নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অলিখিত একটি কবিতার অনুবাদ প্রসঙ্গে

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩০

অলিখিত একটি কবিতার অনুবাদ প্রসঙ্গে


কোনো গাছেই ফেরার কোনো চিহ্ন এঁকে রেখে অাসিনি জঙ্গলে। কী বুঝে জঙ্গলকে মনে হলো বিদ্যালয়, কী ভেবে মনে হলো এই জঙ্গলই সেই অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যার কোনো কবিতা অাধুনিক পাঠকের গোচরে অাসেনি। জঙ্গলের যে ভাষা অাছে, তাই তো এখনো স্বীকৃতি পায়নি। এই যে পাতায় পাতায় যা কথা হয়, তাকে শুধু বলব 'মর্মর?' পাখির সঙ্গে পাতারা কী বলে যে অাত্মীয়-টাত্মীয় সাজে, হাওয়া কি তা শোনে না? শব্দ ছড়িয়ে ধরে নিজেকে যেমন, এই জঙ্গলালয়ে, নৈঃশব্দ্যের কি কোনো মূল্য নেই? তুমি যে শব্দের সঙ্গে থাকো, তুমি যে নৈঃশব্দ্যের সঙ্গে শোও, সে-সবের খসড়া অামি শুনেছি শুকনো পাতার পরে হাঁটতে হাঁটতে। মাঝেমধ্যে ধন্দ লাগে, তোমার শ্বাসঃপ্রশ্বাসই ধ্বনিত হচ্ছে কী না পাতায় পাতায়, লোকে যাকে 'ঝিরিঝিরি' বলে সুখ-টুক পায়?

জঙ্গল অামাকে পছন্দ করেছে, ফিরব না বলে। জঙ্গল তোমাকে চেনে, অামাকে বলেছে। বলেছে, তোমার অনেক কথাকে সে পাতাজন্ম দিয়ে ছোট পাখির বাচ্চাকে রোদ থেকে, বৃষ্টি থেকে রক্ষা করেছে। অামি গাছদেবতাকে বিশ্বাস করে অারেকটু এগিয়ে একদম ভেতরে গিয়ে দেখলাম, জঙ্গলের কোথাও এক জাদুঘর অাছে। সেই জাদুঘরে সংরক্ষিত অাছে শুধু একজোড়া চোখ, তোমার চোখ। দেখেই চিনেছি। কারণ, বহু অাগে অনেক রাত্রিজাগা ভোরে ধানমন্ডি লেকের ধারে বসে কথা বলতে বলতেই অামি তোমার চোখের মধ্যে এক জাদুঘর দেখেছিলাম। একা জঙ্গলে এসেও অাজ দেখতে পাচ্ছি, অনেকদিন অাগের দেখা সেই চোখ। মৃগয়া দৌড়ে যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রিত পলায়নে, তোমার চোখের মধ্যে অাত্মরক্ষার সেই প্রবণতা ফুটেফুটে উঠছে।

জাদুঘর দেখতে এসেছি, অপ্রকাশিত কবিতা পড়তে এসেছি, জঙ্গলে, তোমার চোখের মধ্যে। ইচ্ছেরা অামাকে খোঁচায়, যেন একদিন তোমার চোখ থেকে অলিখিত একটি কবিতা অনুবাদ করে কাগজে ছাপতে পাঠাই...

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

বিজন রয় বলেছেন: 'মর্মর?

হৃৎপিন্ড!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.