নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যাসিড।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১



আকাশে তো অনেক বেড়ানো হলো আসুন এবার রসায়নে ঘুরে আসি।

অ্যাসিড বা অম্লঃ টক স্বাদ যুক্ত বস্তুকে অ্যাসিড বলে।অ্যাসিড তরল বা কঠিন হতে পারে,তরল সিরকা বা ভিনিগার ও সেঁক দেওয়ার জন্য ব্যাবহার করার বোরিক পাউডার উভয়ই অ্যাসিড।পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় অ্যাসিডের বিশেষ গুনাবলি প্রকাশ পায়।আমাদের খাদ্যের মধ্যে অবস্থিত অ্যাসিডগুলিকে জৈব অ্যাসিড বলা হয়।ইহারা মৃদু অ্যাসিড বলিয়া সাধারনত ক্ষতিকারক নয়।



কিন্তু পরীক্ষগারে যে অ্যাসিড ব্যাবহার করা হয় তা অত্যন্ত ত্রীব।সাধারনত হাইড্রোক্লোরিক,সালফিউরিক ও নাইট্রিক-এই তিনটি অ্যাসিড পরীক্ষাগারে ও রসায়ন শিল্পে প্রচুর পরিমানে ব্যাবহার করা হয়।এই অ্যাসিড কাপড়,কাঠ,চামড়া,হাড়,এমনকি ধাতুও সহজে ক্ষয় করতে পারে।এই অ্যাসিডগুলির সাধারন নাম খনিজ বা অজৈব অ্যাসিড।ইহারাও স্বাদে টক কিন্তু অত্যন্ত ত্রীব বলিয়া ইহাদের স্বাদ লওয়া বিপদজনক।



পরীক্ষায় দেখা গিয়াছে সালফিউরিক অ্যাসিডের ভিতর দস্টার কুঁচি দেওয়ার ফলে হাইড্রোজেন গ্যাস বাহির হয়।হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিয়ে পরীক্ষা করিলেও হাইড্রোজেন বাহির হইবে।
নিম্নে কয়েকটি অ্যাসিড ও উহাদের উপাদানের তালিকা লক্ষ্য করি-

অ্যাসিড নাম অ্যাসিডের উপাদান
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড --------------------------------- হাইড্রোজেন ও ক্লোরিন।
সালফিউরিক ----------------------------------- হাইড্রোজেন সালফার ও অক্সিজেন।
নাইট্রিক ------------------------------------ হাইড্রোজেন ,নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন।
অ্যসেটিক (ভিনিগার)----------------------------------- হাইড্রোজেন,কার্বন ও অক্সিজেন।
এই তালিকা থেকে দেখা যায় যে প্রত্যেক অ্যাসিডের মধ্যে হাইড্রোজেন পরমানু আছে।


বেস বা ক্ষারকঃ অ্যাসিডের বিপরীতধর্মী পদার্থগুলি বেস বা ক্ষারক নামে পরিচিত। অ্যাসিড ও বেস একত্রে মিশালে এমন পদার্থ গঠন যাহার মধ্যে অ্যাসিড বা বেস কাহার ও গুন প্রকাশ পায় না।ইহাদের মধ্যে বিক্রিয়ার ফলে লবন ও পানি উৎপন্ন হয়।সাধারনত ধাতুর অক্সাইড (ধাতু ও অক্সিজেনের যৌগ)ও হাইড্রোক্লাইকে (ধাতু,অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের যৌগ) ক্ষারক বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষারকই পানিতে গলে না।যে সমস্ত ক্ষারক পানিতে গলিয়া যায়,উহাদিগকে অ্যালক্যালি বা ক্ষার বলে।



কাজেই অ্যালক্যালি একটি বিশেষ শ্রেনির ক্ষারক।ক্ষারগুলি সাধারনত ধাতুর হাইড্রক্সাইড।সোডিয়াম ও পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড ত্রীব ক্ষার।কিন্তু ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড মৃদু ক্ষার।প্রয়োজনমত ক্ষার মিশাইয়া অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করা যায়।
নিরপেক্ষ দ্রবনঃ


ক্ষারের নাম ক্ষারের উপাদান
সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড --------------------------------- সোডিয়াম,হাইড্রোজেন,ও অক্সিজেন
পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড ---------------------------------পটাশিয়াম,হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন
ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড --------------------------------ক্যালসিয়াম,হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন
এই ভাবে তালিকা প্রস্তত করিলে দেখা যাবে,প্রত্যেক ক্ষারের মধ্যেই হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন থাকে।


লবনঃ রসায়ন শাস্ত্রে এক বিশেষ শ্রেনীর যৌগিক পদার্থকে লবন বলা হয়।খাদ্য লবন ছাড়া ও সোডা,সাবান,তুঁতে,ইত্যাদি লবন জাতীয় পদার্থ।অ্যাসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ার ফলে ক্ষারকের ধাতু অ্যাসিডের হাইড্রোজেনের স্থান দখল করিয়া যে নতুন যৌগিক পদার্থটি গঠন করে তাহাকে সল্ট বা লবন বলে।এই বিক্রিয়ায় অ্যাসিডের হাইড্রোজেন ও ক্ষারকের অক্সিজেন বা হাইড্রক্সাইড মিলিয়া পানি উৎপন্ন করে।যে কোন লবনের রাসায়নিক নাম সেই লবনের উৎপাদনকারী অ্যাসিড ও ক্ষারের নাম হইতে লওয়া হয়।লবনের নামের প্রথম অংশে থাকে ধাতুর নাম শেষের অংশে থাকে অ্যাসিডের নাম।হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের লবনকে ক্লোরাইড এবং সালফিউরিক অ্যাসিডের লবনকে সালফেট বলে।যেমনঃ




অ্যাসিড লবনের নাম
সালফিউরিক ------------------- সালফেট
হাইড্রোক্লোরিক ------------------- ক্লোরাইড
নাইট্রিক ----------------------- নাইট্রেট
কার্বলিক ----------------------- কার্বনেট
ল্যা্কটিক ----------------------- ল্যাকটেট
সাইট্রিক ------------------------ সাইট্রেট
স্টিয়ারিক ----------------------- স্টিয়ারেট
অকজালিক ---------------------- অকজালেট ইত্যাদি।


নামের বানানে কিছু ভুল থাকতে পারে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিলাম।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সিরিজটা বন্ধ করবেন না ভ্রাতা । ভালো হচ্ছে +++++++ যদিও সবসময় আসতে পারি না ।

ভালো থাকবেন অনেক :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: চেস্টা করবো চালু রাখার।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৪

জেরিফ বলেছেন: প্র্যাক্টিক্যালী করার মজা টাই আলাদা । আমার হাতে এপ্রনে অনেক লেগেছিলো বাট নতুন কিছু তৈরী করার আনন্দ সত্যিই অন্য রকম তার উপর এসিড B:-/ B:-/

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন প্র্যাক্টিক্যালী করার মজা টাই আলাদা । ভাল থাকুন সর্বদা।

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

খাটাস বলেছেন: ভাল। কিছু কিছু জানতাম।
শুভেচ্ছা।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ভালো থাকুন সর্বদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.