নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেকদিন পর ৪২ বি. কে. দাস রোড ও সূত্রাপুর-ফরাসগঞ্জ-গেণ্ডারিয়া...

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২২

অনেকদিন পর ৪২ বি. কে. দাস রোড ও সূত্রাপুর-ফরাসগঞ্জ-গেণ্ডারিয়া...
.............................................

২৪ নভেম্বর, সকাল ৭ টায় উঠে রেডি হতে হতে ৭.৩০। সকাল ৭.৫৫ এ 'কাঁটা ক্যাম্পে পৌঁছে দেখি এডি টুটুল, পিয়াস, ম্যানেজার মিজান ভাই, এডি শুভ ও তাকবির বসে অপেক্ষা করছে স্টিলের সূর্যের জন্যে। হোসেইন অাতাহার সূর্য দোতলার রুমে উঠল এর কিছুক্ষণ পরেই। অামরা 'কাঁটা ক্যাম্প' থেকে ভিক্টোরিয়া পার্ক পর্যন্ত পৌঁছুতেই দেখি সকাল ৮.৩৫। ওখান থেকে রিকশায় সূত্রাপুর থানা পার হয়ে ফরাসগঞ্জ বিহারিলাল জিউ মন্দিরের পাশের ছোট্ট হোটেলে গিয়ে পুরান ঢাকার ডাল-সবজি-গরম পরোটা মেরে দিয়ে ঢুকে পড়ি ৪২ বসন্ত কুমার দাস রোডের সেই বাড়িতে, যে বাড়ির বয়স ২৭৭ বছর, যে বাড়িতে এ বছরেরই পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত পাঁচ মাস সময়ের ভাড়াটিয়া ছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা হলো বাবু ভাইয়ের সঙ্গে, বাবু ভাইদের বাড়ি অানন্দমোহন দাস লেনে। ত্রিশাল থেকে অ্যাক্টর মনোজ কুমার এসে পড়ল বেলা ১০ টার মধ্যেই। এরপরই 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' এর অানুষ্ঠানিক লোকেশন অ্যাডজাস্টমেন্ট বা রেকির পালা শুরু...অারে, এই ফরাসগঞ্জ, সূত্রাপুর, মিলব্যারাক, গেন্ডারিয়া, নারিন্দা এলাকা সেই ৬ মাস অামি ডে-নাইট হেঁটে-ঘেঁটে বেড়িয়েছি। সন্ধ্যায় উল্টিনগঞ্জ বুড়িগঙ্গার নৌকাঘাটের পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম, ওপারে দক্ষিণ জিনজিরা; দূরে, পোস্তাগোলা মহাশশ্মান ঘাটের পাশেই ব্রিজ...অাজ খুব মনে পড়ে যাচ্ছিল, অামি সেই সময়টা পুরান ঢাকার অাবাসিক হয়ে কেমন ছিলাম! শব্দগ্রাহক নাহিদ মাসুদ, প্রয়াত তরুণ ফিল্ম মেকার রাসেল অাহমেদ, ইথেল, ড্যানি, লিনা, স্মৃতি, অভিনেতা দীপক সুমন, অদ্রি, পূর্ণী, মিথুন_কাঁটা'র টিম মিটিংয়ে অাধুনিক ঢাকা থেকে এসে যোগ দিত। মনোজও ত্রিশাল থেকে এসেছে। এসেছে ইমন, সান্ত্বনা, রিঙ্কু, গজেন দা..অারো কে কে যে! প্রায় ৫ মাস পর অাজ 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' টিমের অপর অংশ নিয়ে মাত্র ৫ ঘণ্টায় অামরা ৫ কিলো (৫ কিলো ব্যাপারটা মনোজের হিসাব মতে) হেঁটেছি। অক্লান্ত, অবিশ্রান্ত। কী এক ঘোর এসে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। অার্টিস্ট জয়কে ফোন দিলাম, সে ফরাসগঞ্জে নেই। মিলব্যারাক পার হয়ে গেছি গোসাইবাড়িতে। এই যাওয়া চলবে, চলতি সপ্তাহ জুড়েই। এ এক অানন্দ, ঘোরের অানন্দ। পর্যায়ক্রমে গ্রুপ-ট্রুপের অন্যান্যদেরও নিয়ে যাওয়া হবে 'কাঁটা ক্যাম্প থ্রি' অর্থাৎ ফরাসগঞ্জ-নারিন্দা-গেন্ডারিয়া-জুরাইনে। শ্যুটিংয়ের অাগে যেতে হবে, বারবার; অার ৯০ ভাগশ্যুটিংই তো ওখানে। যেতেই হবে। ও-দিকে 'কাঁটা ক্যাম্প টু' তে বসে কাজ করে করছে পিয়াস, শিমুল, রাশেদ ও তুরা। চলছে।

ফিল্ম একটা ঘোর-জন্ম-যন্ত্রণার অানন্দ। এই অানন্দ, এই যন্ত্রণা সৃজনে ব্যাকুল করে, কবিতা যেমন করে, তারও অধিক কিছু, ভালোবাসা যেমন ভাসিয়ে নিয়ে যায় বহ্নিমান চিতার দিকে, ফিল্ম বা ছবি তারও অধিক যাতনার, অধিক অাপনার!

তাই ছবি ভাল্লাগে, ছবি ভালোবাসি। ছবিতে ধরা ফুল বা তোমাকেও যেমন বাসি...

টোকন ঠাকুর
কাঁটা দ্য ক্যাম্প টু
বড় মগবাজার রেললাইন
২৪. ১১.২০১৭

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন কোনো কবিতা লিখেছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.