নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতই আসুক, দুঃখ আঘাত,অন্ধ দু\'চোখ যতই বাধার সামনে দাড়াকবন্ধু তোমার স্বপ্ন দেখার, মনটা ধরে রেখো।

টি এম মাজাহর

Bangladesh

টি এম মাজাহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকতা চর্চা, সমকামিতার বিস্তার ও পৃষ্ঠপোষকতা, বিশ্বজিত হত্যা এবং রাজন হত্যা সব একই সুত্রে গাথা।

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

নাস্তিকতা চর্চা ও সমকামিতার বিস্তার ও পৃষ্ঠপোষকতা, বিশ্বজিত হত্যা এবং রাজন হত্যা সব একই সুত্রে গাথা। আজ থেকে দশবছর আগে যেসব বিষয় কল্পনাও করা যেতো না, সেসব বিষয়ে অর্থাৎ নাস্তিকতা ও সমকামিতার মতো বিকৃত চিন্তার ব্যাপারে ইদানিং সামাজিকভাবে ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা তৈরীর প্রক্রিয়াই চলেছে। বছর দুয়েক আগে থেকে নাস্তিকতার সামাজিকগ্রহণযোগ্যতা তৈরীতে প্রচুর কাজ করবার পর এখন চলছে সমকামিতার মতো বিকৃত কার্যক্রমের সামাজিকগ্রহনযোগ্যতা তৈরীর ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরীর কাজ। বিশেষ করে ডিজিটাল ও নিউ জেনারেশনের কাছে এমনভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে যে, নাস্তিকতা ও সমকামিতার স্বপক্ষে কথা না বললে যেন ডিজিটাল সমাজে তাদের মানমর্যাদা নীচে (!) নেমে যাবে। হাজার বছর ধরে ধর্মচর্চা ও পারিবারিক ঐতিহ্যে লালিত সমাজকে যখন হঠাৎকরেই নাস্তিকতা ও সমকামিতার মতো বিকৃত বিষয়গুলোকে গ্রহনযোগ্যতার মানে নামিয়ে নেয়া হয়, তখন সেই সমাজ নষ্ট হতে বাধ্য। আর তার অনুঘটক হিসেবে প্রথমে আসে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং পরে নিষ্ঠুরতার বিভিন্ন ধাপ।
একটি পত্রিকা থেকে নেয়া বিশেষজ্ঞদের মতে-
"দেশের সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, সামাজিক আচার-আচরণে বিরূপ পরিবর্তন, প্রথা নষ্ট হওয়া এবং পারস্পরিক সম্পর্কে চিড় ধরার কারণে এ ধরনের বিবেকবর্জিত ঘটনা ঘটছে।
অন্যদিকে দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বলেছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আইনের শাসন না থাকায় মানুষ বর্বর হয়ে উঠছে। আইন করে খুনিদের রক্ষা করা ও খুনের ঘটনার বিচার করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার কারণে পুরো দেশেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নাজমা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রের সর্বস্তরে একধরনের অরাজকতা চলছে। পারিবারিক শিক্ষা, প্রথাগুলো সেভাবে মানা হচ্ছে না। রাজনীতিতে অস্থিরতা আছে। ফলে মানুষের মধ্যে বিবেকহীনতা কাজ করছে। এ থেকে বের হয়ে আসাটা খুব একটা সহজ নয়। তবে সব ক্ষেত্রে সুষ্ঠু চর্চা করা গেলে পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, এ ঘটনাকে কোনোভাবেই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা যাবে না।"
পারিবারিক শিক্ষাকে পায়ে ঠেলে দেয়াটাকে এখনকার সমাজে প্রশংসার চোখে দেখা হয়। ধর্মীয় রীতিনীতি মানা কে ছোট এবং অসম্মানজনক হিসেবে দেখার প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শিল্প এবং সংস্কৃতিকে দলীয় প্রোপাগান্ডার মূল মাধ্যম হিসেবে তৈরী করে ফেলা হয়েছে- বস্তুত মূলধারার শিল্পচর্চা বহুদূরে সরে গেছে। দলকানাবাজী এবং দল তোষক শিল্পচর্চা ছাড়া অন্য কিছু খুজে পাওয়া যাবে না এখন। যে দেশের শিল্পচর্চা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না সে দেশের সমাজ নষ্ট হতে আর বেশী কিছু বাকি থাকে না। ফলে এই দেশের মানুষের না আছে ধর্মচর্চার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধিপ্রাপ্তির সুযোগ, না আছে শিল্পচর্চার মাধ্যমে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস। সমাজের যাবতীয় অন্যায়কে মুখ বুজে মেনে নেয়া থেকেই মানুষের বিবেকের মৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু এবং তা খুব দ্রুতগতিতে তার পূর্ণ মাত্রা পেতে শুরু করবে। যে দেশে শিবির নাম ধরে একজন বিশ্বজিতকে হত্যা করে তার দায়ভার ভিন্নপথে ঘুরিয়ে দিয়ে অন্যায়ের সুচনা হয়, ৫ ই জানুয়ারীর মতো ইলেকশন কে আদর্শ নির্বাচন ধরা হয়, পয়লা বৈশাখের নারীর শ্লীলতা হানীর জন্য দায়ীদের বিচার না করে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই অন্যায় কাজকে "দুষ্টুমী" আখ্যা দেয়া হয়, সেই দেশের সাধারণ মানুষের বিবেকের মৃত্যু ঘটবে না তো কি ঘটবে? যাবতীয় বিচারহীনতার পূর্ণ পরিণতিতে সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়াটুকুই বোধ করি বাকী আছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩২

নতুন বলেছেন: সমাজ পরিবতন হয়। পরিবতনের সাথে যেমন ভাল কিছু হয় তেমনি খারাপ কিছুও আসবে।

পরিবতনের সাথে মানাতে না পারলে বিলুপ্ত হয়ে যেতে হয় ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১১

টি এম মাজাহর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সমাজ পরিবর্তনশীল, সেটা অনস্বীকার্য। কিন্তু পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি দেখুন। একটি স্থিতিশীল, পরিণত এবং রুচিশীল সমাজকে বাইরে থেকে পরিবর্তন করিয়ে দেয়া হচ্ছে। সমাজকে বদলে দিতে এবং কিছু অপ্রচলিত ব্যাবস্থার মাধ্যমে ওলটপালট করে দেবার পুজিবাদী প্রক্রিয়া যে চলমান, এটা নিয়ে আশা করি সন্দেহ থাকার কথা না। এই কৃত্রিম প্রক্রিয়ার কথাটিই বলা হচ্ছে মাত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.