নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদ কাদরীর জন্যে...

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

শহীদ কাদরীর জন্যে...

যা দোষ, তাই তার অহঙ্কার। কবিতার। কবি দোষী এবং অহঙ্কারী। খুব অল্প কিছু মানুষ সেই দোষ মেনে নিয়ে কবির অহঙ্কারকে স্বীকৃতি দিতে ভালোবাসে। যারা বাসে, তারাও কিছুটা দোষী, অহঙ্কারী। দোষ, ভাষাভিত্তিক মুখের কয়েকটা শব্দ এসে রচিত হলো যেই একটা বাক্য, সেই বাক্য ক্ষুরধারে চিকচিকে, সেই বাক্য ইন্দ্রধনুর মেঘডম্বুরু। সেই বাক্যে অনুভূতির মাইল-মাইল লম্বা কোনো রাস্তা, সেই রাস্তার দু'ধারে সারিসারি কৃষ্ণচূড়াগাছ। এবার হাঁটতে হাঁটতে একা তুমি যাও, হতে পারে তোমার সঙ্গে অন্য কেউ অাছে। সেই অন্য কে? সেও কি তুমি? নিজেই কি হাঁটছ নিজের সঙ্গে? নিজেই কি রহস্য হয়ে উঠছ, নিজের কাছে?
কবির দোষ, সে তোমাকে কৃষ্ণচূড়ার রাস্তাওয়ালা দিগন্ত দেখাল; কবির অহঙ্কার, এই যে ইন্দ্রীয়ঘন রাঙারাঙা বাক্যে সে ভরে দিল সবুজ মাঠ, সেটা তারই বুকের রক্ত। এত রক্ত অাসে কোত্থেকে? ক্ষত থেকে। যে-ক্ষত থেকে লালরক্ত কৃষ্ণচূড়ার রাস্তাওয়ালা দিন নির্মাণ করে, সেটা সে ভালোবেসে করে। এই ভালোবাসা বুকের পাঁজরে জমাট হয়, ফেটে যায়, তাতে একেকটা অানন্দ-বিষাদের জাদুঘর দেখা যায়, সবই অনুভূতিময়। শব্দময়, বাক্যময়।
অাদিতে ঈশ্বর বাক্য ছিলেন, বাক্য শব্দ ছিলেন, শব্দ ওঁ-কার ছিলেন, ব্রক্ষ্ম ছিলেন। কবি ও কবিতাকে সেই স্তর থেকে দেখতে হয়। দৈনন্দিনতার সীমানা ডিঙিয়েই তা দেখতে হয়। কিছু মানুষ তা দ্যাখে। ঋষিবাক্য ধরতেও কামেল হতে হয়। এভাবেই কবিতারা বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকে ভালোবাসা। ভালোবাসাও অনুভূতিময়। ধরা যাবে না, দেখা যাবে না, টের পাওয়া যাবে, অাছে, না নেই? কবির বালিশে অাজ তুলো নেই, ভুলও নেই, শুধু ভালোবাসা প্রশ্রয় হয়ে অাছে।

কবি শহীদ কাদরীর হিমায়িত শরীর স্বদেশে ফিরছে। জীবনের বেশিরভাগ সময় যার বিভূঁইয়েই কেটে গেছে। মনে হচ্ছে, এও এক কবিতাময় জীবন, শহীদ কাদরীর জন্যে।

ভালোবাসা, প্রশ্রয় হয়ে থেকো...




মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২১

একজন সৈকত বলেছেন: শান্তিতে ঘুমান শহীদ কাদরী ---

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.