নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির পাতায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ স্যার, পর্ব-১

০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৮


২০১৭ সালের ৭ জুন চার দশক ধরে বসবাসরত অবস্থায় গুলশান এভিনিউর ১৫৯ নম্বরের বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় রাজউক। ১ বিঘা ১৩ কাঠা জমিতে দুইতলার বাড়িটির বাজার মূল্য ছিলো প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন স্যার। তার উপর বিচারাধীন ২৩ টি মামলা নিয়ে সপ্তাহের ৩/৪ দিন জজকোর্ট প্রাঙ্গনেই থাকতে হতো। কোর্টে আসলে দলমত নির্বিশেষে আইনজীবীরা সুযোগ পেলেই স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ছবি তোলার চেষ্টা করতো এবং স্যার বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত নিতেন। এমনিভাবে ২০১৮ সালের শেষের দিকে ছবি তুলতে তুলতে এক বিজ্ঞ আইনজীবী ৪০০ কোটি টাকার বাড়ির কথা বলে আফসোস করতে লাগলেন। তখন স্যার বললেন, শোন কত কোটি টাকার সম্পত্তি গেল তার জন্য আমার দুঃখ লাগছে না। আমার কষ্ট টা হলো, গত দেড় বছরেও আমার বইগুলো সাজাতে পারি নাই। লাইব্রেরিটা এলোমেলো হয়ে আমার যে ক্ষতি হয়েছে তা ভেবেই খারাপ লাগে!

বইয়ের সাথে স্যারের সম্পর্ক এমনই গভীর ছিলো, যা সত্যিই অনুকরণীয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৭ দশক বসবাসরত?

এই বাড়ী তো ৭১ এর পর দখল করা বাড়ী।
সে মুক্তিযুদ্ধে ছিলনা, এরপরও ১৬ ডিসেম্বরের পর দেশে এসে বাড়ীটি দখল করে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে লন্ডনে অবস্থানরত ব্যারিস্টার মওদুদকে পোস্টমাস্টার জেনারেল নিয়োগ করে মুজিবনগর সরকার। মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত ডাকটিকিট প্রকাশ ও শুভেচ্ছামূল্য বাবদ অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ডাকটিকিট বিক্রি থেকে সংগ্রহ করা অর্থের মোটা অঙ্ক আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
হাসিনা তার বিরুদ্ধে মামলা দেন নি, এই মামলা অনেক পুরোনো। জিয়ার আমলে দায়ের করা।
১৯৮২ সালে এরশাদের সামরিক শাসনামলে গুলশানের বাড়িসংক্রান্ত মামলায় দরজা ভেংগে মওদুদকে বের করা হয়। বাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়। তিনি তখনই ১২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।
বছরদুই পর ভাগাভাগি সমঝোতা .... অনেক কাহিনী . ..

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৭

এম টি উল্লাহ বলেছেন: এসব কাহিনী কতটুকু বাস্তবসম্মত!

২| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৯

জগতারন বলেছেন:
খাঁটী এক নম্বরের আহসান হাবীব পিরার মার্কা নোয়াখাইল্লা মাল ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৫

এম টি উল্লাহ বলেছেন: বুঝতে পারি নি

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ রাত ১:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: মওদুদ সাহেব জানতেন, পরের বাড়ীর মূল্য জেনে আর কি হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৫

এম টি উল্লাহ বলেছেন: বিষয়টি এমন নয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.