নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচন করলে দুদকের মামলা খেতে হয় যেসব কারণে এবং রেহাই পাওয়ার উপায়

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৫


আমরা দেখি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দুদকের মামলার আসামী হয়ে থাকেন। বিশেষ করে যারা সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন তাদের পিছনে দুদক দৌড়ায় বেশী! কিন্তু কেন?
দুদকের/দুর্নীতি সংক্রান্ত এমন সব মা্মলা পরিচালনা করতে এবং প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমার যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সঞ্চার হয়েছে তা থেকে কিছু বিষয় শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
প্রথমত, যে সকল রাজনৈতিক নেতা সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন তাদেরকে ধরা দুদকের জন্য সহজতর। কারণ, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১২(৩বি) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামার মাধ্যমে ৮টি তথ্য ও কোন কোন তথ্যের সপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে হয়। এই সকল তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিকে জবাবদিহিতার আওতায় বিনা কষ্টে আনা যায়।
কারণ, ৮ টি তথ্যের মধ্যে প্রার্থীর নিজের ও তার উপর নির্ভরশীলদের পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী, কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে তদকর্তৃক একক বা যৌথভাবে বা তার উপর নির্ভরশীল সদস্য কর্তৃক গৃহীত ঋণের পরিমাণ অথবা কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা পরিচালক হবার সুবাদে ঐ সকল প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত ঋণের পরিমাণ, সম্ভাব্য আয়ের উৎসসমূহ, আয়কর রিটার্ণের ডকুমেন্টস্, ব্যবসা/পেশার বিবরণী দাখিল করতে হয়। আর এসব দাখিল করার প্রেক্ষিতে দুদকের জন্য পরবর্তী কাজ সহজ হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ত, দাখিলকৃত পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী বা আয়কর নথিতে প্রার্থীর নামীয় কোন সম্পদ না আসলে কিংবা অবমূল্যায়ন (কম দাম দেখানো) বা আয়ের বৈধ উৎসের বিবরণী নিয়ে সন্দে হলে দুদক নোটিশ করতে পারে। আর এসব তথ্য দুদক নয় চাইলে যে কেই নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট থেকেই সংগ্রহ করে যাচাই-বাচাই করতে পারেন।

কি মামলা করতে পারে দুদক?
দুদক প্রার্থীর দাখিলীয় হলফনামা ও বিবরণী দেখে প্রথমে দুদকের যদি মনে হয় প্রার্থী বৈধ উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তির দখলে রহিয়াছেন বা মালিকানা অর্জন করিয়াছেন তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারার বিধান মোতাবেক উক্ত ব্যক্তিকে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে দায়-দায়িত্বের বিবরণ দাখিলসহ উক্ত আদেশে নির্ধারিত অন্য যে কোন তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
আর থ্য দাখিলের নির্দেশ দেওয়ার পর যদি কোন বই, হিসাব, রেকর্ড, ঘোষণা পত্র, রিটার্ণ বা কোন দলিল পত্র দাখিল করেন বা এমন কোন বিবৃতি প্রদান করেন যাহা ভিত্তিহীন বা মিথ্যা বলিয়া মনে করিবার যথার্থ কারণ থাকে,তাহালে ৩ বৎসর (তিন) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

আর প্রার্থীর দাখিলীয় হলফনামা ও বিবরণী দেখে যদি মনে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পত্তির দখল রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে দুদক দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারার বিধান মোতাবেক মামলা করতে পারে এবং উক্ত ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর এবং অন্যুন ০৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন; এবং উক্তরূপ সম্পত্তিসমূহ বাজেয়াপ্ত যোগ্য হইবে৷

তাহলে করণীয় কি?
করণীয় হলো শুধু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য হলেই হবে না বরং নমিনেশন ফরম সংগ্রহ থেকে জমা দেওয়ার যাবতীয় কাজ অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১২(৩বি) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামার মাধ্যমে ৮টি তথ্য ও তথ্যের সপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে হয় সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং আয়কর নথির সাথে দাখিলকৃত হলফনামার সামঞ্জস্যতা থাকতে হবে।
সর্বোপরি, এই সংক্রান্তে নির্বাচন সংক্রান্তে অভিজ্ঞ লোক এবং দুদকের মামলা পরিচালনা করেন এমন আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া উত্তম। এসব ছাড়াও এমন কিছু সুক্ষ্ম বিষয় রয়েছে যা একজন প্রার্থীর মাথায় আসে না এবং নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে তখন বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করাও সম্ভব হয় না। পরে, নানান জটিলতায় বিশেষ করে মামলা মোকাদ্দমার গ্লানি টানতে হয়। নির্বাচিত হলে তো ঝামেলা আরো বেশী বেড়ে যায়।


--মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)

লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: 'দুদক' দেশের সবচাইতে দূর্ণীতি গ্রস্থ একটি প্রতিষ্ঠান।

০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: দুঃখজনক!

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: দুদক একটা হাস্যকর প্রতিষ্ঠান।

০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

এম টি উল্লাহ বলেছেন: দুঃখজনক। দুদকের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশিত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.