নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাঁতার শিখবে, বাচ্চে?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২




আমার দুই ছেলে চোখের সামনে ইউথ ক্লাবের গলাজল সুইমিংপুলে সাঁতরাতে শিখে গেল। ওরা সাঁতার শিখত আর আমি এক দঙ্গল নানান বয়সী মা'দের সাথে বসে থাকতুম। আহা...! যেন হংস মধ্যে বক।


অনেকদিন পার হওয়ার পর মনে হলো, প্র‍্যাক্টিসের অভাবে ভুলে না কি যায়। কি করা যায়? চলো অফিসার্স ক্লাবে। সদস্যের স্পাউস (যেমন আমি) এবং সন্তানদের জন্য সুইমিং ফ্রি। এমনকি নামমাত্র মূল্যে সাঁতার শেখাও যায়।


এই শেষ প্রলোভনটাতেই আমি পড়ে গেলুম। সাঁতার শিখব। ভর্তি হতেও দেরি হলো না। সুইমিং শর্টস কেনা হলো, গগলস কেনা হলো, ইয়ারপ্লাগ কেনা হলো, এমনকি ক্যাপও কেনা হলো। একদম মাইকেল ফেলেপস হয়ে পুলে নামব আমি - এই করিনু পণ। তাই শুক্কুরবারে নামাজের পরপরই হাজির হয়ে গেলুম। সাথে দুই ছেলেও আছে। ওরা প্র‍্যাকটিস করবে। পুলের চারপাশে (এখানেও) অল্প বয়সী সুন্দরী মা'রা চেয়ার পেতে বসে আছে। মাঝে মধ্যে গোলাপ বাগানে ফণিমনসার মত দু'চাট্টে বাবাও আছে দেখলুম। বেশিরভাগই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত।


পুল ভর্তি গুঁড়োগাঁড়া বাচ্চা। সর্বোচ্চ বয়েস বছর বারো হবে। ইন্সট্র‍্যাক্টর দু'জনও ভাসছে। একবার শুনলাম পোঁ করে বাঁশি বাজিয়ে নিল। নামার সিগন্যাল। আমি প্রস্তুত হলুম। যখন হাপ-পেন্ট পরে হেঁটে যাচ্ছি, জোড়া জোড়া চোখ আমার দিকে ঘুরে গেল। নিজেকে মনে হলো র‍্যাম্প মডেল।


পুলে নামব, ইন্সট্যাক্টর হাঁ হাঁ করে তেড়ে এলোঃ "স্যার, এখন আপনাদের সাঁতারের সময় না। চারটে পর্যন্ত ছাত্ররা সাঁতার শিখবে।" আমি গম্ভীর মুখে জানালুম যে আমি ছাত্র। আমিও সাঁতার শিখতেই এয়েচি।

ব্যাটা ভিড়মি খেল। লোমশ গা'এর এই 'ব্যাটাচ্ছেলে' সাঁতার শিখবে? তা-ও শিশুদের সাথে? আড়চোখে দেখি ললনাবৃন্দ আস্তে আস্তে মোবাইলের ক্যামেরা তাগ করছে আমার দিকে। এ দৃশ্য তো হাটে মাঠে মেলে না। "একপাল শিশুর সহিত একটি দামড়া" - আরেকটু পরই ফেসবুক ভাইরাল হয়ে যাবে এই ক্যাপশনে। দু'চার জন ভাল এঙ্গেল পাওয়ার আশায় কয়েক পা এগিয়েও এলো।


আর আমি...?


ভাল একটা শট দেওয়ার জন্য বুক পানিতে জয় গুরু বলে ওঠ-বোস করতে শুরু করলুম।


-------------------------------------
উপসংহারঃ
আমি সপ্তাহ তিনেক লেগে ছিলুম। কিন্তু প্রত্যেকদিন ইন্সট্র‍্যাকটর আর অপেক্ষমান ললনাদের তীর্যকদৃষ্টি আর হজম করতে পারিনি। রণে ভঙ্গ দিয়ে এখন শুধু হাপ-পেন্টের দিকে তাকিয়ে থাকি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলি।



২৪ অগাস্ট ২০১৭ | রাত ৮:৩৯ মিনিট
#গদ্যতাড়না

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আহা !

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

মন থেকে বলি বলেছেন: এত্ত হাসি...! তাইলে আমিও হাসি।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

সুমন কর বলেছেন: মজার। =p~

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

মন থেকে বলি বলেছেন: ;)

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

মৌমুমু বলেছেন: খুব মজার করে লিখেছেন ভাইয়া।:) :)
আমি সাঁতার শিখেছিলাম সুলতানা কামাল ক্রিয়া কমপ্লেক্সে। আমার সাঁতার শিখতে লেগেছিল ৮ দিন। তারপর শখ থেকে করেছি আরো প্রায় বছর। আপনার লিখাটা পড়ে আবারো ভর্তি হতে ইচ্ছে করছে কিন্ত সময় হয়না।:(
আপনার সাঁতার শেখার অপেক্ষায় রইলাম।:)
ভালো থাকবেন ভাইয়া।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

মন থেকে বলি বলেছেন: এ জীবনে আর হবে বলে মনে হচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.