নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতই আসুক, দুঃখ আঘাত,অন্ধ দু\'চোখ যতই বাধার সামনে দাড়াকবন্ধু তোমার স্বপ্ন দেখার, মনটা ধরে রেখো।

টি এম মাজাহর

Bangladesh

টি এম মাজাহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঘ জেগে উঠলে সামনে যাকে পাবে ছিড়েখুড়ে ফেলবে

০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

সার্ক স্টুডেন্ট দের নিয়ে একটা কার্যক্রমে দিল্লী নিয়ে গিয়েছিলো আমাদের যেখানে সার্কভুক্ত আটটি দেশের সব দেশের প্রতিনিধিই গিয়েছিলো। পাচতারা হোটেলে সবাইকে রাখার কথা থাকলেও প্রথম দিন নেপাল, শ্রীলংকা আর ভুটানের সাথে নিজেদের যখন একটি তিনতারা হোটেলে আবিস্কার করি, তখন আমাদের জানানো হয়েছিলো, কোন একটা বড় অনুষ্ঠানের জন্য দিল্লীর সব পাচতারা হোটেল বুকড হয়ে গেছে। সেদিন মেনে নিলেও পরদিন সকালে যখন সবাই আবিস্কার করলো, পাকিস্তান প্রতিনিধি দল ঠিকই পাচতারা হোটেলে গিয়ে উঠেছে, তখন বাকী দেশের প্রতিনিধিরা চাপা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। একই অনুভুতি হয়, যখন আমরা দিল্লীর বিভিন্ন কলেজে গিয়ে সাধারণ ছাত্র-শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করতে যাই। বাইরে বাইরে খুব বৈরী ভাব দেখালেও ভারতীয়রা এই সাতটি দেশের মধ্যে পাকিস্তানীদের সাথেই বেশী সদ্ভাব প্রকাশ করতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। একটা ব্যাপার স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে, সার্ক দেশগুলার মধ্যে পাকিস্তানী আর ভারতীয়রা নিজেদেরকেই বন্ধু সম্পন্ন মনে করে, বাকীদের সাথে প্রভুসুলভ একটা ভাব রাখতে চায়। বাংলাদেশের রক্তস্নাত, গৌরবের স্বাধীনতাযুদ্ধকেও এই দুই দেশই সেরকমভাবেই দেখে।
দুটি দেশের শিক্ষাকার্যক্রমে এখনও পর্যন্ত ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ একটি "ভারত-পাকিস্তান" যুদ্ধ হিসেবে পড়ানো হয় এবং বাঙালী জাতির গৌরবজ্জ্বল আত্নত্যাগের ইতিহাস সেখানে পাশকাটানো অবস্থায়ই রেখে দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, ওদের শিক্ষাকার্যক্রমে এভাবে লেখা থাকলে আমাদের কি এসে যায়? এসে যায় তখন, যখন সেই নতুন ভারতীয় প্রজন্ম অ্যাড তৈরী করে " বাংলাদেশ ভারতের সৃষ্টি " বলে প্রচার করে। এসে যায় যখন, পাকিস্তান ক্রিকেট দল টানা ম্যাচ হেরেও ততটা দুঃখ পায়না , যতটা পায় একজন সাকিবের আঙুল উচিয়ে কথা বলায়। বলা বাহুল্য, গত ৪৫ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য , খেলাধুলা সহ, উন্নতির প্রায় সব সূচকে এই বর্বর পাকিস্তানী জাতিটাকে বারবার পিছনে ফেলে দেবার পরও এই দেশ সম্বন্ধে তাদের মনোভাব এখনও প্রভুসুলভ! নব্বইয়ের দশকে ক্রিকেট খেলায় পাকি অধিনায়ক তার মূল বোলারদের না বল করিয়ে পার্টটাইমারদের দিয়ে অবজ্ঞাসূচকভাবে বল করাতো, আজ মাশরাফি, মুশফিকরাও পার্টটাইমারদের দিয়ে বল করিয়ে ওদের ব্যাটিং টাকে হাস্যকর করে তুলে ফেলবার মতো শক্তি অর্জন করেছে। সেই শক্তিকে ভয় পায় এরা, কিন্তু তার চেয়ে বেশী আতে লাগে এক সাকিবের আঙুল তুলে কথা বলবার সাহসে! জাতি হিসেবে এটাই আমাদের স্বার্থকতা। বিশ্বকাপে ভারত নিয়ন্ত্রিত আইসিসির বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলে ও পদক্ষেপ নিয় মুস্তফা কামাল যেমন আমাদের গর্বিত করেছেন, তেমনি সাকিব তামিমদের পাকিস্তান ক্রিকেট টীমকে তুলোধুনো করেও জানান দিচ্ছে, আমাদের কেউ দাবায় রাখতে পারবেনা, বাঘ জেগে উঠলে সামনে যাকে পাবে ছিড়েখুড়ে ফেলবে, সাবধান।।।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: ভালো লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.