নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীত অাসছে, সুপর্ণা কি কামিং সুন?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪



শীত অাসছে, সুপর্ণা কি কামিং সুন?
.........................
সিঁথির মোড়ে নেমেই দেখি বিজন দাঁড়িয়ে অাছে ছাতা মাথায়। ভরদুপুরে বৃষ্টিও হচ্ছিল কোলকাতায়। সিঁথি বরাবর একটু হাঁটলেই বিজনদের বাড়ি, জায়গাটার নাম কি কাশিপুর? এই মুহূর্তে অামার মেমেরি ঝাপসা। তো বিজনদের বাড়ির কাছেই গঙ্গা, বাঁধানো বড় একটা শশ্মান ঘাট অার গঙ্গার ওপারে বেলুর মঠ, তার বাঁয়ে কলকাতা মহানগরের বড় বড় বিল্ডিং চোখে পড়ে। কিন্তু অামি তো বিল্ডি দেখতে বিজনদের ওদিকে যাইনি।

গতবছর, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলাম, কথা ছিল রবীন্দ্রনাথের পরে সেদিন অাড্ডা বিজনের সঙ্গে। সিঁথির মোড় পেরিয়ে বিজনদের ওদিকটায় ঘোরাঘুরি করছিলাম কারণ, পুরোনো কলকাতার সারি-সারি স্মৃতিগ্রস্থ বাড়িগুলো অামা্কে 'কবেকার কোলকাতা'র গান শোনাচ্ছিল। সেই গানের ভাঁজেই বন্ধু-ক্যামেরাম্যান বিজন দেখাল, বলল, 'ওই যে ফাল্গুনি রায়-তুষার রায়দের সেই জমিদার বাড়ি। তখন হাংরিদের অ্যাংরিনেস মনে পড়ল, কবিতা যাদের দুমড়িয়ে মেরে ফ্যালে অতিদ্রুত। বিজন বলল, 'অার ওইটা হচ্ছে ভাষ্কর চক্রবর্তীর বাড়ি। বউ দি এখনো অাছেন।'
বললাম, 'ছেলেমেয়ে?'
'অাছে।'
বউ-ছেলেমেয়ে রেখে কবি মরে গেছেন কবেই। তবে মৃত্যুর অাগে তিনি যে অার্তি রেখেছিলেন গঙ্গার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হাওয়া-বাতাসের কাছে, সেই মর্মরতা এখনো শুনতে পাওয়া যায় নির্জন বনের ধারে, সেই শব্দ ছড়িয়ে দিয়ে উলটো চরম এক নৈঃশব্দ্য মেখে ঝিম মেরে থাকে পুরোনো পরিত্যাক্ত বিল্ডিং বাড়ির বারান্দা। দেখেছি, হলুদ শর্ষেমাঠের মাঠের দিকে গেলেও, অাজও ভেসে অাসে মৌমাছিদের নামতাপাঠ_ 'শীতকাল কবে অাসবে, সুপর্ণা?

শীতকাল তো অাসেই, কিন্তু সুপর্ণা?



মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

এক অন্ধ কবি বলেছেন: ভালো লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.