নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশ গোলক।

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৬





মনে করে নিচ্ছি পৄথিবীকে ঘিরে আছে একটি বিশাল গোলক যার ব্যাসার্ধ ও বিশাল,যার গায়ে লাগানো আছে নক্ষত্র গুলো বাংলায় একে বলে খ-গোল।এটি একটি বিশাল গোলক যার কেন্দ্রস্থলে আছে পৄথিবী।পৄথিবীর যে দিক থেকেই তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাই গোলকটি আমাদের ঘিরে আছে।যদি আমরা আকাশের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই গোলকটি তার সবকিছু নিয়ে পূব থেকে পশ্মিমে ঘুরছে।তাই দিনে দেখতে পাই সূর্য পূর্ব দিকে উঠে আর অস্ত যায় পশ্মিমে।







আর সন্ধ্যার পর দেখি পুবে উঠে রাশি রাশি তারা,সারা রাত আকাশে ধীরে ধীরে চলে অস্ত যায় পচ্চিমে দিগন্তের নীচে।আকাশ গোলক তার সব কিছু নিয়ে ঘোরে পুব থেকে পশ্মিমে,যে দুটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘোরে সে দুটি খ-গোলকের মেরু।এর উওর মেরু পৄথিবীর ঠিক উপরে।আর দক্ষিন মেরু ঠিক দক্ষিন মেরুর উপরে।পৄথিবীর উওর গোলার্ধে দাড়িয়ে যদি উওরের তারাগুলির দিকে তাকাই,আর দক্ষিন গোলার্ধে দাড়িয়ে তাকাই দক্ষিনের তারাগুলোর দিকে,তাহলে দেখতে পাবো কিছু তারা কখনোই দিগন্তের নীচে অস্তমিত হয় না।







না।এই তারাগুলো ওখানে ঘোরে বৄক্তাকারে এগুলি হলো মেরুবৄক্ত তারা বা অনস্তগ তারা, “সারকাম পোলার স্টার”।এই তারাগুলো ঘুরে ঘুরে তৈরী করে যে বৄক্ত তার কেন্দ্রটিই হলো খ-গোলকের মেরু।ধ্রুব তারাটি বর্তমানে আছে খ-গোলকের উওর মেরুর কাছাকাছি।

এটি সাধারনত অনেকটাই স্থির হয়েই থাকে।1000 বছর ধরে ধ্রুব তারা আছে উওর মেরুর কয়েক ডিগ্রীর মধ্যে।আগে অন্য তারা ছিল উওর মেরুর কাছাকাছি।খ-গোলকের দক্ষিন মেরুর কাছাকাছি কোন তারা নেই। পৄথিবীর বিষুব রেখার ওপরে কল্পনা করা হয়েছে,আকাশ গোলকের বিষুব রেখা,এই দুটি সমান ভাগে ভাগ করে খ-গোলককে।আকাশকে এভাবে ভাগাভাগি করা তাতে নানান আকার দেয়ার কারন হচ্ছে,এর সাহায্যে সূর্য ও চাঁদের ঋতু বদল তারাদের অবস্থান প্রভৄতি ব্যাপার সহজ ভাবে বোঝা যায়।







আকাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খ-বস্তু সেই সব বস্তুর দূরত্ত মাপতে হয় জ্যোতির্বিদের।তাই এদের মাপার জন্য কোন আবিস্কার করা হয়েছে।জ্যোতির্বিদরা এই কোন দিয়ে মাপেন দূরত্ত।যদি বলা হয় কোন একটি তারা থেকে চাঁদটি 10 ডিগ্রী উওরে,তাহলে বুঝতে হবে,যদি একটি হাত বাড়াই চাঁদের দিকে এবং আরেকটি হাত বাড়াই তারাটির দিকে তাহলে দু-হাতের মধ্যে উৎপন্ন কোনটি হবে 10 ডিগ্রীর।এটি হলো চাঁদ ও তারাটির মধ্যেকার কৌনিক দূরত্ত।এ রীতিতে আকাশের কোন বস্তুর দূরত্ত ও অবস্থান নিদের্শ করা যায়।কোন মাপা হয় ডিগ্রীতে,চাপের মিনিটে,ও চাপের সেকেন্ডে।







এ পদ্ধতি বের করেছিলো প্রাচীন ব্যাবিলয়নীরা তারা কোন মেপেছিলেন 60 ভিত্তিক পদ্ধতিতে।একটি বৄক্তের পরিমান 360 ডিগ্রী,60 মিনিটে 1 ডিগ্রী,আর 60 সেকেন্ডে 1 মিনিট।সময় ও মাপা হয় এই রীতিতেই সময়ের মিনিট ও সেকেন্ড থেকে।কোনের মিনিট সেকেন্ডের পার্থক্য বোঝানো হয় চাপের মিনিট ও চাপের সেকেন্ড কথার সাহায্যে।









কোনের সাহায্যে নির্নয় করা যায় আকাশের বস্তুদের আকৄতি ও তাদের দূরত্ত।যেমন চাঁদ ও সূর্যের ব্যাস (কৌনিক)0.5 ডিগ্রী।উরসা মেজর (Big Dipper) মন্ডলের তর্জনির তারা গুলো 5 ডিগ্রী দূরে দূরে অবস্থিত,আর এরা আছে খ-গোলকের উওর মেরু থেকে 30 ডিগ্রী দূরে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্টারেস্টিং! অনুসরণে নিলাম আপনাকে।

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.