নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতই আসুক, দুঃখ আঘাত,অন্ধ দু\'চোখ যতই বাধার সামনে দাড়াকবন্ধু তোমার স্বপ্ন দেখার, মনটা ধরে রেখো।

টি এম মাজাহর

Bangladesh

টি এম মাজাহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাঞ্ছনা ও প্রতিবাদ!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

২০১০ সালে পয়লা বৈশাখে টিএসসির সামনে দেখেছিলাম এই বখাটে ছেলেদের কান্ড। মেয়েটির সাথে আসা ছেলেটি প্রতিবাদ করায় দল বেধে ছেলেটিকে পেটানো হয়েছিলো, চার পাচ জনের একটি গ্রুপ কাজটি শুরু করলেও তাদের ফোনে আশপাশ থেকে ১৫/২০ জন এসে যােগ দেয়। মেয়েটি অঝোর ধারায় কাদছিলো, চারপাশের কয়েকশো লোক তাকিয়ে দেখছিলো- পেটোয়া দল পেটানোর সময় রব তুলে দিলো- " তুই মোবাইল চোর" যাই হোক, যুগ যে বদলেছে তা এইবার দেখা গেলো, সেবার মেয়েটির সাথে থাকা ছেলেটিকে পিটিয়েছিলো, এইবার মেয়েটিকেই..
বলা বাহুল্য যে, এই শত শত দর্শকদের ভিতর আমার মতো নাদান ও ছিলো, পোষাক পড়া পুলিশও ছিলো। কিন্তু সবাই কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিলো, ক্ষমতাসীন দল ছাড়া আর কারা এই ক্যাম্পাসে এতো দ্রুত লোক জড়ো করে প্রকাশ্যে অন্যায় করতে পারে! অব্শ্য এটাও বলতে হয় যে, দীর্ঘদিনের ক্যাম্পাসবাসের অভিজ্ঞতা থেকেই দেখেছি, ক্ষমতাসীন দলগুলো যে সবসময় তাদের ছাত্রসংগঠন দের অন্যায় কাজের জন্য উৎসাহ দেয় তা নয়। বরং বখাটেরা খুব দ্রুত ক্ষমতাসীন দলে ভিড়ে যায় যাদের মূল লক্ষ্যই থাকে এইসব আকাজ কুকাজ করা( প্রচুর উদাহরণ পাবেন, গ্রামে লীগ করা ছেলেটা ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রদল করে কিংবা গ্রামে দল করা ছেলেটা ক্যাম্পাসে এসে লীগে কাজ করে। )
এইবার আসি প্রতিবাদের ভাষার রকমফেরে...
এই দেশটা বিচারহীনতার উদাহরণ তৈরী করবার একটি অসাধারণ কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরে। বিশেষ করে প্রতিবাদের জায়গাগুলোতেও অদ্ভুত পক্ষপাতিত্ব। একটি দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সংগঠকেরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মূল যোদ্ধা হলেও এদেশের সংস্কৃতিক যোদ্ধারা একচোখা বানর হয়ে যাচ্ছেন। রমনায় বোমা হামলার দশ মিনিটের মাথায় ব্যানার লিখে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় (অবশ্যই সেটা যৌক্তিক ছিলো) কিন্তু বিশ্বজিতের হত্যাকান্ড প্রায় লাইভ দেখানো হলেও সেটার প্রতিবাদের সময় কিন্তু তাদের ছিলো না। আবার ১৫ ই ফেব্রুয়ারীর ইলেকশনের পর গণতন্ত্র রক্ষা করবার জন্য সংস্কৃতিক যোদ্ধারা মাঠে নেমে পড়লেও কিন্তু ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর তাদের গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলতে কেউ শোনেনি। তেমনি পয়লা বৈশাখের লাঞ্ছনার ঘটনার পরও তাদের রাস্তায় নামতে অত্যন্ত দোনমন ভাব। যেন আগে দেইখা লই ওদের পরিচয় কি বের হয়। সেম সাইড হলেও তখন দেখা যাবে বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের পরও আশেপাশে হাতড়াইয়া অন্য কোন রং খুজে পাওয়া যায় কিনা তা বের করবার চেস্টা করতে। অন্যায় যেই করে থাকুক, তাকে অন্যায়কারী বলতে এতো হিসাবনিকাশ কেন তাদের করতে হয় জানিনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.