নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যগল্পঃ ছবি

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২




এই কাহিনী কিন্তু আমার না, আমার বন্ধু সাধু খাঁর য়্যুনিভার্সিটি লাইফের গল্প। কাহিনী নিজ মুখে না বললে জমে না। তাই সাধুর জবানীতেই বলছি।
.
.
.
সবে ভর্তি হয়েছি বুয়েটে। প্রথম টার্ম যাই যাই করছে। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শরীফ থাকত শেরে বাংলা হলের ৪০০৫ নম্বর রুমে। সিনিয়র জিপু ভাই (ব্যাচ আর ডিপার্টমেন্ট মনে নেই) এর রুমে দখল পেল দরজার পাশের খাটটার। জিপু ভাইয়ের বিছানাটা ভেতরের দিকে দেয়াল ঘেঁসে। একটা আলমারি কিছুটা আড়াল তৈরি করেছে।

সেই রুমে পুলক, বাবু আর আমার আড্ডা জমত। আরও একটা কারন ছিল রুমে যাওয়ার। একটা বিশেষ আকর্ষন ছিল আর সেটা ঝুলত জিপু ভাইয়ের বিছানার পাশের দেয়ালে। একটা ছবি। সাধারন পেইন্টিং। কিন্তু আমাদের কাছে চরম আরাধ্য। একটা অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে মোটামুটি প্রকাশিত হয়ে লাস্যময়ী ভঙ্গীতে বালিতে শুয়ে আছে। ছবিটা সামনে থেকে আঁকা। আর বিশদ বর্ণনায় না যাই। জিপু ভাই না থাকলে ছবি গোটানো থাকে। উনি উপস্থিত থাকলে মর্জিমত খোলেন। সেইসময় আর আমরা উপস্থিত থাকিনা।

তখন সবে ফার্স্ট ইয়ার। এরকম একটা 'সৌভাগ্যময়' দিনে একবার ছবিটা দেখেছিলাম। ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র আমরা। মাথাটা কেমন যেন গিটঠু মেরে গেল। আরেকবার দেখার জন্য হা পিত্যেশ করে মরি। কিন্তু সময় আর সুযোগ দুটো একসাথে মেলেনা। শুধু শরীফের কাছে বর্ণনা শুনি মাঝে মাঝে। উফ...! কি বর্ণনা।

লেগে থাকলে কিই না হয়। আমাদের আড্ডা দেওয়া বেড়ে গেল। এরকম একদিন যেদিন জিপু ভাইয়ের ক্লাস আছে, আমরা তিনজন জুটলাম শরীফের রুমে। জিপু ভাই নেই। ছবি গুটিয়ে তুলে রাখা আলমারির মাথায়। কালবিলম্ব না করে বাবু ছবিটা ঝোলালো।

আহা...! পরম আরাধ্য রূপসী আমাদের সামনে। আমরা হা করে চেয়ে রয়েছি আর ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলছি। আমাদের মধ্যে পুলক একটু লাজুক ধরনের ছিল। সে একটানা দেখছে না আমাদের মত। বাবু একবার হাত বুলিয়ে নিল।

আর ঠিক সেই সময়....

সেই সময় বারান্দায় পায়ের শব্দ। কার....? শরীফ একবার উঁকি দিয়েই চাপা স্বরে চিৎকার দিলঃ 'জিপু ভাই। কুইক।'

আর কুইক। পায়ের শব্দ তখন দরজার কাছে চলে এসেছে। বুদ্ধিমান শরীফ বিছানায় সটান লম্বা। চোখ বন্ধ। আমি আর পুলক বসে গেলাম শরীফের টেবিলে। মেকানিক্স বই খুলে। পড়ালেখায় গভীরভাবে মগ্ন দুই ছাত্র। ফেঁসে গেল শুধু বাবু। না আছে টেবিল খালি, না আছে অন্যকিছু। তারওপর সে এতক্ষন জিপু ভাইয়ের বিছানায় শুয়ে শুয়ে ছবি দেখছিল। ওঠার টাইমটুকুও পায়নি বেচারা।

কি করল বাবু?

টেবিলের ওপর জিপু ভাইয়ের একটা কাউবয় হ্যাট ছিল। সেইটা মুখের ওপর চাপা দিয়ে লম্বা হয়ে ওনারই বিছানায় শুয়ে পড়ল। কোন নড়ন চড়ন নেই। আমরা আড়চোখে দেখলাম জিপুভাই রুমে ঢুকলেন। এক মুহূর্ত থমকালেন। তারপর একটু তাড়াহুড়া করেই যেন টেবিলের ওপর থেকে একটা বই নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। মুখ গম্ভীর।

লাস্যময়ী নায়িকা তখন সিলিং ফ্যানের বাতাসে অল্প অল্প দুলছে।


#রম্যতাড়না

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


অতি দরিদ্র প্লট

২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫১

মন থেকে বলি বলেছেন: চেষ্টা তো চালিয়ে যাই। কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি।

২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫১

মন থেকে বলি বলেছেন: চেষ্টা তো চালিয়ে যাই। কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

সালমান মাহফুজ বলেছেন: রম্য ! তবে হাসি পাচ্ছে না যে !

চালিয়ে যান । আরো ভালো কোয়ালিটির রম্যের প্রত্যাশায় ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১১

মন থেকে বলি বলেছেন: সবকিছু কি আর মানোত্তীর্ণ হয়? এটা আসলে আমার বুয়েট জীবনের একটা ঘটনা।
তবে সাথে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.