নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ সুখে থাকা

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

হঠাৎই একদিন ফোনটা এলো অয়নের কাছে।


গল্পের শুরু হিসেবে এটা আহামরি কিছু নয়। কিন্তু অয়নের জীবনের জন্য আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা তো বটেই। কারন ফোনটা করেছে একটা মেয়ে - নীলা। অয়ন দারুন অবাক হয়। কারন তার কাছে কস্মিনকালেও কোন অচেনা মেয়ে ফোন করে না। অন্তত এতদিন করেনি। এ ব্যাপারে অয়নের বাবা-মা দু'জনেরই প্রচন্ড কড়াকড়ি। ছেলের আবার মেয়েবন্ধু কি। একমাত্র সুস্মিতা মাঝে মাঝে ফোন করে। সুস্মিতাকে ওর বাবা-মা প্রশ্রয় দেয় কারন ও খুব পড়ুয়া। অয়নও তাই। ওরা একসাথে পড়ালেখা করে। বাইরে তাই-ই। কিন্তু ভেতরে ভেতরে অয়ন আর সুস্মিতা নতুন প্রেমিক-প্রেমিকা। তবে ওই বয়সে যা হয়, পড়ালেখার মধ্যেই যতটুকু প্রেম করা যায় আর কি।


তাই নীলার ফোন অয়নকে ভালই চমকে দেয়। কে মেয়েটি? অয়ন কয়েক মুহূর্ত ভাবে। অবশ্য এক নীলার কথা সে শুনেছে সুস্মিতার কাছে। একই টিউটরের কাছে পড়ে সুস্মিতা আর নীলা। এই নীলা সেই নীলা নয়ত? ফোন ধরে 'হ্যালো' বলতেই ওপাশ থেকে রিনঝিন শোনা যায়ঃ 'হ্যালো, অয়ন বলছ? আমি নীলা। চিনতে পেরেছো? সুস্মিতার বান্ধবী। সুস্মিতা নিশ্চয়ই আমার কথা বলেছে।" এতদূর শুনেই অয়ন বুঝতে পারে, এ হলো সেই নীলা যার কথা সে রক্তিমের কাছেও শুনেছে।


রক্তিম ওর কলেজের বন্ধু। আর ঘটনাচক্রে নীলা হলো রক্তিমের এক্স প্রেমিকা। আসলে বলা উচিৎ রক্তিম হলো নীলার প্রাক্তন প্রেমিক। কারন সম্পর্কটা রক্তিমই ভেঙ্গে দিয়েছে। অদ্ভুত একটা কারনে। রক্তিমের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য - সে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী হবে। প্রেম, ভালবাসা - এসবই মানুষকে লক্ষ্যচ্যুত করে ফেলে, অন্তত রক্তিমের মত তাইই। সুতরাং সে ডিফোকাসড হতে চায় না। শার্ট বদলাবার মত করেই সে যেন ঝেড়ে ফেলেছে নীলাকে তার জীবন থেকে।


অয়ন অবাক হয় রক্তিম যখন বলেঃ
"ধুর মিয়া। আমার অত টাইম নাই প্রেম করার জন্য। তাছাড়া নীলা অসুস্থ। ক্যান্সার-টাইপ। এমন একজনের সাথে ঝুইলা থাইকা লাভ নাই। আমার জীবনে শুধু আছে একটাই জিনিস। আর তা হইলো ফিজিক্স। বুঝছ মিয়া।"

অয়ন ভাবেঃ আমার দেখা সবচে' নিষ্ঠুর মানুষ হলো রক্তিম। কেউ যে হাসিমুখে তার এককালের ভালবাসার মানুষটাকে নিয়ে এভাবে বলতে পারে, না শুনলে বিশ্বাসই করতে পারতাম না। রক্তিমকে ওর খুব নীচ বলে মনে হয়। অয়ন কিন্তু মুখ ফুটে বন্ধুকে বলতে পারেনা। বরং দেখে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়াই রক্তিমের জীবনের ধ্যান-জ্ঞান। অয়নের খুব মায়া লাগে নীলার জন্য। আসলে মেয়েটা অনেক দুঃখী। আর কপাল খারাপ না হলে কি আর রক্তিমের মত এক পাষন্ডের মন দেয়। কিন্তু ওই মন খারাপ হওয়া পর্যন্তই। এর বেশি কিছু করার নেই অয়নের।


ফোনটা পেয়ে অয়ন এক মুহূর্ত ভাবেঃ "সুস্মিতা আমাকে বলল না কেন যে নীলা আমাকে ফোন করতে পারে? হয়ত ভুলে গেছে।" অয়ন ঠিক করে সুস্মিতাকে বলবে এভাবে যেন ওর ফোন নম্বর অন্য কোন মেয়েকে না দেয়। বাসার ফোন - কি থেকে কি ঝামেলা হয়ে যায় কে জানে। ভ্যাজাল থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।


অয়ন গম্ভীর গলায় উত্তর দেয়ঃ "হ্যাঁ, চিনতে পেরেছি। ভাল আছ তুমি নীলা? কি ব্যাপার, বল তো?"

কথায় কথায় জানা যায়, নীলার ফোনটা একটা ছোট্ট অনুরোধের। অনুরোধটা একটু অদ্ভুত শোনাবে হয়তো। কিন্তু অয়নের জন্য খুব সামান্য একটা কাজ। অয়ন কি পারবে নীলাকে এই সামান্য সাহায্যটুকু করতে? একটু অসহিষ্ণু হয়েই অয়ন বলে ওঠেঃ

- আহা...আগে বলই না কি এমন কাজ। না শুনলে বুঝব কি করে পারব, না কি পারব না?

- তুমি তো রক্তিমের বন্ধু, তাই না?

- হ্যাঁ। রক্তিমের সাথে কি ব্যাপার বলতো?

- কাজটা রক্তিমের সাথে। তোমাকে নিশ্চয়ই সুস্মিতা বলেছে আমাদের সম্পর্কের অবস্থাটা। রক্তিম আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ করে না। কি অদ্ভুত! তুমি কি ওকে একটা অনুরোধে রাজি করাতে পারবে?

- কি অনুরোধ?

- শোনো, আমার কয়েকটা চিঠি রয়ে গেছে ওর কাছে। আমি অনেকবার ফেরত চেয়েছি। রক্তিম দিতে রাজি হয়নি। কেন, ও-ই জানে। কিন্তু যে সম্পর্ক ও নিজেই ভেঙ্গে ফেলেছে, সেটার স্মৃতি বয়ে বেড়াবার তো কোন মানে নেই। কিন্তু চিঠিগুলো ও ফেরত দিচ্ছে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রক্তিম তোমার অনুরোধ ফেলবে না। তুমি প্লিজ আমার এই উপকারটুকু করো।

- পারব না কেন? আমি কালকেই রক্তিমের সাথে কথা বলব।


হঠাৎ করে রাজি হয়ে অয়ন নিজের ওপরই যুগপৎ বিরক্ত এবং অবাক হয়। প্রথমতঃ এরকম একটা অনুরোধ স্বল্প পরিচিত কাউকে করা যায় কি না, ওর সন্দেহ আছে। খামাখা একটা ভ্যাজাল। রক্তিম থাকে সেই মুগদাপাড়া। ওর বাসা থেকে অনেক দূর। দু'বার বাস পালটে তারপর যেতে হয়। বিরক্ত লাগে রক্তিমের ওপরও। আরে...তুই সম্পর্কের ব্রেক আপ করে ফেলেছিস। এখন চিঠিপত্র আগলে রাখার কারণ কি? যার জিনিস তাকে দিয়ে দিলেই হয়। খামাখা আটকে রাখার কারন কি? যাই হোক, কথা যখন দিয়ে ফেলেছে, অয়ন কাজটা করবে। ওর কোন সন্দেহই নেই যে ওর অনুরোধ রক্তিম ফেলবে না। সামান্য কাজ। কি জন্য নীলাকে দেয়নি, তা ভাবতে যাওয়ার কি দরকার।


নীলার সাথে কথা শেষে অয়ন ফোন করে রক্তিমকে। বলে দেয় যে কালকে যাবে ওর বাসায়। রক্তিমও জানায় সে আছে। অয়ন ঠিক করে সামনাসামনি বলবে রক্তিমকে। কেন যেন ফোনে বলতে বাধো বাধো ঠেকল ওর।


অবাক ব্যাপার, রক্তিম কিন্তু রাজি হলো না চিঠিগুলো দিতে। অদ্ভুত ছেলে! সম্পর্ক রাখবে না, নীলাকে নিয়ে নিষ্ঠুর তামাশা করবে বন্ধুদের সাথে, কিন্তু চিঠিগুলো হাতছাড়া করবে না। ওর বক্তব্য হলো, এগুলো সে স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে চায়। অয়ন বোঝানোর চেষ্টা করে যে মেয়ের সাথে তোমার সম্পর্ক নেই তার চিঠি আটকে রাখা শুধু মুর্খামিই নয়, বরং অন্যায়ও। আর যেখানে সেই মেয়ে বারবার অনুরোধ করছে সেগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য সেখানে এরকম আচরন করা রক্তিমের মোটেও ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু রক্তিম অনড়। সে চিঠি দেবে না। অনেক অনুরোধের পর ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে অয়ন। আরও অবাক ব্যাপার, এজন্য নিজেকে কেমন যেন অপরাধী লাগতে থাকে তার। মনে হয়, নীলাকে মুখ দেখাতে পারবে না।


দুইদিন পর আবার নীলার ফোন।

- অয়ন, আনতে পারলে?

- স্যরি নীলা। রক্তিম কিছুতেই দিল না। আয়্যাম স্যরি।

- আরে নাহ..। তুমি স্যরি হচ্ছ কেন? আমারই আসলে উচিৎ হয়নি তোমাকে এরকম একটা অনুরোধ করার।

- আমার খারাপই লাগছে তোমাকে সাহায্য করতে পারলাম না।

- এরকমই তো হওয়াএ কথা। আমি তো রক্তিমকে চিনি। বাদ দাও তো। তোমার কথা বল।


সেদিন এরপর অনেকক্ষন কথা হলো দুজনের। নীলা ওর জীবনের অনেক কথাই জানালো অয়নকে। অয়নও মন দিয়ে শুনল। এবং মহার ব্যাপার - দুজনেই এক সময় লক্ষ্য করল যে ওদের কথা বলতে ভাল লাগছে। ঠিক যেমন খোলামনে কথা বলা যায় প্রাণের বন্ধুটার সাথে, অয়ন আর নীলা সেরকমই অনুভব করছিল।


এরপর মাঝে মাঝে নীলা ফোন করত অয়নকে। অনেক কথা হত - সবই এলেবেলে, বন্ধুরা যেমন বলে আর কি। দিন গড়ায়, মাস ঘুরে বছর চলে আসে। দু'জনের বন্ধুত্বটা আরও গাঢ় হয়। ওরা খেয়ালই করেনি কখন সম্বোধনটা তুমি ছেড়ে তুইতে নেমে এসেছে। নীলা বলে ওর বান্ধবীদের কথা, ওর মায়ের কথা। অয়ন বলে সুস্মিতার সাথে ওর ঝগড়ার কথা, একে অন্যকে বুঝতে না পারার কথা। নীলা স্বান্তনা দেয় অয়নকে। বলে, এরকম হবেই। অয়নও মন খুলে কথা বলতে পারে নীলার সাথে। শেয়ার করে সবকিছু।


এভাবে কখন যে দু'জনই সম্পর্কটা অন্যরকম স্তরে নিয়ে গিয়েছে, দুজনের কেউই টেরই পায়নি। একদিন অয়ন খেয়াল করল, ইদানিং ও তীব্রভাবে অপেক্ষা করে নীলার ফোনের জন্য। অয়ন নিজেকেই প্রশ্ন করেঃ আমার হলোটা কি? কোনভাবেই ও নীলাকে বন্ধুর চেয়ে অন্যকিছু ভাবতে চায়নি। নীলাও কি ভেবেছে? অয়ন নিশ্চিত নীলাও ওকে বন্ধুই ভাবে। কিন্তু মন যে অন্য কথা বলছে আজকাল। সুস্মিতার কথা যতটুকু মনে হয়, তারচে' অনেক বেশি মনে হয় নীলার কথা। এভাবে কয়েকদিন নিজের মনের সাথেই যুদ্ধ করে সে। জোর করে নিজেকে বোঝাতে চায় সে সুস্মিতাকে ভালবাসে আর নীলা শুধুই তার ভাল বন্ধু। কিন্তু আয়নার সামনে কি আর মিথ্যা আচরন করা যায়? তেমনি নিজের মনের সাথেও তো ছলনা করে লাভ নেই। অয়ন বাধ্য হয়ে মেনে নেয় - নীলাকে সে অন্য জায়গায় বসিয়ে দিয়েছে কখন জানি। নীলা এখন আর শুধু বন্ধু নয়, বিশেষ কেউ।


অয়ন তাই সুস্মিতার সাথে খোলাখুলি হয় একদিন। ও চাচ্ছিল না সুস্মিতাকে মিথ্যা আশায় রাখতে। সুস্মিতা প্রথমে হতভম্ব হয়ে যায়। তারপর অবশ্য এক সময় বুঝতে পারে অয়নের যুক্তি, কষ্ট হলেও। এতগুলো দিন ওরা আসলে চেষ্টা করে গেছে এজে অন্যের প্রেমে পড়ার। কিন্তু সত্যিকারের সর্বগ্রাসী প্রেম হয়নি ওদের মধ্যে। তাইতো - যে সম্পর্কে প্রান নেই, সেটা টেনে নিয়ে যাওয়া অর্থহীন। তাই একদিন অয়ন আর সুস্মিতা সম্পর্কের ইতি টানে। সুস্মিতা সরে যায় অয়নের জীবন থেকে। তবে পরবর্তীকালে সুস্মিতা আবার অয়নের জীবনে ফিরে এসেছিল। তবে অন্য রূপে। সে আরেক গল্প। সুযোগ পেলে বলা হবে হয়ত কোনদিন।


তারপর দিন গড়ায়, বছর গড়ায়। নীলা তার বেস্ট ফ্রেন্ড থেকে অন্যকিছুতে পরিনত হয়েছে। অয়ন অপেক্ষা করে নীলার ফোনের - নীলা অয়নের। তখন তো মোবাইল ছিলনা, তাই ল্যান্ডফোনই ভরসা। হঠাৎ হঠাৎ অয়নের বাসার ফোনটা ঝনঝন করে বেজে উঠত। কানে ধরলেই শুনতে পেত মুক্তদানার শব্দঃ হ্যালোও...!


এরকমই একদিন অয়ন প্রোপোজ করে নীলাকে। নীলার হ্যাঁ শুনে অয়নের নিজেকে মনে হয় পৃথিবীর রাজা। আর তার হৃদয়েশ্বরী হলো নীলা।


এরপর.....এরপর নীলা আর অয়নের প্রেমের কাহিনী অন্য দশটা কাহিনীর মতই। ওদের সম্পর্কটা হাঁটি হাঁটি পা পা করে পাঁচ বছর পার করে ফেলে অসংখ্য ঝড় ঝাপটার প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে।


গল্পটা এখানেই শেষ করে দিলে কেমন হয়? হ্যাপিলি এভার আফটার মনে হচ্ছে না? অনেকটাই তাই। সুতরাং আমরা শেষ পর্যন্ত দেখব নীলা আর অয়নকে।


পাঁচটি বছর প্রেমের লুকোচুরির পর অয়ন নীলাকে একদম নিজের করে নেয়। ওরা পালিয়ে বিয়ে করে ফেলে। তারও দুবছর পর দুপক্ষই মেনে নেয়। অয়ন আর নীলা হয়ে যায় পৃথিবীর সুখীতম কাপল।


তারপর পার হয়ে গেছে ১৫টি বসন্ত। মজার ব্যাপার হলো এখনও ওদের বন্ধুরা বলে, ওদের কেমিস্ট্রি নাকি অসাধারন! এরকম তারা নাকি আর দেখেনি। ওরা শুধু হাসে। কেউ কেউ জানতে চায় - এই সম্পর্কের রসায়নের গোপন কথাটা কি। ওরা তাতেও হাসে। নিজেরাই কি জানে যে বলবে। ওদের নাকি বয়স বাড়েনা। এও বলে কেউ কেউ। এইসব কিছুই সম্ভব হয়েছে নীলার জাদুকরিতে - অয়ন ভাবে। এটাই সেই কেমিস্ট্রির মূল কথা। কিন্তু মানুষকে যে তা বোঝনো যায় না।


অয়ন আর নীলা ভালই আছে। দুটি সন্তান হয়েছে। ওদের প্রেম যেন আরও গাঢ় হয়েছে সময়ের সাথে সাথে। খুঁটিনাটি বলতে গেলে মহাকাব্য হয়ে যাবে। তাই গল্প এখানেই শেষ।

---------------------
(সমাপ্ত)

#গদ্যতাড়না

২ অগাস্ট ২০১৭

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.