নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অামার সিনেমা, অামার অনুভূতি। অামার অনুভূতিই অামার প্রোডাকশন বিধি

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৬

অামার সিনেমা, অামার অনুভূতি। অামার অনুভূতিই অামার প্রোডাকশন বিধি
............................................

কোত্থেকে মেঘ অাসে! কোত্থেকে অাসে রোদ! কোত্থেকে অাসে প্রেম! কোত্থেকে একটি বাক্য এসে কবিতা হয়ে যায়! কোত্থেকে অাসে সুর! কোত্থেকে অাসে ব্যথাতুর কান্নার ধ্বনি! হাহাকার যে অাকার পায়, কোত্থেকে পায়? গল্প যে চিত্র হয়ে ওঠে, কীভাবে হয়ে ওঠে? যদি কেউ লিখে রাখেন, 'মহল্লাবাসিরা সেদিন ঝিম ধরে বসেছিল ইয়োর চয়েস সেলুনের সামনের বেঞ্চের ওপর'_কতজন লোককে তিনি মহল্লাবাসি বলছেন, তিনিই জানেন। অামি যতজন বুঝেছি, মহল্লাবাসি ততজন। অামি যতদূর হেঁটেছি, অামার চরিত্রকে হাঁটতে বলব ততটাই এবং তাকে ততটাই হাঁটতে হবে_যদি তার মনে হয়, তিনি 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' নির্মাতা কর্তৃক প্রাপ্ত চরিত্রটি সততার সঙ্গে করতে চান, তাহলে তাকে তাই করতে হবে। চরিত্র কনফার্ম হলে লিখিত চুক্তি করা হবে অাপনার সঙ্গে। ক্যারেক্টার এবং টাইম মিলিয়ে চুক্তি হবে। সন্তোষজনক অালোচনা চূড়ান্ত হলে যে-চরিত্রই অাপনি পাবেন না কেন, বিপরীতে পারিশ্রমিক পাবেন_এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত 'কাঁটা দ্য টিম' এর, সিদ্ধান্ত অামার। তাই অামার জন্যে অাপনার অনুভূতিটাই অাগে দরকার। অডিশন থেকে এসেও কোনোভাবেই কি 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' অাপনার চলমান পেশা বা কর্মক্ষেত্র বা ছাত্রত্বকে চাপে ফেলে দিচ্ছে? অভিনয়ের ইচ্ছে এক জিনিস অার অভিনয়ের জন্যে মনোযোগ ও সর্বোচ্চ ছাড় এক জিনিস, যা অামার দরকার। না পেলে পেইন নেব না, কোনো কারণ নেই। অডিশনে এমন কোনো অভিনেতা অাসেনি বা বাজার কাঁপানো কাউকে অামি নিজেও ডাকিনি যে, যাকে দেখতে দর্শক টিকিট কেটে সিনেমা হলে ঢুকে পড়বে। তাই কোনো চরিত্র নিয়ে চাপে পড়ার চেয়ে তাকে বলব, 'তুমি যাও, পরে দেখা হবে...'

কিছু চরিত্রের সেকেন্ড ফেস প্রস্তুত। কে জানে, কে কোন চরিত্রে টিকে থাকবে ফাইনালি? ক্ষণে ক্ষণে অামার অনুভুতি জানে।

ভেবেছি, নতুন মুখ নিয়ে ছবি করব, ছবিটাই ভালো করে করব। বাজার ভাবিনি, ভাবছিও না। তবু অডিশন ম্যানেজমেন্ট করতে বেশ খানিকটা খরচও হচ্ছে। চাপ হচ্ছে। এটুকু তো নিতেই হবে।

চাপ নিচ্ছি। কতরকম চাপ। এরকম দেশে ফিল্ম বানানো চাপের ব্যাপার, বিশেষ করে নির্মাতা কিছু বলবার অভিপ্রায় নিয়ে যদি ছবি বানান, তাইলে চাপ না নিয়ে উপায় অাছে? অামাকেও সেই চাপকে চপ বানিয়ে খেয়ে যেতে যেতে ছবিটা শেষ করতে হবে। অামার সঙ্গে একটি ডেডিকেটেড টিম কাজ করছে। তারা অামার অনুভূতিকে মান্য করে 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' এ নিজেদের সময় ও ভালোবাসা ইনভেস্ট করেছে। তারা সর্বদাই অামার অনুভুতির চাহিদা সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে গ্রহণ করে ছবির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারাও কেউ ফিল্ম মেকার, কেউ অাগামীর ফিল্ম মেকার। তারা জানে, নির্মাণকালীন নির্মাতার অনুভূতিই ফ্যাক্টর, সিনেমার জন্যে। যিনি নির্মাতাার অনুভূতি বুঝতে অক্ষম, তাকে তিনি নেবেন কেন? তিনি নিজেও কি এরকম করবেন নিজের কাজের বেলায়? যদিও এটা যার যার ব্যাপার। অামার ব্যাপার হচ্ছে অামার অনুভূতি। অামার অনুভূতিই অামার প্রোডাকশন বিধি। এই অনুভূতির সঙ্গে 'রাজনীতি' করার কোনো সুযোগ নেই, কেন না, মানুষ একটি রাজনৈতিক প্রাণী। কিন্তু অামার ছবিতে অামি এরকম কোনো প্রাণী নেব না। কেন নেব? সে তো প্রোডাকশনে মনোযোগী থাকবে না, থাকেও না, তাই ফোন দিয়েও পেতে সমস্যা হবে এমন কেউ, তিনি অার থাকবেন কেমনে? হয়তো তক্ষুণি অামার কথা বলা দরকার তার সঙ্গে, দেখা হওয়া দরকার, কেন না, সে অামার পরিশ্রম ও অাদর দিয়ে লেখা চিত্রনাট্যের চরিত্র, অামার ইমোশন, অামার সৃজন, সে অামার পাঁজরে নিহিত শ্বাস-প্রশ্বাস। এটা যদি সেই বুঝতে না পারে, তাইলে হয় নাকি? যে বুঝবে, তার সঙ্গেই কথা। তার সঙ্গেই জার্নি_ 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' এর। এটি চূড়ান্ত।

দলগত সংযোগের পরেও ছবি হচ্ছে নির্মাতার বাচ্চা। নির্মাতা্রই বাচ্চা শুধু। একটি ভালো ছবি হচ্ছে অামার ভালোবাসা, অামার বেঁচে থাকা।

লাভ্যু বেবিজ_
টোকন ঠাকুর
কাঁটা ক্যাম্প টু
বড় মগবাজার, ঢাকা
৩০ নভেম্বর, ২০১৭


মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৩

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: :)

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৬

পাজী-পোলা বলেছেন: ভাই আপনার ফিল্মে আমাকে রাখা যায়? আমার ডিরেক্টের হওয়ার খুব ইচ্ছা, আমি কাজ শিখতে চাই। প্লীজ ভাই একটু দেখননা...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.