশিশুর মত তাদের দুই সন্তান। প্রতিরাতে উদ্দামভাবে তার রবি তাকে আদর করে। চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দেয় সারা দেহ। তাদের ঘামে ভেজা দেহ ঘন্টার পর ঘন্টা আন্দোলিত হয়। সেটাই সারার শ্রেষ্ঠ সময়। চরম পুলকে যখন সে কেঁপে কেঁপে ওঠে তখন সে ভুলে যায় এ অনুভুতি তাকে দিচ্ছে তারই বানানো যন্ত্র, রবি নয়।

তাতে কি? এটাই সারার বাস্তবতা। যন্ত্রটা থেকে বেরুলেই সে যেন এক কর্কষ পৃথিবীতে ফিরে আসে। যেখানে সারা এক প্রৌঢ়। রবি বলে কেউ নেই। কিন্তু যন্ত্রের মাঝের পৃথিবীতে সারা আর রবি চির যৌবনা। তাদের পৃথিবী আনন্দ আর উচ্ছলতায় ভরপুর।

সারা আবার তার ল্যাপটপ টেনে নেয়। নতুন দিনের ঘটনাবলী কোডিংএর অন্তর্জালে লিখে ফেলতে থাকে। আরেকটু পরই সে ঢুকে যাবে তার ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির যন্ত্রে ; যেখানে রবি তার জন্য দুনিয়াজোড়া ভালবাসা নিয়ে অপেক্ষা করে আছে।

(সমাপ্ত)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওরে ব্বাব্বা.।.। সব কিছু মিলিয়ে সুন্দর চেষ্টা। ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

মন থেকে বলি বলেছেন: প্রথমবার একটা গল্প লেখার চেষ্টা করলাম।
মানোত্তীর্ণ হবার প্রশ্নই ওঠে না। তাও যে আপনি পড়েছেন এইজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.