নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাধারণ মুসলমান।

তট রেখা

তট রেখা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুমুআহঃ সপ্তাহের সেরা দিন

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

বিসমিল্লাহিররাহমানিররাহিম, সর্ব শক্তিমান আল্লাহর প্রশংসা করছি, তাঁরই কাছে সাহায্য চাই এবং তাঁরই ক্ষমার প্রত্যাশী।

জুম্মা একটি মহিমান্বিত দিবস, এটি একটি সম্মানিত দিন এবং মুমিনদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদ।


পবিত্র কুরানে আল্লাহসুবহানুওয়াতা’আলা ঘোষনা করেন [ সুরা জুমুআহঃ আয়াত-৯, ১০ এবং ১১]

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ (৯

মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।

فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (১০

অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

وَإِذَا رَأَوْا تِجَارَةً أَوْ لَهْوًا انفَضُّوا إِلَيْهَا وَتَرَكُوكَ قَائِمًا قُلْ مَا عِندَ اللَّهِ خَيْرٌ مِّنَ اللَّهْوِ وَمِنَ التِّجَارَةِ وَاللَّهُ خَيْرُ الرَّازِقِينَ (১১

তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। বলুনঃ আল্লাহর কাছে যা আছে, তা ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বোত্তম রিযিকদাতা।

জুম্মার সালাত ফরয হওয়ার পর থেকে এ সালাত এর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহুয়ালাইহিয়াসসাল্লাম) বিশেষ যত্নবান ছিলেন, তিনি মুসলমানদের এ সালাতের তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দিতেন, তিনি এই সালাতকে হাল্কা ভাবে না নেয়ার জন্য সাহাবীগণকে সতর্ক করতেন।

জুম্মা হচ্ছে সপ্তাহের সেরা দিন। ইমাম আহমেদ, মুসলিম এবং তিরমিযি বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুয়ালাইহিয়াসসাল্লাম বলেনঃ

“সুর্য উদিত হয় এমন দিনের মধ্যে জুম্মা হলো স্রেষ্ঠ দিন । এ দিনে আল্লাহ আদম (আলাইহিয়াসসাল্লাম) কে সৃষ্টি করেছেন, তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করেছেন”

অনেক পূণ্যের কাজ ব্যাতিত এই দিনটি অতিবাহিত করবেননা এবং অশেষ সওয়াব থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেননা।



একটি দ্রুত স্মরণিকাঃ

১। নখ কাটুন

২। গোসল করুন

৩। উত্তম পোশাক পরিধান করুন

৪। মেসওয়াক ব্যাবহার করুন

৫। আগে ভাগে মসজিদে যান

৬। জামাতে সালাত আদায় করুন

৭। আল্লাহর কাছে অনেক বেশী করে দোয়া করুন

৮। সুরা কাহফ তেলাওয়াত করুন

৯। অধিক হারে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহুয়ালাইহিয়াসসাল্লাম) এর উপর দরুদ পাঠ করুন

১০। যত বেশী পারেন ভালো কাজ করুন এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকুন

SIMILAR POSTS YOU MAY LIKE TO READ:

দশটি সময় যখন দু’আ কবুল হয়

ইবাদতে পরিতৃপ্তি ও মিষ্ট স্বাদ

সালাত কি জীবনে পরিবর্তন আনে?

আমাদের দশটি বিনষ্ট জিনিস

হিংসা বা ঈর্ষা জয়ের ৮ টি উপায়

মদীনায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর দেয়া প্রথম খুতবা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.