নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বায়না দলিল বাতিল করার নিয়ম জেনে নিন

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৯


সম্পত্তি হস্থান্তর আইনের ৫৩ (খ) ধারা মতে বায়না বলবৎ থাকাবস্থায় বায়নাকৃত স্থাবর সম্পত্তিকে বায়না গ্রহীতা ব্যতীত অন্য কাহারো নিকট বিক্রয় করা যাবে না। যদি না বায়না দলিলটি আইনসম্মত ভাবে বাতিল করা না হয়।

বায়না চুক্তি বাতিলের ক্ষেত্রে প্রথমে দেখতে হবে দলিলের ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে কি বায়না চুক্তিটি বাতিলের জন্য রাজী আছে কিনা। যদি দলিলের ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই বায়না চুক্তিটি বাতিলের জন্য রাজী থাকলে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েই বায়নানামা বাতিল বা রহিতকরণ দলিল রেজিস্ট্রেশন করা যায় সহজে। অন্যদিকে, এক পক্ষ চাইলেই যে বায়না দলিল বাতিল করে অপরপক্ষের ক্ষতিসাধন করবে তাও কিন্তু নয়। কেননা, অপরপক্ষ চাইলে বায়না দলিল বলবত করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন।

বায়না দলিল রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে, বায়না মেয়াদকালের মধ্যে যদি উভয় পক্ষ যেকোনো কারণে সম্মত হয় যে, তারা বায়না দলিল বাতিল করবে, তাহলে তাদের পূর্বের সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েই বায়নানামা বাতিল বা রহিতকরণ দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অর্থাৎ, যে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বায়না দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল, সেই সাব রেজিস্ট্রি অফিসেই উক্ত রহিতকরণ দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

আর যদি জমির ক্রেতা চুক্তিটি বাতিলের জন্য রাজী না থাকে। এক্ষেত্রে জমির বিক্রেতা প্রথমে একত্রে আইনজীবীর কাছে গিয়ে উক্ত বায়না দলিলের ক্রেতা বরাবর একটি উকিল নোটিশ দিতে হবে।

উক্ত নোটিশে ক্রেতাকে বায়না দলিলের অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের জন্য কয়েকদিন সময় দিতে পারেন এবং আরো উল্লেখ করতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি বকেয়া টাকা পরিশোধ না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। যদি উকিল নোটিশ প্রাপ্তির পর ক্রেতা সময় মতো টাকা পরিশোধ করে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয় তাহলে ভাল। তা না হলে বিক্রেতা আদালতে গিয়ে যথাযথ কারণ দেখিয়ে বায়না চুক্তি বাতিলের মামলা করতে পারে।

আদালত সবকিছু দেখে সন্তুষ্ট হলে উক্ত বায়না চুক্তিটি বাতিল করে দিবে আবার এসঙ্গে আদালত জমির বিক্রেতার ক্ষতিপূরণ হিসাবে বায়না চুক্তির টাকা বিক্রেতার কাছে রেখে দেওয়ার আদেশ দিতে পারে। আদালতের বায়না চুক্তিটি বাতিলের রায় পাওয়ার পর জমির মালিক পুনরায় জমিটি অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

** বায়নার মেয়াদ থাকাকালীন সময়ে বায়না দলিল বাতিলের মামলা করা যাবে না। অর্থাৎ, বায়না দলিলের মেয়াদ যদি ৬ মাস হয়, উক্ত ৬ মাসের মধ্যে বায়না দলিল বাতিলের মামলা করা যাবে না। অতএব, বিক্রেতা হিসেবে আমাদেরকে প্রথমে বায়না দলিলে উল্লেখিত সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় দিতে হবে। উক্ত সময়ের পরেও যদি ক্রেতা কিছু সময় চায় তাহলে মানবতার খাতিরে আমরা সেই সময় দিতে পারি তবে সেটি অবশ্যই লিখিত হতে হবে; তবে সেটি কোন মতেই দীর্ঘ সময় হতে পারবে না। কেননা, বায়না দলিলে উল্লেখিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩৫ ধারা অনুযায়ী চুক্তি তথা বায়না দলিল বাতিলের মামলা করতে হবে।

** মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: জেনে ভাল হল । আমার বায়না চুক্তিতে কোন সময় সীমা দেওয়া ছিল না । এই নভেম্বরে তা ৪ বছর পূর্ণ হবে । প্রস্তাবিত ক্রেতা এখন জেলে আর্থিক দুর্নীতির জন্য । আমি কি ক্রেতাকে একটি নোটিশ দিয়ে চুক্তি বাতিল করে আমার জমি অন্যত্র বিক্রয় করতে পারি । একজন বলেছিলেন আপনার এই দলিল এখন মূল্যহীন । বায়নার টাকা ইচ্ছে হলে ফেরত দিতে পারেন বা ক্ষতিপুরন হিসাবে রেখে দিতে পারেন কারন ৪ বছর আগের জমির মুল্য এখন দিগুণেরও বেশি ।


ধন্যবাদ তরিকুল্ল্যাহ

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: নোটিশ দিয়ে বাতিল করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.