নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তন্দ্রাবিলাসে আপনাদের স্বাগতম

তন্দ্রা বিলাস

আমি একজন কৃষকের ছেলে, এই হাতে হাল চালাই, এই হাতেই কলম চালাই আবার এই হাতেই কীবোর্ড চালাই। সবকিছুই করার প্রচেষ্টা আমার মধ্যে রয়েছে।

তন্দ্রা বিলাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কয়েকবার সম্ভাব্য মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

মানুষ মরণশীল। মৃত্যু আছে বলেই জীবনটাকে আমাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। যদি কেও অমরত্ব লাভ করত তাহলে জীবনটা তার কাছে অর্থহীন হয়ে পড়ত। মৃত্যু আমাদের চারপাশে সবসময় ঘুরঘুর করে। যেকোন মুহূর্তে যেকোন ভাবে মৃত্যু আপনার সামনে চলে আসতে পারে। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার কয়েকবার সম্ভাব্য মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরব। মহান আল্লাহ্‌র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে আজও আমি বেঁচে আছি।



০১

আপনারা কমবেশি সবাই জানেন যে আমি গ্রামে থাকি। আর আমাদের বাসার স্পেসটা বেশ বড়। আঙ্গিনাতেই অনেক শাক-সব্জি চাষ করা যায়। শিম, শশা, কুমড়া, লাও, চিচিঙ্গা এই জাতীয় সবজি কোনোদিন কিনে খেতে হয় না। বাড়ির আশেপাশে মাচা করে কিংবা চালার উপর এই গুলোকে তুলে দেওয়া হয়। আসল ঘটনাতে আসি, আমাদের বাসার যেখানে ইলেকট্রিক মিটার লাগানো আছে। সেই মিটারের নিচেই কয়েকটা শিম গাছের জন্ম হয়েছিল। বেশ কয়েকদিনেই তার সমস্ত লতা প্রশস্ত করে আরথিং এর তার বেয়ে টিনের উপরে উঠে যায়। ব্যপারটা খেয়াল করতে করতে শিম গাছটা বেশ বড় হয়ে যায়। আমার আম্মা বলে, ‘থাক এখন কাটার দরকার নাই, শিম শেষ হয়ে গেলে কাটিস।’ যথারীতি গাছ বড় হয়, ফুল ধরে, ফল ধরে একসময় মারা যায়। তখন আমাকে আম্মা একদিন ডেকে বলে সেগুলো পরিষ্কার করতে। আমি লোহার বটি (স্থানীয় ভাসায় হাস্যা) নিয়ে গিয়ে লতা কাটতে শুরু করেছি। আমাদের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া আছে বি আর বির সবুজ রঙের তার দিয়ে যেটা দেখতে প্রায় শিমের লতার মতই। আমি তারটাকে লতা ভেবে কেটে দ্বিখণ্ডিত করে দিয়েছি। তারটা কাটার পরপরই একটা বিশাল ধাক্কা খাই, এই ধাক্কা ইলেকট্রিক শক নয় মানসিক শক। আল্লাহ্‌র রহমতে সরকারের বদলতে সে সময় বিদ্যুৎ ছিল না।



০২

যে বিদ্যুৎ একটু আগে আমার জান কেড়ে নিচ্ছিল এখন সে বিদ্যুৎ কিভাবে আমার জান বাঁচিয়েছে তার ঘটনা বলি। তখন স্পোকেন ইংলিশ এর একটা কোর্সে ভর্তি হয়েছি। সপ্তাহে তিনদিন ক্লাস, স্যারও খুব মজার, তারপরে ক্লাসের টপ সুন্দরীর সাথে আমার বেশ ভাব হয়ে যায়। যার ফলে রেগুলার ক্লাস করতাম। একদিন ক্লাসে যাব বলে সাইকেলটা বের করলাম। আকাশে হালকা মেঘ ছিল তখন যাক ওসবের তোয়াক্কা না করে বের হয়ে পড়লাম। ক্লাস শেষে যখন বের হতে যাব তখন দেখি আকাশ পুরা অন্ধকার। মাঝে মাঝে মেঘ চিলিক দিচ্ছে। এদিকে সন্ধ্যাও লেগে যাচ্ছিল যার জন্যে মাথার উপর মেঘ নিয়েই বের হয়ে গেলাম। আমি সাথে আমার এক বন্ধু আছে। আমি বরাবরই খুব দ্রুত সাইকেল চালায়। সেদিন আরও দ্রুত বেগে চালাচ্ছিলাম। পেছনে খেয়াল করে দেখি আমার বন্ধুটি নাই। তখন তার জন্য দাঁড়ালাম। মেঘ সশব্দে ডাকাডাকি করছে। আমি তার জন্য অপেক্ষা করছি। এমন সময় দেখি একটা আলোর রশ্মি যা দেখতে অনেকটা বর্শার মত, আমার দিকে ছুটে চলে আসছে। হঠাৎ সেটা দিক পরিবর্তন করে পাশের ইলেকট্রিক খাম্বার দিকে চলে গেল। তারপরেই শুনলাম কান ফাটানো শব্দ। আমার এবং সেই খাম্বার দূরত্ব খুব বেশি হলে ৬-৭ ফুট হবে। এরপর দেখি রোডের অপর পাশে একটা ডাবগাছে আগুন জ্বলছে। ঐ মুহূর্তের কথা মনে হলে এখনও আমার গায়ে কাটা দেয়।



০৩

এবারকার ঘটনা ট্রেন। খবরের কাগজে প্রায়ই দেখি অমুক জায়গায় রাস্তা পারাপারের সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু। সেটা আমার সাথেই ঘটতে যাচ্ছিল। আমি সাইকেলে চড়ে বাজার যাচ্ছিলাম। যথারীতি খুব দ্রুতই চালাচ্ছিলাম। আমাদের ওখানে চারখুটা নামক একটা জায়গা আছে একটা চিকন রাস্তা রেললাইনকে ক্রস করে যায়। সেখানে কোন স্পীড ব্রেকার কিংবা রেলগেট বা গেটম্যান নাই। অন্য আমি সেই স্থানটা সবসময় দেখে পার হই, কিন্তু সেদিন আর খেয়াল করিনি। আমি যখন লাইনটা ক্রস করব সেই মুহূর্তে ট্রেনের তীব্র হর্ন শুনলাম। রেললাইন ক্রস করার সাথে সাথে আমার পেছন দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ট্রেনটি চলে গেল। ট্রেনের বাতাসের সেই শব্দ আমার আজও মনে আছে। আর এক সেকেন্ড!



০৪

এবার সড়ক পথ এবং যথারীতি সাইকেল। আমাদের জমিতে সেচ দিচ্ছি। এমন সময় তেল শেষ হয়ে গেল আব্বা আমাকে কিছু টাকা দিয়ে ডিজেল তেল আনতে বললেন। আমি জারকিনটা সাইকেলের হ্যান্ডেলে ঝুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। রাজশাহী টু চাঁপায় সড়ক সম্বন্ধে মনেহয় কমবেশি সবারই ধারণা আছে। রোডটা একে খুব ন্যারো তারপরে খুব ব্যস্ত। সবসময় বাস ট্রাক যেতেই থাকে। কোন ফুটপাত নেই। রোডের সাইডে বেশীরভাগ জায়গাতেই মাটি নাই। রোডে থাকলে নিচে যাওয়া সম্ভব না। আবার নিচে ভাঙ্গার মধ্যে থাকলে রোডে উঠা প্রায় অসম্ভব। আশাকরি রাস্তাটা কেমন সেটা বুঝাতে পেরেছি। তো আমি সেই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছি। সাইকেলের হ্যান্ডেলে থাকে জারকিনটা খুব বেশি বড় হওয়ায় ঠিকমত পা ঘুরাতে পারছিলাম না। এমন সময় পায়ের সাথে জারটা আটকে গিয়ে সাইকেল রোড থেকে নিচের খাদে নেমে যায়। আমি সেটা কোনমতে সামলে নিয়ে আবার রোডে উঠি এবং আবারও পায়ের সাথে জারকিন আটকে যায় এবং হ্যান্ডেল ডান দিকে ঘুরে যায় এবং দ্রুত গতিতে রাস্তার ওপাশে যেতে থাকে। আমি মাঝরাস্তায় সেসময় সাইডে হালকা ধাক্কা খায় দেখি একটা বড় কোচ আমার পাশ দিয়ে চলে গেল। আর আমি রাস্তার ওপাশে গিয়ে ছিটকে পড়লাম। কিছুটা আহত হলেও জানে বেঁচে যায় সে যাত্রায়।



০৫

এবারকার ঘটনা মায়ের কাছ থেকে শোনা। আমার বয়স তখন মাত্র ১০ দিন। জানুয়ারি মাস, প্রচণ্ড শীত, সেই শীতে আমাকে নিউমোনিয়াতে ধরে। সেদিন সকাল থেকেই নাকি আমার শরীর নীল বর্ণ ধারণ করতে থাকে একসময় পুরো শরীর এমনকি জিহ্বাও নীল হয়ে যায়। একসময় আমার নড়াচড়াও নাকি বন্ধ হয়ে যায়। পাশের ছোট ক্লিনিকটাতে নিয়ে গেলে তারা আমাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এমন সময় নাকি আমি কিছুটা নড়ে উঠি। তারপর রাজশাহী মেডিক্যালে নিয়ে গিয়ে মাস দুয়েক থাকার পর নাকি আমি সুস্থ হই।



এছাড়াও একবার পানিতে ডুবে গেছিলাম। একবার ফুটন্ত ভাতের হাড়ির উপর পড়ে গেছিলাম আর গাছ থেকে পড়ার ঘটনা তো কমন। ।



মহান আল্লাহ্‌র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে আজও আমি বেঁচে আছি।



নিশ্চয় আপনাদেরও এমন অনেক ঘটনা আছে। কমেন্টে শেয়ার করবেন।



সবাইকে ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাই প্রতিটা ঘটনাই শিহরিত করল। তবে আল্লাহ আপনার সহায় আছেন। এই জন্য শুক্রিয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯

শূন্য পথিক বলেছেন: খাইছে! :( :( :(

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: বলুন ভক্ষন করেছে :)

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

নতুন বলেছেন: আপনি তো বাংলাদেশের ফাইনাল ডেস্টিনেসনের নায়ক :)

সাবধানে থাকবেন... আপনি একটু বে খেয়ালী... বেশ কিছু ঘটনা সাবধান হলেই ঘটতো না...

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: পুরাই :)

আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। আসলে আমি সবকাজেই একটু বেশি তাড়াহুড়ো করি। তবে এখন বেশ সাবধানে চলি।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

িটউব লাইট বলেছেন: ভাই সাবধান। শুভকামনা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১

মামুন রশিদ বলেছেন: সবগুলো ঘটনাই লোমহর্ষক :-&


তবে দ্বিতীয় ঘটনাটি বেশি ভয়ংকর লেগেছে । বজ্রপাত মারাত্মক হয়, সত্যিই আপনি খুব লাকি ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাই।

আসলেই! :)

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
রেললাইন ক্রস করার সাথে সাথে আমার পেছন দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ট্রেনটি চলে গেল আমার এই অভিজ্ঞতা আছে ! :|

সারারাত ঘুমাইতে পারি নাই ! তবে আপনি অনেক লাকি একটু সাবধানে থাইকেন ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আমার সহ্য ক্ষমতা বেশ ভাল। সাধারন ব্যপারে আমি বিচলিত হই না। কিন্তু সেবার হয়েছিলাম।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

নূর আদনান বলেছেন: আমি একবার পুকুড়ে ডুবে যাচ্ছিলাম, ঘটনা হল, তখন আমি সাতার জানতামনা, আর বয়স ৬/৭ এরকম। পুকুড়ে নেমে দেখি আমি পুকুড়ের অনেক মাঝ পর্যন্ত যেতে পারি। খুশিতে আমি পুকুড় থেকে উঠে কয়েকজন ছেলেকে ডেকে আনলাম দেখানোর জন্য। ভাব নেবার জন্য আমি আরো মাঝখানে গেলাম :|| #:-S । একটা জায়গায় গিয়ে টের পেলাম আমার পায়ের নিচে মাটি নেই, ব্যস তারপর লাফালাফি করতে লাগলাম আর পানি খেতে লাগলাম। পুকুড়ের ওপরেই একটি বাড়ি ছিল, সেই বাড়ির মহিলা দেখতে পেয়ে ছুটে এসে আমাকে পুকুড় থেকে তুলে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: প্রথমেই আপনার দীর্ঘজীবন কামনা করি।

আসলে, গ্রামাঞ্চলে পুকুরে ডুবে যাবার ঘটনা স্বাভাবিক। আমিও আপনার মত একবার ডুবে যেতে লেগেছিলাম। শেষ মুহূর্তে এক বড় ভাই এসে রক্ষা করে।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: প্রতিটা ঘটনাই লোম খাড়া করা......

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: তাই! আসলেই, ভাবলেই শিহিরে উঠি!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

অরিন্দম বোস বলেছেন: B:-) :(

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: :) :) :)

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২

ইয়ার শরীফ বলেছেন: আল্লাহ্‌র রহমতে যেভাবে বেচে গেছেন সত্যি অবাক করার মত।

আশা করি আপনার দ্বারা অনেক ভাল কাজ হবে সাম্নের দিনগুলোতে।

জীবনকে প্রতি মুহূর্তে উপভোগ করতে হয়।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ইনশাল্লাহ। দোয়া রাখবেন।

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :( :( :( :(

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: কি উত্তর দিব ভাই!

ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

স্বপনচারিণী বলেছেন: প্রথমেই বলি আপনার লাইফ স্টাইলে ভীষণ ঈর্ষীত আমি। গ্রামে কত আনন্দ করে বড় হয়েছেন। এবার আসি আসল কথায় আপনার জন্মের ১০ম দিনের ঘটনা বাদে বাকি সব ঘটনা কিন্তু স্বাভাবিক। প্রায় সবার জীবনে এরকম ঘটনা কম বেশি ঘটেই। কিন্তু জন্মের ১০ দিনের ঘটনা মোটামুটি অস্বাভাবিক। (ইহাকে পাম মারা জাতীয় কিছু ভাবা যাবেনা) আপনিতো সাধারণ নন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। আমি যতদূর জানি এবং দেখেছিও এ ধরণের বিপদ উত্তীর্ণ বাচ্চারা খুব মেধাবী হয়। কনগ্রাচুলেসন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আমি এখনও গ্রামে থাকি। :) তবে সামনে মাসে ঢাকা চলে যেতে হবে। :) যখন মনে হয় আমার গ্রাম, আমার বাড়ি, আমার ঘর , বিছনা, বাবা-মা, পাজি ছোট ভাই এদের ছেড়ে চলে যাব তখন সত্যি মারা যেতে ইচ্ছা করে।

লজ্জা লাগছে :#>
এজন্যই মনে হয় ক্লাসে ফাস্ট হতাম :P

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা সবসময়।

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০

একজন আরমান বলেছেন:
আমি জিবনে একবার মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। সেটা হল গত বছর মে মাসের ঘটনা। ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিলাম। মাঝ পথে ঝড় শুরু হয়। আমি ছিলাম বরিশালের তখনকার সব থেকে বড় লঞ্চে, তবুও ভয় হচ্ছিল। লঞ্চ এমন ভাবে দুলছিল মনে হচ্ছিল যেন ডিঙ্গি নৌকা ! কিছু পরে দেখলাম লঞ্চের তিন তলা পর্যন্তও পানি উঠে গেছে ! আর নিচ তালার ডেকের মধ্য দিয়ে পানি একপাশ দিয়ে আরেক পাশে যাচ্ছে ! মনে হচ্ছিল ঐ শেষ ! দীর্ঘ দেড় ঘন্টা পর ঝড় থামে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আমি আপনার অবস্থাটা কল্পনা করার চেস্টা করছি। ভাবতেই গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আইনিস্টাইন এই থিউরি অব রিলেটিভিটি মনে হয় আপনার দেড় ঘন্টায় বেশ ভালোই কাজ করেছে। যাক আলহামদুলিল্লাহ, আপনার কিছু হয়নি।

১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক দিন বেঁচে থাকুন। শুভকামনা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: মহান আল্লাহ্‌র কাছে আপনার দীর্ঘজীবন কামনা করি।

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: আমি একবার ট্রেনে সম্ভাব্য মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছি

প্রায় ৩ বছর আগের ঘটনা , আমার মামা সদ্য অপারেসন থেকে সেরে বাসায় যাবেন যেহতু অপারেসনের রুগী তাই বাসের থেকে ট্রেনে যাওয়াটাই ভালো , তবে ট্রেনটি লোকাল এবং যাত্রীর তুলনায় আসন সংখা খুবই কম। তাই একটু আগেই স্টেশনে রওনা দিলাম। ট্রেন প্লাটফরমে ঢুকার সাথে সাথে আমি প্রস্তুতি নিলাম যে ভাবেই হোক মামার জন্য একটাই সিট আমাকে ব্যবস্থা করেদিতে হবে। তাই আমি ট্রেনটি থামার জন্য অপেক্ষা না করে চলন্ত ট্রেনটির সাথে দৌড়াতে লাগলাম এবং জানালার পাসের এক ভদ্র লোক কে বললাম ভাই আপনার এই সিট টা প্লিজ আমাকে দিয়েন। ..... আমি হঠাত কিছু বুঝার আগে সেই ট্রেন এবং প্লাটফর্মের মধ্যে যে অল্প গ্যাপ আছে সেই গ্যাপে পরে গেলাম. ট্রেনটি ততক্ষনেও থামেনি তবে অবাক করার মত বিষয় হলো আমি এমন ভাবে পরেছিলাম যে পরক্ষনেই কিছু মানুষ আমাকে টেনে তুলেছিল। আর কয়েক সেকেন্ড থাকলেই আমি শেষ হয়ে যেতাম কারণ ট্রেনের দরজার যে সিড়ি সেটা প্লাটফর্ম ঘেষে আমার দিকে ধেয়ে আসছিল। ..

মহান আল্লাহ্‌র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে আজও আমি বেঁচে আছি।

ধন্যবাদ আমান ভাই এই রকম একটা পোস্ট দেওয়ার জন্য।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ রিঙ্কু ভাই আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। এ ধরনের ব্যপার গুলো ঘটে যাবার পরের মুহূর্তগুলি অনেক ভয়ংকর। তখন মাথায় একটি মাত্র চিন্তা থাকে, আর এক সেকিন্ড কিংবা আর একটু হলেই....

মহান আল্লাহ্‌র কাছে আপনার দীর্ঘজীবন কামনা করি।

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আমার এরকম বেশ কয়েকটা ঘটনা আছে! একটা বলি - আমি একবার পিকনিকে গেছিলাম মাধবকুন্ড! সেখানে পাহাড়ে উঠছিলাম। সবার সামনে আমি আছিলাম হঠাত করে পা পিছলে পড়ে গেছিলাম। গড়িয়ে গড়িয়ে অনেক নিচে এসে একটা গাছে আটকে গেছিলাম। গাছে না আটকালে আজকে এখানে হয়ত কমেন্ট করা হত না :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: যাক আলহামদুলিল্লাহ, আপনার কিছু হয়নি। আল্লাহ্‌ তায়ালা আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন।

নাহলে আমার পোস্টে কমেন্ট করত কে :)

১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

মাহবু১৫৪ বলেছেন: :-* :-*

আপনার বেশিরভাগ ঘটনাই সাইকেল কেন্দ্রিক। সাবধানে চালাতে হবে। একটূ খেয়াল না করলে তো বিপদ হতে পারে।

প্রতিটা ঘটনাই শিহরণ জাগানো

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আপনার সু পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। এখন খুব কম সাইকেল চালাই।

১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

জুন বলেছেন: আপনার মত আমার জীবনেও কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছিল তন্দ্রা বিলাস। বজ্রপাতের টা আর এক বার আমি অনেক ছোট আমাদের বাসার সামনের মাঠে বাড়ী বানানোর ইট ভেজানোর পানির ট্যাংকে পড়ে গিয়েছিলাম। আমার দাদা এসেছিল দেশ থেকে বেড়াতে উনি আমার ভাইয়ের চিতকার শুনে কাপড় চোপড় নিয়েই লাফিয়ে পরে আমাকে বাচিয়েছিল। আরেকবার তখন আমি সবেমাত্র স্কুলে ভর্তি হয়েছি। এক তালার ছাঁদ থেকে সোজা কংক্রিটের স্ল্যাবের উপর পরে সোজা অজ্ঞান।
আপনার স্মৃতিচারনে আমারও মনে পড়লো আরো ভয়ঙ্গকর কাহিনী । একবার চিতা বাঘ আরেক বার এক বাঘিনীর হাত থেকে দৈবক্রমে বেচে যাওয়া :-&

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আপনার ঘটনা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনি বাঘের মুখে পড়েছিলেন, ভাবতেই গা কাটা দিচ্ছে!
এই না হলে আমাদের ইবনে বতুতা আপু :)

১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: সবগুলো ঘটনাই আতংকজনক। সৃস্টিকর্তা আপনাকে রক্ষা করুন।
বছর ত্রিশেক আগের ঘটনা, গাড়ি চালিয়ে আসছি শহর থেকে শহরতলীর দিকে। রাত বারোটার বেশি টিপ টিপ বৃস্টি পড়ছিল আর চারদিকে গাঢ় অন্ধকার। পথে একটা রেলের লেভেল ক্রসিং পড়ে। গেটটা খোলা ছিল আর আমি চালিয়ে যেইমাত্র লাইনটা পার হলুম তক্ষুনি একটা ট্রেন পেছন দিয়ে আমার গাড়িকে পার হল! এক দু সেকেন্ডের জন্য্ বেঁচে যাই!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আর মাত্র এক সেকেন্ড কিংবা আর একটু হলেই....... এই চিন্তা গুলোই কাবু করে দেয়।

ধন্যবাদ।

২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: রাখে আল্লাহ মারে কে!! দীর্ঘায়ু হন। শুভকামনা রইল।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: মহান আল্লাহর কাছে আপনারও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩০

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: সাইকেলটা ফেলে দিন।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২২

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: সাইকেলটা চুরি হয়ে গেছে :(

২২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

সাদিকনাফ বলেছেন: এক জীবনে অনেক life পেয়েছেন ... ডাবল সেঞ্চুরির সমুহ সম্ভাবনা দেখছি...

২২ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ডাবল সেঞ্চুরি!!! দেখি কি করা যায়। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.