নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক মহিলা প্রতিদিন রুটি বানাত তার পরিবারের সদস্যদের জন্য, তার মধ্য থেকে একটি উদ্বৃত্ত রুটি ক্ষুধার্ত পথিকের জন্য জানালার উপর রেখে দিত, যার ইচ্ছা হয় সেখান থেকে নিয়ে যাবে। প্রত্যেক দিন একজন কুঁজো ব্যাক্তি এসে তা নিয়ে যেত। কোনোরকম কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পরিবর্তে, চলে যাওয়ার সময় সে বিড় বিড় করে নিম্নোক্ত কথা গুলি বলত, “ তুমি যা কিছু খারাপ কর তা তোমার সাথেই থেকে যায়, আর যা কিছু ভালো কর, তা তোমার কাছেই ফিরে আসে।” দিনের পর দিন এভাবেই চলছিল। প্রতি দিন কুঁজো ব্যাক্তিটি আসে আর যাওয়ার সময় বলতে বলতে যায়, “ তুমি যা কিছু খারাপ কর তা তোমার সাথেই থেকে যায়, আর যা কিছু ভালো কর, তা তোমার কাছেই ফিরে আসে।” মহিলাটি বিরক্ত বোধ করে । সে নিজের মনে বলতে থাকে, “ এত টুকুও কৃতজ্ঞতা বোধ নেই !” ...
“প্রতিদিন কুঁজোটি একই গান গায় ! সে কি বোঝাতে চায়???” একদিন মরিয়া হয়ে সিদ্ধান্ত নিল যে তাকে সে দূরে সরিয়ে দেবে। “আমি তার থেকে মুক্ত হব” সে বলল। সে কুঁজোর জন্য তৈরী করা রুটিতে বিষ মিশিয়ে রাখল! সে যে মুহুর্তে রুটিটি জানালার উপর রাখবে, তার হাত কেঁপে উঠল। “এটা আমি কি করছি?” সে তৎক্ষণাৎ বলল এবং রুটিটি আগেনে নিক্ষেপ করল। আরো একটি রুটি তৈরী করে সে আবার জানালার উপর রেখে দিল। যথারীতি , কুজো ব্যাক্তি এল এবং রুটিটি নিয়ে বিড় বিড় করে একই কথা বলল, “ তুমি যা কিছু খারাপ কর তা তোমার সাথেই থেকে যায়, আর যা কিছু ভালো কর, তা তোমার কাছেই ফিরে আসে।” বলতে বলতে তার পথে রওনা হলো । সৌভাগ্যক্রমে জানল না যে, মহিলাটির অন্তরে কিসের যুদ্ধ চলছে।
প্রতিদিন মহিলাটি জানালার উপর যখন রুটিটি রাখে, তখন সে তার সন্তানের জন্য প্রার্থনা করে, যে ভাগ্যান্বেষনে দূরদেশে ভ্রমণে গিয়েছে। অনেক মাস হয়ে গেছে, সে তার কোনো সংবাদ জানেনা। সে তার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রার্থনা করে। সে দিন সন্ধ্যায়, কে যেন বাড়ীর দরজায় টোকা দেয়, দরজা খুলে সে চমকিত হয়ে তার সন্তান কে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। তার ছেলে রোগা ও পাতলা হয়ে গেছে । তার পোশাক ছিন্ন ও মলিন। সে ছিল চরম ক্ষুধার্ত এবং অনেকদিন ধরে অনাহারী। সে মা কে দেখে বলল, “মা এটা একটা অলৌকিক ঘটনা যে আমি এখনো বেঁচে আছি।” আমি যখন বাড়ী থেকে প্রায় এক মাইল দূরে, তখন এতটাই ক্ষুধার্ত ছিলাম যে, পথের উপর লুটিয়ে পড়ি। আমি হয়ত মরেই যেতাম, তারপর একজন কুঁজো ব্যক্তিকে রাস্তা দিয়ে যেতে দেখি । আমি তার কাছে এক লোকমা খাবার চাই, কিন্তু সে যথেষ্ট দয়ালু ছিল যে আমাকে পুরো একটা রুটিই দিয়ে দেয়। সে যখন রুটিটি দেয়, তখন বলছিল, এই একটি রুটিই আমি প্রতিদিন খাই , কিন্তু আজ এটি তোমাকে দেব, কারন আজ তোমার প্রয়োজন আমার চেয়ে বেশী!” মা এ সকল ঘটনা শোনার সাথে সাথে মুখ বিবর্ণ হয়ে যায়।
সে (মহিলা) তার বিধ্বস্ত শরীর কে দরজার সাথে হেলান দিয়ে পতনের হাত থেকে রক্ষা করে, তার সকালে বিশ মেশানো রুড়ির কথা টি মনে পড়ে। সে যদী রুটিটি আগুনে না পুড়িয়ে দিত, তা আজ তার সন্তান খেত এবং তার জীবন হারানোর কারণ হতে পারত। তখন সে কুঁজো লোকটির বিড় বিড় করে বলা কথাটির মূল্য বুঝতে পারলঃ
“ তুমি যা কিছু খারাপ কর তা তোমার সাথেই থেকে যায়, আর যা কিছু ভালো কর, তা তোমার কাছেই ফিরে আসে।”
শিক্ষণীয় বিষয়ঃ ভালো কাজ করতেই থাক, কখনো বন্ধ করোনা, যদিও তৎক্ষণাৎ তার কোনো পুরস্কার না মেলে।
সংগৃহীত এবং ইংরেজী থেকে অনূদিত।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩
তট রেখা বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খায়রান
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর শেয়ার
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৯
তট রেখা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম এমনি হয়। যেমন কর্ম তেমন ফল
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪১
তট রেখা বলেছেন: সুতরাং, কর্ম সব সময় ভালো হওয়া প্রয়োজন। ভাল কাজের প্রতিদান আল্লাহর কাছে আখেরাতে অপেক্ষমান।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: গল্পটা জানি । সুন্দর শিক্ষণীয় গল্প । শেয়ারে ধন্যবাদ ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
তট রেখা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪
অজন্তা তাজরীন বলেছেন: amra shob e bujhi !!! shob e jani ...jibon theke onek shikhechi o ter por o shob bhule jai... srishtikorta amader shohay hon .
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩
তট রেখা বলেছেন: আমীন। সুম্মা আমীন।
৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাললাগল
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
তট রেখা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০
ধমনী বলেছেন: সুন্দর।