নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাবল দূরবীনের নতুন পরিসংখ্যান আ্যনড্রোমিডা (M-31) ছায়াপথের সাথে আমাদের ছায়াপথের সংঘর্সের পূর্বাভাস?

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২০







যুক্তরাস্টের ওয়াশিংটন ডিসিতে নাসার জ্যোতিবির্দরা এক সংবাদ সম্নেলনে বলেন,যে মহাকাশে পরবর্তী যে মহাজাগতিক ঘটনাটি ঘটবে,তা হলো আমাদের ছায়াপথের সাথে,আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী ছায়াপথ আ্যনড্রোমিডার সাথে সংঘর্সের ঘটনা ঘটবে।জ্যোতিবির্দরা মতে এই ঘটনাটি ঘটবে এখন থেকে 4 বিলিয়ন বছর পরে।তাদের মতে এই সংঘর্সের ফলে আমাদের সূর্য ছায়াপথের একটি নতুন অঞ্চলে নিক্ষিপ্ত হতে পারে।এতে করে আমাদের পৄথিবী এবং সৌরজগত ধংস হবে কিনা তা অনুধাবন করা যাবে এই শতকের পড়ে।











এবং তা বলা যাবে আ্যনড্রোমিডা এবং আমাদের ছায়াপথের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে তার উপর নির্ভর করছে।মোটকথা এর একটি পরিস্কার ছবি এবং ধারনা পেতে আমাদের আরো বিলিয়ন বছর অপেক্ষা করতে হবে।এই কথা বলেছেন বাল্টিমোরে অবস্থিত স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের জ্যোতিবির্দ স্যানগমো টনি শন।তিনি আরো বলেন,আমাদের ছায়াপথ এবং M-31(আ্যনড্রোমিডার আরেক নাম)ছায়াপথের মধ্যে যে মুখোমুখি সংঘর্স হবে তার একটি পরিসংখ্যান গত সামঞ্জস্যপূর্ন সর্ম্পক আছে।







এই ঘটনাটি হাবল দূরবীন অনুধাবন করে M-31 এর বর্তমান গতির উপর নির্ভর করে।M-31 ছায়াপথ বর্তমানে আমাদের কাছ থেকে 2.5 মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে আছে।কিন্তু এটি বর্তমানে অপ্রতিরোধ্য গতিতে নিম্নমুখী হয়ে আমাদের ছায়াপথের দিকে এগিয়ে আসছে।আর আমাদের ছায়াপথ ও ছুটে চলছে M-31 এর দিকে।এই দুই ছায়াপথের মুখোমুখি ছুটে চলার মধ্যে অদৄশ্য বস্তু (Dark Matter)এবং উভয় ছায়াপথের মাধ্যাকর্ষন শক্তির এক বিশাল ভূমিকা আছে।











বর্তমানে ছুটে চলা অবস্থায় দেখতে এদেরকে অনেকটা বেস বলের মত মনে হয়।এর মধ্যে M-31 এ দেখলে মনে হয় কোন দ্রুতগামী বলের চেয়ে ও 2,000 গুন বেশী গতি সম্পন।এবং এটি আঘাতে সময় নিবে সম্ভবত চার বিলিয়ন বছর হাবল থেকে প্রাপ্ত তথ্য কম্পিউটার সিমিউলেশনে দেখা যায়,দুই বিলিয়ন বছর ধরে মাধ্যাকর্ষন শক্তির সাথে যুদ্ধ করার পরে,এর আকার একটি একক উপবৄক্তার ছায়াপথের মত দেখতে হবে।







আমাদের ছায়াপথ এবং M-31 দুটি নিজেদের মধ্যে একে অপরকে টানাটানি করবে ।এই ছায়াপথ দুটির মধ্যে যে সমস্ত নক্ষত্র আছে,তারা পস্পপর থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে,মনে হয়।এবং তারা মনে হয় সংর্ঘেসের সময় নিজেদের মধ্যে কোন সংর্ঘসে জড়াবে না।তবুও সংর্ঘসের পরে এই সব নক্ষত্র নতুন একটি ছায়াপথের কেন্দ্রে ভিন্ন একটি কক্ষপথে ঘুরবে।







M-31 এর ত্রিভুজ আকৄতির একটি সহচর ছায়াপথ আছে এর নাম M-33। এটিও এই সংর্ঘসে যোগ দিবে।এবং এক পর্যায়ে এটি M-31 এবং আমাদের ছায়াপথের সাথে এক হয়ে একটি জোড়া সৄস্টি করবে।এই M-33 সংর্ঘসটিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।আশ্চর্যের বিষয় হলো এই সংর্ঘসে সবার আগে যোগ দিবে M-33।এই শতাব্দীর আগে জ্যোতিবির্দরা জানতো না, M-31 একটি আলাদা ছায়াপথ এবং এটি আমাদের থেকে অনেক দুরে,(এবং এর ভিতরে নক্ষত্র গুলো) অবস্থিত।











জ্যোতিবির্দ এডুইন হাবল সর্বপ্রথম এর রহস্য উদঘাটন করেন।দৄশ্যমান নক্ষত্র পর্যবেক্ষন করে,তিনি বলেন বিগব্যাং (মহাবিস্ফোরন) এর পথ ধরে ছায়াপথ গুলো বর্তমানে আমাদের থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে।আর বর্তমানে জানা গেছে যে M-31 প্রতি ঘন্টায় 250,000 মাইল বেগে আমাদের ছায়াপথের দিকে ছুটে আসছে।এবং এই বেগ এতটাই বেশী যে এই বেগে 1 ঘন্টার মধ্যে চাঁদ থেকে ঘুরে আসা যাবে।





M-31 এর এই এগিয়ে আসা পরীক্ষা করা হয় ডপলার ইফেক্ট ও অন্যান্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সাহায্যে।এটি এখনো অজানা এই সংর্ঘস হবে না কি দুটি ছায়াপথ একে অন্যকে পাশ কাটিয়ে চলে অন্যদিকে চলে যাবে।এবং এটি নির্ভর করছে M-31 এর পার্শগতির উপর।জ্যোতিবির্দরা এখন পর্যন্ত M-31 এর এই গতির হিসাব বের করতে পারেনি।এটি জানতে আরো এক শতাব্দী লেগে যেতে পারে।







হাবলের টিম লিডার ভ্যান ডার মারেল,এখনো এটি জানার জন্য গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছেন M-31 কে।এই সংর্ঘস যে হবেই তা যেমন এখনি নিশ্চিত করে বলা যায় না,তেমনি যদি সংর্ঘস হয় তবে এই দুই ছায়াপথের নক্ষত্র গুলো জট পাকিয়ে যাবে।এবং আমাদের ছায়াপথ বর্তমানে দেখতে যেমন, সেটা পালটে প্যানকেকের আকার ধারন করবে।











এবং তখন নক্ষত্র গুলো খুব কাছাকাছি এমন একটি কক্ষপথে ঘুরবে,যার ফলে ছায়াপথটি একটি বৄক্তাকার রুপ নিবে।





হাবল দূরবীন মেরামত করে সেখনে শক্তিশালী ক্যামেরা স্থাপন করে এসেছে।এর ফলে জ্যোতিবির্দরা পর্যাপ্ত সময় পাবে,M-31 এর নিম্নমুখি গতি পর্যবেক্ষন করার।হাবলের এই পরিসংখ্যান আ্যস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালের পরর্বতি সংখ্যায় বের হবে।





তথ্য সুত্র ও ছবি নাসা-

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

এহসান সাবির বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট।

২৭ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ হাবিব ভাই।ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ভালো থাকুন সবসময়।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোরআনের মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিতে যেমন বলা হয়েছে নক্ষত্রপুঞ্জ খসে পড়বে..তারকারাজি ঢেকে দেবে যেমন ঢাকনা হাড়িকে ঢেকে দেয় তেমন..পেজা তুলোর মতো উড়বে পৃথিবী.....

সেই ঘোষনারই কি তথ্য প্রমাণ হাতে নাতে পেতে চলছে বিজ্ঞান?

এবং চূড়ান্ত সময়টা এমন দ্রুততর হবে যে, বর্ণনায় বলছে- কোন ব্যাক্তি খাবার হাতে নিয়েছে কিন্তু লোকমা মূখ পর্যণ্ত তুলতে পারবে না.. তার আগেই শুরু হয়ে যাবে, কিংবা কোন বিক্রেতা কাপড় মেলে ধরবে তা ভাজ করার সময় পাবেনা এমন....

যাক বাবা ! অনন্ত বিলিয়ন বছর তো আর থাকছিনা... আপাতত টেনশন নেই ;)

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: কোরআনের মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিতে যেমন বলা হয়েছে নক্ষত্রপুঞ্জ খসে পড়বে..তারকারাজি ঢেকে দেবে যেমন ঢাকনা হাড়িকে ঢেকে দেয় তেমন..পেজা তুলোর মতো উড়বে পৃথিবী....আমি জানি এবং মানি।সেই চুড়ান্ত সময়ের গননা শুরু হয়ে গেল কিনা জানি না।তবে ভয় আমরা এর বহু বহু আগেই এই ধরাধাম ছেড়ে চলে যাব।
ধন্যবাদ।

ঈদের শুভেচ্ছা ভালো থাকবেন।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ েণবুলা েমােশর্দ বলেছেন:....সেই চুড়ান্ত সময়ের গননা শুরু হয়ে গেল কিনা জানি না।...."

শুরু হয়ে গেছে রাসূল সা: এর কাছে সেই ওহির আসার সময় থেকেই..

যেখানে বলা হয়েছে- আমরা মহাজগতকে গুটিয়ে আনছি, যেভাবে তোমরা লিখিত কাগজকে গুটাও...

বিগ ক্রাঞ্চের এক সুবিশাল ইংগিত কোরআনের সেই আয়াতটি। কিন্তু আমাদের গবেষক কই!!!!! :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.