নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নক্ষত্রের আদিঅন্ত।

২২ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০







প্রতিটি তারার রয়েছে এক গুচ্ছ রং।তারার বর্নালী থেকে জানা যায় ,তার বায়ুমন্ডল ওপর তল ও ভেতরের তলের সংবাদ।1872 সালে হেনরি ড্র্যাপার প্রথম বর্নালীর ছবি তোলেন।এই ছবি বিশ্লেষন করে জ্যোতিবির্দরা উদঘাটন করেন তারারাদের বৈশিস্ট্য।তারাগুলোকে তাদের বর্নালী অনুসারে বিন্যাস্ত করা হয়।বিভিন্ন বর্নালী শ্রেনীতে এক এক বর্নালী শ্রেনী নির্দেশ করে,তারারদের একেক রকমের তাপমাত্রা।কেননা তাপমাত্রা হচ্ছে কোন বস্তুর অনুপরমানুর গড় ত্তরনের সমস্টি।কোন তারার গ্যাস যতো বেশী গরম ততো বেশী দ্রুত আলোড়িত হয়,তার অনুপরমানু।

সবচেয়ে গরম তারাগুলোকে বিন্যাস্ত করা হয় O শ্রেনীতে,এগুলোর তাপমাত্রা 40,000 ডিগ্রী কেলভীন বা তার চেয়ে বেশী,এগুলো নীলতম তারা।তারপর B শ্রেনীর তারা এগুলোর তাপমাত্রা 18,000 ডিগ্রী কেলভীন এগুলো নীলাভ।তারপর A শ্রেনীর তারা এগুলোর 10,000 ডিগ্রী কেলভীন এগুলো নীলাভ সাদা।তারপর F শ্রেনীর তারা এগুলোর তাপমাত্রা 7,000 ডিগ্রী কেলভীন এগুলো সাদা।তারপর G শ্রেনীর তারা এগুলোর তাপমাত্রা 55,000 ডিগ্রী কেলভীন এগুলো হলদে সাদা।







তারপর K শ্রেনীর তারা এগুলোর তাপমাত্রা 4,000 ডিগ্রী কেলভীন এগুলো কমলা।তারপর M শ্রেনীর তারা এগুলো সবচেয়ে শীতল এগুলোর তাপমাত্রা 3,000 ডিগ্রী কেলভীন এগুলো সবচেয়ে লাল।এই মহাজগতের 99% টি তারাই M শ্রেনীর।আমাদের সূর্য G-2 শ্রেনীর তারা।প্রতিটি তারার 12 টি মৌলিক বৈশিস্ট্য নির্নয় করেন জ্যোতিবির্দরা।







এগুলোর মধ্যে আছে দূরত্ত (মাপা হয় ত্রিকোনমিতিক প্যারাল্যাক্সের সাহায্যে)।

ধ্রুব প্রভাঃ(নির্নয় করা হয় দূরত্ত ও আপাত প্রভা মিলিয়ে)।

তাপমাত্রাঃ(নির্নয় করা হয় রং বা বর্নালীর সাহায্যে)।

ব্যাসঃ(র্নিনয় করা হয় হয় ধ্রুব প্রভা ও তাপের সাহায্যে)।

ভরঃ(মাপা হয় যুগল তারা ও কেপলারের সুত্রে)।







গঠনঃ(র্নিনয় করা হয় বর্নালীর সাহায্যে)।







চৌম্ভক ক্ষেত্রঃ(র্নিনয় করা হয় বর্নালী ও জিমান-প্রভাব রীতিতে)।

আবর্তন বা ঘূর্ননঃ(র্নিনয় করা হয় বর্নালী ও ডপলার প্রভাব রীতিতে)।

গতিবেগঃ(মাপা হয় ডপলার-প্রভাব রীতিতে বর্নালীর সাহায্যে)।এই ব্যাপার গুলো খুবই দূরহ।







তারার দূরত্ত মাপা হয় প্যারালাক্স(প্যারালাক্স-অফ ওয়ান সেকেন্ড অফ আর্ক এর সমতুল্য দূরত্তই পারসেক)বা আপাত অবস্থাগান্তর রীতিতে।দর্শকের অবস্থান বদলের ফলে দৄস্ট বস্তুর অবস্থানের কৌনিক আপাত বদল হচ্ছে প্যারালাক্স।ব্যাপারটি এমন সামনের দিকে হাত বাড়িয়ে একটি আগ্নুল উচু করে ধরে আংগুলের পাশ দিয়ে দূরের কোন জিনিশ দেখুন।এখানে আংগুলটি হচ্ছে একটি কাছের তারা জিনিশগুলো দূরের তারা।এখন ডান চোখ বুঝে দেখুন আংগুলটি আবার বা চোখ বুঝে দেখুন আংগুলটি মনে হবে আংগুলটি (অর্থাৎ তারাটি অবস্থান বদল করছে,এবার আংগুলটি চোখের খুব কাছাকাছি এনে আগের মত ডান চোখ বুজে আবার বা চোখ বুজে দেখুন দেখা যাবে আংগুলের অবস্থান বদলের পরিমান বেড়ে গেছে।আবার আংগুল দূরে নিয়ে দেখুন দেখা যাবে আংগুলের অবস্থান বদলের পরিমান কমে গেছে।এভাবেই দর্শিত তারাটি যতো দূরের হবে তার প্যারালাক্স ততো কম হবে।







হবে।প্যারালাক্স মাপা হয় ডিগ্রী,মিনিট ও সেকেন্ডে;তবে তারার প্যারালাক্স সাধারনত হয় আর্ক বা চাপের এক সেকেন্ডেরও কম।1838 সালে ফ্রিডরিখ প্রথম তারাদের সঠিক প্যারালাক্স ও দুরত্ত মাপেন।তিনি দেখেন রাজহংস (সিগনাস) তারামন্ডলের 61 নাম্ভারের তারাটির প্যারালাক্স হচ্ছে চাপের 1/3 সেকেন্ড ,আর দূরত্ত 3 পারসেক।অধিকাংশ তারাই আছে 3 পিসির থেকে দূরে সেগুলোর প্যারালাক্স ও কম।কোন তারার প্যারালাক্স চাপের যত সেকেন্ড তার দূরত্ত হচ্ছে চাপের সেকেন্ডের ব্যস্তরুপের পারসেক।

পারসেক।যদি কোন তারার প্যারালাক্স হয় চাপের 1/20 সেকেন্ড তাহলে তার দূরত্ত 20 পিসি পারসেক কথাটি এসেছে এ থেকেই।তারার ধ্রুবপ্রভাকে বলা হয় দীপ্তি প্রতি সেকেন্ডে কোন তারা যে পরিমান শক্তি বিকিরন করে,তাই তারাটির দীপ্তি।দীপ্তি তারার সহজাত উজ্জলতা।







তারার দীপ্তি সম্পর্কিত একটি উপকারী ধারনা হচ্ছে বেলোমিটারিক দীপ্তি, বেলোমেট্রিক লিউমিনোসিটি, কোন তারা সব রুপে সব তরংগ দৈর্ঘ্যে মোট যে পরিমান শক্তি বিকিরন করে,তাই তারাটির বেলোমিটারিক দীপ্তি।কোন তারার দীপ্তি কতোটা তা নির্ধারন করার জন্য জানার দরকার হয় তারাটির দূরত্ত।এটি নির্নীত হয়ে গেলে দীপ্তি নির্নয় করা যায় সহজে।







তারার উত্তাপ পরিমাপ করা হয় কি ভাবে?

তারার বর্নালী পরীক্ষা করে দেখতে হয় কোন রংটি বিকরিত হচ্ছে ত্রীবতমভাবে।তার ওপর ভিয়েনের সূত্র প্রয়োগ করে পরিমাপ করা হয় তারার উত্তাপ।

কি ভাবে মাপা হয় তারার ব্যাস? অধিকাংশ তারার ব্যাস নির্নয় করা হয় তারার উত্তাপ ও দীপ্তির উপর স্টেফান-বোল্টজমানের সূত্র প্রয়োগ করে।

কি ভাবে মাপা হয় তারার ভর?







যুগল তারার ভর মাপা হয় তারা দুটির একবার কক্ষপথ প্রদক্ষিনের সময় ও তাদের দূরত্তের ওপর কেপলার ও নিউটনের সুত্র প্রয়োগ করে।

তারার গঠন পরিমাপ করা হয় কি ভাবে?

এটাও বের করা হয় তারার বর্নালী থেকে।

কি ভাবে মাপা হয় তারার আবর্তন বা ঘূর্নন ?







কোন আবর্তনশীল তারার দিকে তাকালে দেখা যায় তারাটির একধার এগিয়ে আসছে দর্শকের দিকে,এবং আরেক ধার সরে যাচ্ছে দর্শকের দিক থেকে।দর্শকের দিকে অগ্রসরমান দিকটি যে আলো বিকিরন বা শোষন করে তার ঘটে নীল পরিবর্তন এবং তার তরংগদৈর্ঘ্য ক্ষুদ্র হতে থাকে।তার অপর ধারটি থেকে বিকিরিত আলোর ঘটে লাল পরিবর্তন রেড শিফট দীর্ঘ হতে থাকে তরংগ দৈর্ঘ্য।যদি তারাটি আবর্তিত না হতো তাহলে এমন পরিবর্তন ঘটতো না।সবচেয়ে দ্রুত আবর্তিত হয় O শ্রেনীর বিশাল মহাকায় তারাগুলো।







এগুলো সেকেন্ডে 300 কিঃমিঃ বেগে আবর্তিত হয় বিষুব অঞ্চলে।আমাদের সূর্য বিষুব অঞ্চলে ঘোরে সেকেন্ডে মাত্র 2 কিঃমিঃ বেগে।

তারার গতি নির্ধারন করা হয় কি ভাবে?

তারাটি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে না চলে যাচ্ছে,এটা নির্ধারন করা হয় ডপলার পরিবর্তন(ডপলার শিফট রীতিতে)এর মাধ্যমে তারার গতি নির্ধারন করা হয়।

আসলে এসব বেশ জটিল ব্যাপার,আপাতত আজ এই পর্যন্ত থাক।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.