নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অফ দ্য রেকর্ড

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৯

অফ দ্য রেকর্ড


দুঃখকে বিড়াল বলে মনে হয়। কারণ, বস্তাবন্দি করে বিড়ালটিকে নদীর ওপারে রেখে অাসার পরদিন সন্ধ্যায় দেখি, উঠোনের নিমগাছটা পেরিয়ে দুঃখবিড়াল ফের ঘরে উঠে পড়ছে। দুঃখকে অাশ্রিত-অাত্মীয়ার মতো লাগে। তার হয়তো যাওয়ার জায়গাই নেই! কে দায়িত্ব নেবে? সারাদিন, তার হয়তো কথা বলার লোকও নেই। এই অবস্থায় দূরাগতা অাত্মীয়া যাবেই বা কোথায়? কার কাছে তার ভাল্লাগবে?

দুঃখকে কতভাবে দেখতে পাওয়া যায়। দুঃখ চিক চিক করে জ্বলে, নাকছাবিতেও। ব্যক্তিগতভাবে, দুঃখকে অামার পেতে ইচ্ছে করে। দুঃখ পেতে চেয়ে কতরাত ঘুমাইনি, বলো? দুঃখকে অামার দেখতে ইচ্ছে করে, দুঃখকে অামার পড়তে ইচ্ছে করে। দুঃখরা গান হয়ে যায়। দুঃখ কার কাছে যায়?

অায়নায় তাকিয়ে দেখি দুঃখ, হাসতে চেয়েও হাসতে পারছে না। দুঃখ নির্বাক যুগের চিত্রের মতো নিজে নিজেকে দেখছে। দুঃখের চোখের নিচে কালি, চারপাশে লোক তবু খালি খালি খালি...তারপরও দুঃখকে নিয়ে কথা বলি, কারণ, বিড়ালটিকে দেখলেই মনে হয় যে, অারে, একে তো অামি চিনি, নদীর ওপারে ফেলে এসেছিলাম, তবু সে পরদিনই চলে এসেছিল। সে এক রহস্য, এই বিড়াল এই দুঃখ অামার কীরকম অাত্মীয়া, কীরকম পরিচিতা?

একদিন তোমাকে বলব, কোন প্রহরে রচিত প্রতিটি দুঃখই নিটোল কবিতা!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ভালো লেগেছে

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

আলোরিকা বলেছেন: ' দুঃখকে বিড়াল বলে মনে হয়। কারণ, বস্তাবন্দি করে বিড়ালটিকে নদীর ওপারে রেখে অাসার পরদিন সন্ধ্যায় দেখি, উঠোনের নিমগাছটা পেরিয়ে দুঃখবিড়াল ফের ঘরে উঠে পড়ছে। " - আপনার লেখাটি পড়ে আমারও এখন দুঃখকে বিড়াল মনে হচ্ছে ! :)

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালো হইছে

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৭

সাগর মাঝি বলেছেন: দুঃখ বিড়ালটা সত্যিই ভূতুড়ে টাইপের। সাত সাগর তেরো নদী পাড়ি দিয়ে রেখে আসলেও পরদিন আাবার ঘরে চলে আসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.