নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডায়েট কম্মকাবার by Uber

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

কি বললে, উবার?
ফের চড়তে গেলে ভাবব আমি দু'বার।
ভাবছ, হঠাৎ গেলাম ক্ষেপে কেন?
এর পিছনে একটা কিছু কারণ আছে জেনো।


রোসো, রোসো, চাঁদু আমার, বাদ দেব না কিছুই।
ভদ্রলোকটি ক্ষেপল কেন, মিথ্যামিথ্যি? মিছেই?
ঘটনাটি নয় আগেকার, মাত্র গতকালে
কত্তদিনের জোর সাধনা ডুবিয়ে দিলে জলে।


জানো বোধহয় আমার একটু স্বাস্থ্যবাতিক আছে,
ফি হপ্তায় ওজন মাপাই ব্যস্ততারও মাঝে।
কিই না করি ভুঁড়িটাকে দাবিয়ে রেখে চেপে
তাও সে ব্যাটা ছিঁড়বে বোতাম, উঠবে ফুলে ফেঁপে।


সেইজন্যই ডায়েট সাজাই অনেক হিসেব করে
সকালবেলা একটা রুটি - ডিম বা আলুর ঝোলে
দুপুরবেলার লাঞ্চটাকে তো মেরে দেই কাটছাঁটে
দু'কাপ শুধু Knor Soup এ চুমুক দিয়ে কাটে।
সাথে থাকে একটা দুটো বিস্কুট ওটমিলে
নয়ত ক'পিস পেয়ারা চিবুই আমি হেসে খেলে।
সন্ধ্যারাতে বাড়ি ফিরে যাহোক কিছু খেলাম
কার্বোহাইড্রেট ছাড়া যে ভাই দিন কাটিয়ে দিলাম।
দুমুঠো ভাত খাই রসিয়ে, শাকপাতা এক বোঝা
মাছ বা গোশত যা হোক পেটে ভরে দেই সোজা।


এই হলো মোর ডায়েট রুটিন, নিত্যদিনের খাদ্য
কষ্ট করে কন্ট্রোলে রাখি লোভের ঢাকের বাদ্য।
আমার আবার রস জিলিপি বড়ই প্রাণ টানে
অফিস থেকে দু'পা হেঁটেই যায় পাওয়া দোকানে।
সেই কারনেই ভুলেও আমি না হাঁটি ওপথে
গেলেই জানি জিলিপি মোর আসবে উঠে হাতে।


তাই বলছি,
এরমধ্যে যদি কারও জন্য রুটিন ভাঙ্গে
থাবড়া দিতে ইচ্ছে করে, বলো তার দু'কানে।


তাই করেছে উবার
আমায় দিয়ে খাইয়েছে সে
গাদাখানেক খাবার।
ভূমিকাটা শেষ করে চলো আসল কথায় আসি
উবার ব্যাটা ক্যামনে দিল এই আমারে ফাঁসি।


সেদিন আমি ছিলাম কঠিন ডায়েট দিয়ে মুড়ে
অফিস শেষে উবার ডাকি ফিরব চড়ে ঘরে।
আমার অফিস যেথায় সেটা দৈনিক বাংলা মোড়
উবার ব্যাটা পৌঁছাতে তার একটু হবে ঘুর।
চট করে সে জানায়ঃ "স্যার, আমি পল্টনে মুখ গোঁজা
কষ্ট করে দু'পা হেঁটে আসতেন যদি সোজা।
দুজনেরই সুবিধে তাতে, মিলব তাড়াতাড়ি
জ্যামের যে বহর দেখি, নেই যে ছাড়াছাড়ি।"


ডিনার সারার অস্থিরতায় বেকুব হলো রাজি
একটিবারও টের না পেলাম উবার ব্যাটা পাজি।
আমায় সে হাঁটিয়ে নেবে বাংলা থেকে পল্টনে
পথেই ফাঁদ পাতা আছে জিলিপির দোকানে।


যেই সামনে গেলাম,
সারাদিনের ডায়েট মায়েট কোথায় যে হারালাম।
ছটা মোটা জিলিপি টইটুম্বুর রসে
এক নিমিষে ফেলল তারা আমায় এনে বশে।
অন্তরাত্মা চ্যাঁচাচ্ছিল - 'যাসনে ওরে বোকা,
সারাদিনের কষ্ট ডায়েট সব পাবে যে ধোঁকা।'
কিন্তু হাতটা নিল না যে একটা কথাও কানে
ওয়ালেট থেকে কড়কড়ে নোট দিল সে যে গুনে।
কড়ার তেলে গরমাগরম জিলিপিগুলো ভেসে
ঠোঙ্গায় চড়ে আমার হাতে এলো এক নিমিষে।


হলো, যা হবার তা হবার।
দেখি সামনে দাঁড়িয়ে আছে
সেই সে ব্যাটা উবার।
ওর জন্যই হলো আমার ডায়েট কম্মকাবার।


উবার চড়ে বসে খুলি ঠোঙ্গার গিটঠুগুলো
জিলিপি দেখি ডাকছে আমায় - 'দে ডুবিয়ে নুলো'।
কামড় দিলে মুখ ভরে যায় বেহেশতেরই রসে
কোথায় হারায় Knor Soup আর বিস্কুট গেল ভেসে।
সারাদিনের, হপ্তা ধরে কষ্টে ডায়েট করা
ছটা রসিক জিলিপিতে খেয়ে গেল ধরা।


ডায়েট কেন ফেল মারল, বলতে হবে আবার?
কিছুই হতো না যদি না ডাকতাম আমি উবার।


#কাব্যতাড়না
#রম্যতাড়না
৭ অক্টোবর ২০১৭ | রাত ১:৪২ মিনিট

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৬

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: রম্যে রম্যে ভালই কাব্য হল।যাক একজন স্বগোত্রীয় ভাই পেলাম।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

মন থেকে বলি বলেছেন: উবার স্বগোত্রীয় না কি ডায়েট গোত্রীয়???

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর ছান্দিক রম্যতায় কাব্যখানি মুগ্ধকর।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

মন থেকে বলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার ডায়েটিংও ভাই এমন যে :-P কি করা যয়, বলুন তো??

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

মন থেকে বলি বলেছেন: আমি আর কি বুদ্ধি দেব?
ঘটনা তো বলেই দিলাম

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শেয়ার করছি।। ( অনুমতি পাবার আগেই)।।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

মন থেকে বলি বলেছেন: দেন করে...ভালই তো হলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.