নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যা সাইবার মামলা করলে মামলা কারীরও হতে পারে ১৪ বছর জেল এবং ১ কোটি টাকা জরিমানা!

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮



নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর বিধান মোতাবেক মিথ্যা মামলা, অভিযোগ দায়ের করলে সেক্ষেত্রে মামলাকারীকেও সাজার আওতায় আনা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ৩৪ ধারা বিধান মোতাবেক-
যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করিবার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জানিয়াও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করাইয়াছেন উক্ত ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ডনির্ধারিত রহিয়াছে সেই দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

তাহলে বিষয়টি পরিস্কার। কেউ যদি মিথ্যা মামলা আনায়ন করেন তিনি যে ধারায় অভিযোগ আনায়ন করবেন সেই ধারায় যে সাজা তা মিথ্যা মালার বাদীর উপর বর্তাবে। ধরুন, আপনি কারো বিরুদ্ধে হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ আনায়ন করেছেন সেক্ষেত্রে অভিযোগটি যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় কিংবা তদন্তে বা বিচারে এটি উঠে আসে আপনি শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি আনায়ন করেছেন সেক্ষেত্রে হ্যাকিং অপরাধের জন্য যে সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং ১ কোটি টাকা জরিমানা তা আপনার উপর বর্তাবে। এমনকি, একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহা হইলে উক্ত ধারায় বর্ণিত অপরাধসমূহের মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যাহার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় উহাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাইবে।

অবশ্য এক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষণীয়, মামলাকারীর বিরুদ্ধে এমনি সাজা সয়ংক্রীয়ভাবে হবে না। তাতে অবশ্যই ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে লিখিত আকারে ট্রাইবুনালের নিকট বিচার চাইতে হবে। তারপর ট্রাইবুনাল তা সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করিবেন। মানে, ট্রাইবুনাল স্বপ্রণোদিতভাবে এমনটি করার সুযোগ আইনে রাখা হয় নি।

অতএব, হয়রানিমূলক মিথ্যা সাইবার মামলা করার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা থাকা জরুরি। অনেকক্ষেত্রে অভিযোগ সত্য হওয়া সত্ত্বেও উপস্থাপনের ফলেও বাদীর অভিযোগ/মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যেতে পারে। তাই সাইবার মামলা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মিত প্র্যাকটিশনার অভিজ্ঞ সাইবার আইনজীবীর শরণাপন্ন হওয়াটা জরুরী। আর তদন্তকালীন সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার সহিত যোগাযোগ রেখে প্রমাণাদি প্রদান করা উচিত।
মানে, মামলা করলেই হবে না বরং প্রমাণের দায়িত্বও নিতে হবে। তবে, এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা আইনে বলা নেই। আইনে ব্যক্তি যখন ব্যক্তির বিরুদ্ধে করবে সেই কথা বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্যও সুষ্পষ্ট নির্দেশনা থাকাটা প্রয়োজন ছিল।

-- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)

লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: জরিরমানা টা বেশি হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.