নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডক্টর ইউনুসের কি যাবজ্জীবন কারাদন্ড হবে? কী আছে দুদকের মামলায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৬


নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস এর মামলা আবারও আলোচনায়। শ্রম আইন লঙ্গনের মামলায় ৬ (ছয়) মাসের সাজা হতে না হতে এখন দুদক দায়ের করলো অভিযোগপত্র/চার্জশীট। চার্জশীর্টটি ঢাকার বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করা হয় ৩১শে জানুয়ারী। আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি মামলার বিষয়বস্তু এবং সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়।

প্রফেসর ইউনুস সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ কী?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে অভিযোগ হলো গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরনের জন্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাথে একটি সেটেলমেন্ট চুক্তি হয় যেটি জালিয়াতিপূর্ণ এবং যার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়াও কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আরেকটু বিস্তারিত বলতে গেলে অভিযোগটি হলো এমন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে গ্রামীণ টেলিকমের ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখা একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।  এর আগে ২৭ এপ্রিল কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক ইউনিয়ন ও গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি সই হয়।
দুদক বলছে, গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভায় ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্তের একদিন আগেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট এপ্রিলে হলেও, অ্যাগ্রিমেন্টে ৮ মে খোলা ব্যাংক হিসাব দেখানো হয়, যা বাস্তবে অসম্ভব। 

ওই বোর্ডসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক মিরপুর শাখা থেকে গ্রামীণ টেলিকমের ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ১০ মে ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা মাইনুল ইসলামের ডাচ-বাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার অ্যাকাউন্টে ২৬ মে ২ কোটি টাকা এবং ২ জুন ১ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার অ্যাকাউন্টে ২৬ মে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ২ জুন ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি টাকা এবং সিটি ব্যাংক গুলশান শাখার অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়। আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ অ্যাকাউন্টে ২৯ মে ৬ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না বলে অভিযোগে জানায় দুদক। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ট্রেড ইউনিয়নের নেতা কামরুল ইসলামের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ২৯ মে চেকের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে নেন। আত্মসাতের উদ্দেশ্যে স্থানান্তরিত বাকি ৭২ হাজার টাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ফ্রিজ করা আছে। দুদক বলছে, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং আইনিজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা অসৎ উদ্দেশ্যে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেছেন।এছাড়া কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ অবস্থায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস চেয়ারম্যান, গ্রামীণ টেলিকমসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদক চার্জশিট দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।

মামলার আসামী কারা?

অভিযুক্তরা হলেন-অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

মামলায় চার্জশীট অনুমোদন দুদক কেন করে?

অন্যান্য ফৌজদারি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সরাসরি বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীর্ট দাখিল করতে পারেন। তবে, দুদকের মামলার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালঅ,২০০৭ এর ১৩ ধারার বিধান মোতাবেক দুদকের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিশনারের নিকট হইতে চার্জশীট অনুমোদন হওয়ার পর তা আদালতে পাঠাতে হয়। 

কোন কোন ধারায় চার্জশীট  দাখিল করা হয়:  

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগকারী/বাদী কে?

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠান। এর সূত্র ধরেই দুদকের  উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গ্রামীণ টেলিকমের বক্তব্য কী? 

চার্জশীর্ট দাখিলের পর টেলিকমের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুনের মিড়িয়াতে উপস্থাপিত বক্তব্য হলো, যখন গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানিকে আদালতের মাধ্যমে সরকার হস্তগত করে নিয়ে যেতে চাইলো তখন বাধ্য হয়ে গ্রামীণ টেলিকম তাদের (শ্রমিক) সাথে একটা চুক্তিনামা করে। চুক্তিনামায় বলা হয়, তাদেরকে পাঁচ পার্সেন্ট দিতে হবে। আরও দুঃখের বিষয় ওই ৫ পার্সেন্টের সাথে তারা যুক্ত করল গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফোনের ৩৫ পার্সেন্ট ইকুইটি শেয়ার। এর বিনিয়োগ। বিনিয়োগের টাকা তো শ্রমিকের সাথে যুক্ত নয়। সেখানে বাধ্য করল ওই লভ্যাংশ শ্রমিকদের সাথে যুক্ত করতে হবে। ফলে তার পরিমাণ দাঁড়ালো ৪৩৭ কোটি টাকা। পরে হিসাবে ভুল হলে দেখা গেল সেটা ৪০৯ কোটি টাকা। চুক্তি হওয়ার ফলে বলা হলো এক মাসের ভেতরে অ্যাকাউন্ট করে এই টাকা জমা দিতে হবে। নইলে তারা এটি করবে না। কোম্পানিকে অবসায়ন থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার যেন এই গ্রামীণ টেলিকমকে নিতে না পারে তখন বাধ্য হয়ে এই চুক্তি করা হলো। 
পরে গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে অ্যাকাউন্ট করা হয় এবং ওই টাকা চেকের মাধ্যমে পে করা হয়।পরে ট্রেড ইউনিয়ন এসে গ্রামীণ টেলিকমের কাছে আবেদন করে তাদের টাকা থেকে অ্যাডভান্স ২৬ কোটি টাকা দিতে হবে। এতদিন তারা মামলার যে খরচ করেছে তাদের সাথে মৌখিক কন্ট্রাক্ট হয়েছে তারা যদি মামলায় জিতে শ্রমিকরা যা পাবে তার থেকে ৬ পার্সেন্ট এই খরচ দেবে। এর পরিমাণ ২৬ কোটি টাকা। তাদেরকে অ্যাডভান্স দিতে হবে নইলে তারা মামলা ওঠাবে না, সই করবে না। তখন সমস্ত শ্রমিকদের কাছ থেকে লিখিতভাবে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয় যে এই টাকা ট্রেড ইউনিয়নের ফান্ডে দেওয়া হলে তাদের কোনো আপত্তি নাই। স্ট্যাম্পের ভিত্তিতে লিখিত দিয়ে বলেছে তাদের ৪০৯ কোটি টাকার হিসাবে ২৬ কোটি টাকা না দিয়ে ২৫ কোটি টাকা, ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বাদ রইলো। এটা দেওয়া হয়েছে।
এরপরই দুদক বলল, তোমরা জালিয়াতি করেছ। দুই পক্ষ মিলে সই করল, দুই পক্ষ আন্ডারস্ট্যান্ডিং করল, কন্ডিশন দেওয়া আছে। হাইকোর্টের মামলার রেফারেন্স আছে। কিন্তু দুদক এসব কিছু গোপন করে গেল। তখন আবার বলা হলো ৬ পার্সেন্টে ২৬ কোটি টাকাই হবে ৪৩৭ কোটি টাকার হিসাবে, আমরা ৪০৯ কোটি মানি না। তখন আবার ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা তাদের দেওয়া হলো। এবার বলা হলো, এটা ঘুষ ছিল ৪৩৭ কোটি টাকা। প্রত্যেকটি টাকা তাদের নামে চেকে তাদের অ্যাকাউন্টে পে করা হয়েছে। কোনো রকম অনিয়ম করা হয়নি। এই বিষয়টা গোপন করে দুদক মামলা করেছে। 

কী সাজা হতে পারে?

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
উক্ত ধারা সমূহের মধ্যে দুইটি ধারায় সর্বোচ্চ সাজা হলো যাবজ্জীবন কারাদন্ড। ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪০৯ এবং ৪৬৭ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা হলো যাবজ্জীবন কারাদন্ড। তার মানে এই দুই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা হলে দুইবার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। ৪২০ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর কারাদন্ড, ৪৬৮ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর কারাদন্ড, ৪৭১ ধারায় দন্ডের কথা সুনির্দিষ্ট করে বলা না হলেও যে দলিলটি জালিয়াতি করা হয়েছে সেরূপ সাজা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। ১০৯ ধারায় দুষ্কর্মে সহায়তার সাজা, যেরূপ অপরাধ সংঘটনে সহায়তা সেরূপ সাজা হবে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ১২ (বার) বছরের সশ্রম কারাদন্ড।

দুদক মামলা করলে সাজা অনিবার্য?

দুদক কোন মামলা করলে সেক্ষেত্রে বেকুসুর খালাস পাওয়ার নজির তেমনটি নেই। অপরদিকে  দুদকের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর আওতায় করা কোন মামলা খালাস হওয়ার নজিরই নেই। সেক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদন্ড না হলেও ১০ বছরের সাজা হতে পারে অপরাধ প্রমাণিত হলে!

মামলা চলাকালীন জেলে যেতে হতে পারে?

যেহেতু ধারা সমূহ জামিন অযোগ্য। সেক্ষেত্রে মহামান্য হাইকোর্টে আগাম জামিন চাওয়া হতে পারে। মহামান্য হাইকোর্ট জামিন দিতেও পারে আবার নাও দিতে পারে। দিলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিন প্রাপ্ত হবেন এবং মহামান্যি হাইকোর্টের নির্দেশিত সময়ের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। বিচারিক আদালত চাইলে জামিন দিতে পারে কিংবা জেল-হাজতে প্রেরণ করতে পারেন বিচার চলাকালীন সময়ে।     

বিচার কোন আদালতে, নিষ্পত্তি হতে কতদিন লাগবে?


দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৮ ধারার বিধান মোতাবেক বিচার হবে শুধুমাত্র স্পেশাল জজ/বিশেষ জজ আদালতে। ফৌজদারি আইন সংশোধ আইন,১৯৫৮ এর ৬ক ধারার বিধান মোতাবেক বিশেষ জজ আদালত অপরাধ আমলে নেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করিবেন। সম্ভব না হলে আরো ১৫ দিন পাবেন। তবে, এটি বাধ্যতামূলক না হওয়ায় সাধারণত আরো বেশী সময় লাগে। 

গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে লড়েও আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী কেন ফেঁসে গেলেন?

মামলা সমঝোতার জন্য গ্রামীণ টেলিকম থেকে ১২ কোটির বেশি টাকা ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে। আইনজীবী ইউসুফ আলীর বক্তব্য হলো তিনি গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা আদায়ের জন্য মামলা সমূহ শুরু থেকেই কন্টাক্টে করেছেন। কোন ফি নেন নি। যার প্রেক্ষিতে  চাকরিচ্যুত ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা বাবদ ৪৩৭ কোটি টাকায় সমঝোতা করে গ্রামীণ টেলিকম এবং নিষ্পত্তির আলোকে তিনি ফি পেয়েছেন । তার বক্তব্য, আমি গ্রাণীম টেলিকমকে নাকানি-চুবানি খাওয়াইলাম অথচ আজ আমি-ই আসামী! 


- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)

লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।


মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ইউনূস সাহেবের কিচ্ছু হবে না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: কারণ?

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: না উনার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হবে না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: কিভাবে বুঝলেন?

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮

ফেনা বলেছেন: কিন্তু কোন কারণে যদি আজীবন কারাবাস হয়েই যায় তবে তা হবে এক নতুন ইতিহাস। যা- কোন নোভেল জয়ী ব্যক্তি আজীবন কারাবাসে দন্ডিত হবে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: সেটাই

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০

নতুন বলেছেন: আইনের শাসন অবশ্যই ভালো।

কিন্তু যদি উনার রাজনিতিতে আসতে চাওয়ার কারনেই তার এই বিষয়গুলি সামনে এনে সাজা দাওয়া হয় তবে সেটা হয়রানি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: আদালতের রায় আমাদের মানতেই হবে।এখন দেখা যাক বিচারে কি হয়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: সেটাই। ধন্যবাদ

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ডক্টর ইউনুস একটি সাধারণ অর্থ মামলায় লড়াই করে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন আদালতে আইনজীবীর পিছনে।
বিদেশে লবিঙ্গেও কোটি কোটি ডলার অকাতরে খরচ করছেন।
১ লাখ ডলার খরচ করেছেন ওয়াশিংটন পোস্টে একটি বিবৃতি ছাপাতে।
অথচ কর্মচারীদের সামান্য কিছু বকেয়া টাকা ফেরত দিয়ে দিলেই সব মামলা চুকে যেত। কিন্তু তিনি দিবেন না। দিয়ে দিলে তো আর রাজনীতি হয় না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৩

এম টি উল্লাহ বলেছেন: জনাব, বিষয়টি এতো সহজ?

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭

রানার ব্লগ বলেছেন: মনে হয় না কিছু হবে । এই দেশ চোরদের জন্য স্বর্গ রাজ্য । যে যেমন পারছে চুরি করছে । আমি পারি না তাই করি না ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৪

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সংবাদ ভাষ্যে দেখলাম উনার,মেয়ে সরকারের সাথে সমজোতায় যেতে চায়।
ড: ইউনুস ও প্রধানমন্ত্রী হাছিনার যৌথভাবে ভাবে কাজের বিষয়ে
তার মেয়ে আগ্রহের কথাও জনিয়েছে দেখা যায় । তলে তলে নাকি
অনেক কিছুই হয় , তেমনি কি কিছু হবার কোন সম্ভাবনা আছে !!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনি বলতে চাচ্ছেন তাহলে সরকার ইচ্ছে করে মামলা করছে?

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

না আমি সে কথা বলছিনা । মামলা করেছে দেশের দায়িত্বশীল কতৃপক্ষ ।
এখানে সরকারের কিছু করার নেই । বিচার বিভাগের উপর সরকার হস্তক্ষেপ
করেনা । ড.ইউনুস ও তার মিত্ররা বুঝতে পেরে গেছে আইনি পথে গেলে
তারা পার পাবেনা । তাই তারা এখন সরকারের সাথে সমজোতা সহ
সকল প্রকারের কলা কৌশল প্রয়োগে ততপর হয়েছে । তার প্রবাসী
মেয়ের মুখে এই সমজোতা প্রয়াসের কথা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে দেখা
যাচ্ছে । আমার মনে হয় ড.ইউনুসের অস্বচ্ছচারীতা ও টাকা পয়সা
এদিক সেদিক করার কথা এখন দেশের মানুষ বুঝতে শুরু করেছে ।
ড.ইউনুস সেন্টার মনে হয় তাদের প্রচার মিশনে খেই হারিয়ে ফেলেছে্।
তাই তাদের ঐতিহ্যবাহী কৌশল সমজোতার পথে হাটতে চাইছে ।

সে যেই হোক দেশে আইনের শাসন একান্ত কাম্য । লবিং করা কোন
নোবেলের চেয়ে দেশে আইনের শাসন অনেক বেশী দামী ।

আপনার তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।

১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সুযোগের অভাবে আমরা অনেকেই আজ সৎ এর ভাব ধরে আছি।
আফসোস!

১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কারণ?

মূলত শেখ হাসিনা যা চান, যেভাবে চান দেশে সেটাই হয়। হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.