নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘ বালিকা (শেষ পর্ব)।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৪





এই সব মেঘের সৃস্টি যেমন নান কারনে তেমনি এদের কাজকর্মও নানান ধরনের স্তর মেঘ যখন ভূ-পৃষ্ঠে থাকে তখন তা কুয়াশা শীতের ভোরে অনেক সময় দেখা যায়।সাড়া আকাশ মেঘে ঢাকা,হঠাৎ আকাশ ভর্তি মেঘের মাঝে এক ঝলক সূর্যের আলো যখন দেখা যায়,ঠিক তখনি জমাট বাধা মেঘ আস্তে আস্তে ভেঙ্গে টুকরো হতে থাকে।এই মেঘ গুলিকে দেখা যায় খুবই নীচ দিয়ে বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলছে।ঐ টুকরো মেঘগুলির কোন বিশেষ আকৃতি দেখা যায় না।







এর নামই হলো স্তর মেঘ।মাঝে মাঝে আকাশে নিম্নস্তর মেঘ ও পুঞ্জমেঘের সংমিশ্রন দেখা যায়,একে বলে পুঞ্জস্তর-মেঘ (Strato-Cumulus) এ গুলি সবই নিম্ন মেঘ।স্তর মেঘ যদি 3,000 মিটার থেকে 6,000 মিটার পর্যন্ত অবস্থান করে তবে এর নাম হয় মধ্যস্তর মেঘ (Alto Stratus) এই মেঘ প্রায় সারা আকাশে ছড়িয়ে থাকে।এর মধ্যে দিয়ে সূর্য বা চন্দ্রেঁর অবস্থান বোঝা যায়,কিন্তু সূর্য বা চন্দ্রেঁর গোল পরিধি এর ভিতর দিয়ে বোঝা যায় না।







মধ্য স্তরের মেঘের বিস্তৃতি সাধারনত 1 থেকে 2 কিঃমিঃ পর্যন্ত হয়,এই মেঘ যদি কোন কারনে আরও ঘন ও বিস্তৃত হয় তাহলে তা থেকে বৃস্টি হয়।তবে এই বৃস্টি হয় টিপটিপে বৃস্টি।স্তর মেঘ যখন উচ্চস্তরে গঠিত হয়,তখন তাক উচ্চস্তর মেঘ বলা হয়।







এবার ঊর্না মেঘের কথা বলি।এই মেঘ দেখতে মাকড়সার পাতলা জাল বা ঘোড়ার লেজের মত।ভূ-পৃষ্ঠ থেকে 7,500 মিটার থেকে 8,000 মিটারের মধ্যে এই মেঘ তৈরী হয়।







আর নিম্বাস মেঘ হলো সব রকম মেঘের সমাহার।যখন মধ্যস্তর মেঘ প্রচুর পানি সঞ্চয় করে অত্যন্ত ঘন হয়,তখন ভারি হয়ে এই মেঘ অনেক সময় 2,000 মিটার উচ্চতায় নেমে আসে।তখন এই মেঘের নিচের দিকটা থাকে 2,000 মিটারের কাছাকাছি,আর মাথাটা থাকে 4 থকে 5 কিঃমিঃ উচ্চতায়।ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এই মেঘ দেখলে ঘোর কৃন্স বর্ন দেখায়।আর এর মধ্যেই ব্রজমেঘ লুকিয়ে থাকে।







এই মেঘ সকাল ও দুপুরে ও সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে আসে।এই বিশেষ ধরনের মেঘের নাম হলো নিম্বোস্ট্র্যাটাস (Nimbostratus)।আমাদের দেশে সাধারনত বর্ষাকালেই বেশী বৃস্টিপাত হয়।এই সময় যে বৃস্টিপাত হয় তা বিশাল পুঞ্জ মেঘ,বজ্রমেঘ,মধ্যস্তর মেঘ আর নিম্বোস্ট্র্যাটাস মেঘ থেকেই সাধারনত হয়ে থাকে।সুতারাং যদি আকাশে ঘন কালো পুঞ্জ মেঘের আধিক্য দেখা যায় বা ঘন কালো স্তর-মেঘ থাকে তাহলে বুঝতে হবে বৃস্টি হবার সম্ভাবনা আছে।







আবার এই সময় যদি পূর্বদিক থেকে বাতাস বয় তবে বাইস ব্যালট সুত্র প্রয়োগ করে বোঝা যায় যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপক্ষেত্র রয়েছে।এমন অবস্থায় বেশ জোরের সঙ্গেই বলা যায় যে বৃস্টি হবেই।মধ্য পুঞ্জ মেঘ, উচ্চ পুঞ্জ মেঘ,উচ্চস্তর মেঘ,পুঞ্জ-স্তর মেঘ ও সাধারন স্তর মেঘে বৃস্টি হয় না।তবে এক আধ সময় এই সব মেঘ থেকে অবশ্য ইলশে গুঁড়ির মতো বৃস্টি হয়ে থাকে।



ছবি গুগল-

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২

শক্তপাল্লা বলেছেন: জেনে ভাল লাগল। আগেরগুলো দেখিনি :(

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: মেঘের এই বিষয়গুলো জানা ছিল না। ধন্যবাদ মোর্শেদ ভাই।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৬

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না।ভালো থাকুন সর্বদা এই কামনায়।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
শেষপর্ব করে শেষ করে দিলেন ৷

বাইস ব্যালট সুত্রটি টীকায় যোগ করে দিলে ভাল হতো ৷

অনেক ধন্যবাদ ৷

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: আসলে লেখা পোস্ট দেয়ার পড়ে বাইস ব্যালটের কথা মনে পড়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.