নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈর্ষা করা যায়

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২৮

ঈর্ষা করা যায়

'কবিতাই হচ্ছে ভাষার সর্বোত্তম সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে সাংকেতিক ব্যবহার। সেটি আমি যখন করি বা সেটি যখন কেউ খুব সফলভাবে করেন যিনি অন্য মাধ্যমে কাজ করছেন তিনিও মূলত কবি, প্রধানত একজন কবি। তার সেই কবিসত্তা থেকেই উৎসারিত হয় সবগুলো মাধ্যমের দিক।'
'ভাস্কর্য বা চিত্রকলার কথাই যদি বলি সেটা কিন্তু ভাষা থেকে একেবারেই ভিন্ন একটি মাধ্যম। কীভাবে? এটি আমরা দেখি, চোখে দেখি। আবার ভাস্কর্য দেখ ঘুরেফিরে দেখতে হয়। এটার কিন্তু একটা কোনো দৃষ্টিকোণ নেই, দৃষ্টিপথ নেই। আবার আঁকা ছবিতে তুমি একটি দ্বিমাত্রিক ছবির সামনে দাঁড়াচ্ছ এবং একবারে নিচ্ছ। একটা কবিতা তোমাকে প্রথম থেকে শেষঅব্দি পড়ে তবে ভেতরে নিতে হচ্ছে। কিন্তু ছবি, একবারেই আমার সামনে চলে আসছে, এক দেখাতেই। এবং তারপর আমি বিশেষভাবে দেখি। এবং সেইখানে হচ্ছে ওই সৃজনশিল্পী ওই চিত্রকরের বিশেষ শক্তির পরিচয় যে তিনি আমার চোখটাকে কীভাবে ভ্রমণ করাচ্ছেন সমগ্র ছবিটাতে। আমি নিজে যে অবসরে ছবি আঁকি, আমার আপন আনন্দে ছবি আঁকি, সেখানে আমার ভেতরের কিছু রং আমার ভেতরের কিছু বিন্যাস মনের ভেতরে আসে...'
'আমি প্রধানত কাজ করেছি অ্যাক্রেলিকে। অ্যাক্রেলিকে দুটো সুবিধা আছে-- সেটা হচ্ছে আমার মতো অবসরের চিত্রকর-- সময়টাকে আমি খুব দ্রুত ব্যবহার করতে পারি। আমার ভেতরে যা রং এবং বিন্যাসের যে ছবিটা রয়েছে, যে জমিটা আমার ভেতরে রয়েছে সেই জমিটাকে এক চাপেই আমি এনে ফেলতে পারি। রংটা দ্রুত শুকোয়, রংটাকে ইচ্ছে করলে জলরঙের আকারেও ব্যবহার করা যায়, আবার তেলরঙের ঘনত্বেও ব্যবহার করা যায়। তুমি তো নিজে ছবি আঁকো, তুমি তো জানো যে অ্যাক্রেলিকের এই সুবিধা আছে। এবং জলরঙ হিসেবেও কিন্তু এটাতে কাজ করা যায়..'
'দ্রুত করা যায়, শুকিয়ে যায়, সময় নেয় কম।'

সৈয়দ হকের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এই যে, অামি তাঁকে ঈর্ষা করি তার সৃজনক্ষমতার কারণে, এমন সব্যসাচী কারিগর তো দেশে দ্বিতীয়জন কেউ নেই

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.