নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাধারণ মুসলমান।

তট রেখা

তট রেখা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালাত কি জীবনে পরিবর্তন আনে?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

এ কথা বলা হয়, সালাত মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনে। কিন্তু আসলে কি তাই?
হ্যাঁ, আসলেই তাই। সালাত মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করে।

সালাত কি আপনার জীবনের বর্তমান অবস্থা বা হঠাৎ উপস্থিত হওয়া কোনো পরিস্থিতির পরিবর্তন আনে?
না, সব সময় নয়। কিন্তু আপনার দৃষ্টি ভঙ্গীর পরিবর্তন আনে, যা দ্বারা আপনি ঐ ঘটনা গুলোকে অবলোকন করেন।

সালাত কি আপনার আর্থিক ভবিষ্যতের কোনো পরিবর্তন আনে ?
না, সব সময় নয়। কিন্তু কে আপনার অভাব পূরণে প্রকৃতই সক্ষম, তাঁকে আপনি খুঁজে পাবেন।

সালাত কি আপনার ভগ্ন হৃদয় বা ভগ্ন স্বাস্থ্য পরিবর্তন করে?
না, সব সময় নয়। কিন্তু তা আপনার শক্তি ও স্বস্তির উৎসের পরিবর্তন করে।

সালাত কি আপনার কামণা-বাসনার পরিবর্তন করে?
না, সব সময় নয়। কিন্তু তা আল্লাহর চাওয়া কে আপনার চাওয়া তে রূপান্তরিত করে।

সালাত কি আপনি পৃথিবীকে যে ভাবে দেখেন তার পরিবর্তন করে?
না, সব সময় নয়। কিন্তু কার চোখে আপনি বিশ্ব দেখেন, তার পরিবর্তন অবশ্যই করে।

সালাত কি আপনার অতীতের দূঃখ-বেদনা, অপূর্ণতাকে পরিবর্তন করে?
না, সব সময় নয়। কিন্তু তা আপনার ভবিষ্যতের জন্য আশা-আকাংখার পরিবর্তন ঘটাবে।

সালাত কি আপনার চতুষ্পার্শ্বের মানুষ গুলোকে পরিবর্তন করে?
না, সব সময় নয়। কিন্তু তা আপনাকে পরিবর্তন করে- সমস্যা সব সময় অন্যের মধ্যে নয়।

সালাত কি আপনার জীবনকে এমন ভাবে পরিবর্তন করে, যা আপনি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম নন?
হ্যাঁ, অবশ্যই সব সময় ! এটা আপনাকে ভেতর থেকে বাহিরে পুরোটাই পরিবর্তন করবে।

সুতরাং সালাত কি আপনার জীবনের কোনো কিছুর পরিবর্তন করে?
হ্যাঁ! সালাত আপনার জীবনের সবটুকুরই পরিবর্তন করে!

(সূত্রঃ ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ও অনুদিত)

SIMILAR POSTS YOU MAY LIKE TO READ:

দশটি সময় যখন দু’আ কবুল হয়

ইবাদতে পরিতৃপ্তি ও মিষ্ট স্বাদ

আমাদের দশটি বিনষ্ট জিনিস

জুমুআহঃ সপ্তাহের সেরা দিন

মদীনায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর দেয়া প্রথম খুতবা

হিংসা বা ঈর্ষা জয়ের ৮ টি উপায়

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

তট রেখা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

ঝাপসা বালক বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভাল্ লাগল । আপনার সাথে একটা ঘটনা শেয়ার করি , আমার একটা রুমমেট আছে যে পাঁচ নামায কালাম পড়ে কিন্তু ঘরের কোন লোক তার সাথে কথা বলে না। কারন সে ওয়াশ রুমে ঢুকলে এক ঘণ্টার আগে বের হয় না । ঈশার নামাজ রাত এক টা থেকে তিন টা পর্যন্ত পড়ে আর ঐ সময় আমার ঘুমিয়ে থাকলেও লাইট জালিয়ে রাখে । একটা দিনও সে ঘর পরিস্কার করে না । ঘরের বিন ব্যাগ টাও ফেলে না। বাড়ি ওয়ালা তাকে অনেক বারই বলেছে কিন্তু কাজ হয় নাই। এই বার আপনি বলুন, সে নিয়মিত সালাত আদায় করে তার পরও তার পরিবর্তন নাই কেন ?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

তট রেখা বলেছেন: এশার নামাজ রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কিভাবে পড়ে? এশার নামাজের ওয়াক্ততো মধ্যরাত পর্যন্ত। আর আল্লাহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সালাত ফরয করেছেন। আপনি যার কথা বললেন, তাকে না দেখে, তার নামাজ না দেখে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে সাধারণ ভাবে বলা যায়, আল্লাহ আমাদের সালাত প্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন। সালাতের প্রতিটা রুকন পরিপূর্ণ রূপে আদায় করতে হবে এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পদ্ধতিতেই সালাত আদায় করতে হবে। সালাত যদি মানুষের মন্দ স্বভাব পরিবর্তন করতে না পারে, তাহলে সালাতে বা সালাত কি জিনিস বোঝার ক্ষেত্রে ত্রুটি রয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। আর জামাতে সালাত আদায় টা খুবই গুরুত্বপুর্ণ, অনেক মাজাহাবেই একে ফরজ বলা হয়েছে।

আমরা মাথা ব্যাথা হলে অনেক সময় দোকান থেকে প্যারাসিটামল কিনে খায়, কিন্তু অনেক সময় ব্যাথা সারেনা। হয়তবা পুরো ওষুধ টাই ময়দা দিয়ে তৈরী, ওষুধের মত দেখতে হলেও তা ওষুধ ছিলনা।

হাদীসে আছে একব্যাক্তির সালাত দেখে রসুলুল্লাহ বললেন, তুমি আবার সালাত আদায় কর, কারোন তোমার সালাত হয়নি। এমনিভাবে বারংবার সালাত আদায়ের পরও তার সালাতে আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম সন্তষ্ট হলেননা, এবং স্বঠিক ভাবে সালাত কিভাবে আদায় করতে হয় দেখিয়ে দিলেন।

আমাদের সমাজে এখন ভুল ভাবে সালাত আদায় করলেও দেখিয়ে দেয়ার কেউ নেই। কারম যারা ভুল ধরবেন, তাদের অনেকেই ভুলে নিমজ্জিত।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৭

ঝাপসা বালক বলেছেন: ভাই সে রাত ১২ টায় কাজ শেষ করে বাসায় আসে , তারপর ৪৫ মিনিট ধরে চলে অজু । এরপর নামায । কাল রাতে সে তিন তায় বেডে যায় আর ততক্ষণ পর্যন্তই লাইট জ্বালান ছিল । আমারা কখনও তাকে কিছু বলতে পারি না কারন একমাত্র "নামায" ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১২

তট রেখা বলেছেন: " নামাজ কে বলোনা, কাজ আছে। বরং কাজকে বলো, নামাজ আছে" একটি উক্তিটি বিভিন্ন জায়গায় স্টিকার হিসাবে দেখা যায়। এটি একটি যথার্থ উক্তি।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

কল্লোল পথিক বলেছেন: বেশ লিখেছেন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

তট রেখা বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খায়রান।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

আবু শাকিল বলেছেন: খুব ভাল পোষ্ট।
নিয়মিত নামায পড়ার চেষ্টা করি এবং পড়ি।
সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন।অনেক।দোয়া রইল।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

তট রেখা বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সালাত কায়েম করার তৌফিক দান করুন এবং মুত্তাকি বানিয়ে দিন। আমীন

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: খুবই ভাল লাগল আপনার পোস্ট।
আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি নামাজে একাগ্রতা থাকলে জীবনের পরিবর্তন গুলোর নিয়ন্ত্রন আপনার হাতেই চলে আসে। জীবনটা যেভাবে দেখতে চান সেভাবেই হয়। কিন্তু নামাজ নামাজের মত হতে হবে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

তট রেখা বলেছেন: সত্য বলেছেন, আর এ জন্য আক্বীদার শুদ্ধতাও খুব জরুরী। জাযাকাল্লাহ খায়রান।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: আমিন।

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: আমিন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

তট রেখা বলেছেন: আমীন। সুম্মা আমীন।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: প্রিয় ভাই আপনার লিখাটা খুব ভাল লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

তট রেখা বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

বর্ণহীণ বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

তট রেখা বলেছেন: জাযাকাললাহ খায়রান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.