নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলো (প্রথম পর্ব)।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬





আলোকের প্রতিসরন (Reflection of Light): আলোক কোন সমসত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে গমনকালে যদি ২য় একটি অস্বচ্ছ মসৃন তলে বাঁধা পায়, তবে আলোকের কিছু অংশ প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। এভাবে বাধা পেয়ে ২য় মাধ্যম হতে প্রথম মাধ্যমে আলোকের ফিরে আসার ঘটনাকে আলোকের প্রতিফলন বলে। এবং এভাবে ফিরে আসা আলোক রশ্মিকে বলে প্রতিফলিত রশ্ম্নি।











আলোক মাধ্যমঃ- (Medium of light): যে সব বস্তুর মধ্য দিয়ে আলোক গমন করে বা গমনের চেষ্টা করে তাদেরকে আলোক মাধ্যম বলে। আলোক গমনের ওপর ভিত্তি করে আলোক মাধ্যমকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন ক-স্বচ্ছ মাধ্যম খ-ঈষদচ্ছ মাধ্যম গ- অস্বচ্ছ মাধ্যম।







স্বচ্ছ মাধ্যমঃ-(Transparent Medium): যে সব মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আলো সহজেই গমন করতে পারে তাদেরকে স্বচ্ছ মাধ্যম বলে। যেমন-কাঁচ, পানি, বাতাস ইত্যাদি।







ঈষদচ্ছ মাধ্যম (Semi’Transparent Medium): যে সব মাধ্যমের মধ্য আলো আংশিকভাবে গমন করতে পারে, তাদেরকে ঈষদচ্ছ মাধ্যম বলে। যেমন-ট্রেসিং পেপার, মোম, ঘষা কাঁচ, তৈলাক্ত কাগজ ইত্যাদি।







অস্বচ্ছ মাধ্যমঃ- (Opaque Medium): যে সব মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আলোক গমন করতে পারে না, তাদের অস্বচ্ছ মাধ্যম বলে। যেমন ধাতব পদার্থ, কাঠ, মাটি, পাথর ইত্যাদি।







সমসত্ব মাধ্যমঃ- (Uniform Medium)ঃ যে সব মাধ্যমের সর্বত্র ভৌত গুনাবলী সমান থাকে তাদেরকে সমসত্ব মাধ্যম বলে। সমসত্ব মাধ্যমে আলো একই বেগে সরল পথে চলে।







অসমসত্ব মাধ্যমঃ-(Nonuniform Medium)ঃ যে সব মাধ্যমে সকল স্থানে ভৌত গুনাবলী সমান নয়,তাদের অসমসত্ব মাধ্যম বলে। অসমসত্ব মাধ্যমে আলো অসম বেগে এবং মাধ্যমের ঘনত্ব আনুযায়ী দিক পরিবর্তন করে চলে।

View this link



গঠনমূলক বা সৃষ্টিশীল ব্যাতিচারঃ-(Constructive Interference): দুটি আলোক তরঙ্গ সমদশায় মিলিত হলে অর্থ্যা একটির তরঙ্গ শীর্ষ বা তরঙ্গপাদ অন্যটির তরঙ্গশীর্ষ বা তরঙ্গপাদের সাথে মিলিত হলে বা পতিত হলে আলোকের লব্ধি তীব্রতার চেয়ে বেশী হয়।এভাবে সৃষ্ট ব্যাতিচারকে গঠনমূলক বা সৃষ্টিশীল ব্যাতিচার বলে।

View this link



ধংসাত্বক ব্যাতিচারঃ( Destructive Interference)ঃ দুটি আলোক তরঙ্গ বিপরীত দশায় মিলিত হলে অর্থ্যাৎ একটি তরঙ্গের শীর্ষ বা পাদ অপর তরঙ্গের পাদ বা শীর্ষের সাথে মিলিত হলে লব্ধি তীব্রতা বৃদ্ধি শূন্য অথবা একীভূত তরঙ্গের পৃথক তীব্রতার চেয়ে কম হয়। এভাবে সৃষ্ট ব্যাতিচারকে ধ্বংসাত্মক ব্যাতিচার বলে।



View this link



আলোকের ব্যাতিচারঃ(Interference of light): দুই বা ততোধিক তরঙ্গের পারস্পারিক উপরিপাতনের ফলে সৃষ্ট লব্ধি তরঙ্গে্র কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। লব্ধি তরঙ্গের এ পরিবর্তন জনিত ঘটনাকে আলোকের ব্যাতিচার বলে। ব্যাতিচার দু’প্রকার, যথা ১: গঠনমূলক বা সৃষ্টশীল ব্যাতিচার, ২: ধ্বংসাত্মক ব্যাতিচার।



View this link



অপবর্তনঃ(Diffraction): আলোক কোন সুক্ষ ছিদ্রের মধ্য দিয়ে গমন করার সময় তা ছিদ্রের কোন ঘেঁষে বেঁকে গিয়ে জ্যামিতিক ছায়ার এলাকায় ছড়িয়ে পড়া এবং আলোকের তীব্রতায় পরিবর্তন সাধিত হওয়ার ঘটনাকে আলোকের অপবর্তন বলে।



View this link



সমবর্তনঃ(Palarisation): 1960 সালে হাইগেনস সর্বপ্রথম আলোকের সমবর্তন আবিস্কার করেন। বিশেষ দিকে আলোক তরঙ্গের বিসদৃশ কম্পনের ঘটনাকে সমবর্তন বা পোলারায়ন বলে। এ সমবর্তন আড় তরঙ্গ বা অনু প্রস্থ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য।আলোক তরঙ্গের চৌম্বক অনু প্রস্থ তরঙ্গ।দেখা যায় সূর্যালোকের প্রবেশ পথে দুটি কেলাস সমাক্ষ ভাবে স্থাপন করে দর্শকের দিকে অবস্থিত কেলাসটিকে অন্যটির সমকোণে ঘুরালে দর্শকের চোখে কোন আলোক প্রবেশ করবে না।



View this link



এটি আরও ঘুরাতে থাকলে আলোকের এ তীব্রতা বাড়তে থাকে, এবং একই অক্ষে না আসা পর্যন্ত এ তীব্রতা বাড়তে থাকে।আবার দুটি কেলাসকে সমাক্ষ ভাবে রেখে ঘুরালে আলোকের তীব্রতার কোন পরিবর্তন হয় না। এতে প্রমাণিত হয় যে আলোক অনু প্রস্থ বা আড় তরঙ্গ।



বর্নালিঃ (Spectrum): সাদা আলোতে সাতটি বর্ণ রয়েছে,যাকে এক কথায় বলা হয় (বেনিআসহকলা)। লাল আলোর বিচ্যুতি কম বেগুনির বেশী (প্রিজমের ভিতর দিয়ে গমন কালে)।



View this link



সাতটি বর্ণের এ পটিকে বলা হয় বর্নালী।1866 সালে নিউটন দেখতে পান যে, কাচের প্রিজমের ভিতর দিয়ে আলো গমন করলে তা সাতটি রঙ এ বিভক্ত হয়। সব পদার্থই কোন না কোন বর্ণালি উৎপন্ন করে। বর্ণালিকে দুভাগে ভাগ করা যায়।যথা- নিঃসরণ বর্ণালি এবং শোষন বর্ণালি।



চলবে…



ছবি গুগল।



ছবি যদি দেখা না যায় তবে আমি দুঃখিত কারন আমার এখানে নেট স্পীড কম।











মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আপনি এত সহজ করে কঠিন বিষয় গুলো সম্পর্কে বলেন, খুবই ভালো লাগে। সাথেই আছি, চলুন এই আলো সিরিজটি।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: সাথে থাকলে অবশ্যই চলবে।ভালো থাকুন সবসময় এই কামনায়।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৭

আলম দীপ্র বলেছেন: এতো তথ্যবহুল আর পরিশ্রমী পোস্ট !
+++++++ না দিয়া যাই কই !

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ভালো থাকুন ভাই এই কামনায়।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ++++++++

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: সর্বদা সাথে থাকবেন,এই আশা করি।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ এবং কষ্টসাধ্য লেখা । অনেক ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য । :)

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:২৬

কল্প শশী বলেছেন: সমবর্তন খুব জ্বালাচ্ছিলো... শব্দের হয়না আলোর হয় - হুদায় কি জিনিস এখন একটু আইডিয়া করতে পারছি...

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৫

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: আইডিয়া করতে থাকুন।ঈদের আগাম শুভেচ্ছা।

৯| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০৮

একজন আরমান বলেছেন:
দারুন পোস্ট তুহিন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.