নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খ্যাপাটে , দেশকে নিয়ে স্বপ্নবাজ , উচ্চতা ভীতি এবং নারী ভীতি রয়েছে ।

জাবের তুহিন

নামেই আমার পরিচয়

জাবের তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৬ টা ২৭

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

ফজরের আযানের আগে ঘুম থেকে উঠতে পারলে নিজেকে বেশ জয়ী জয়ী মনে হয় । শীতের দিনে ভাবটা আরো প্রখর হয় , কাকে হারাচ্ছি ঠিক জানি না । কিন্তু কাউকে হয়তো । গায়ের উপর থেকে চাদরটা সরিয়েই ঘরের জানালার দিকে ছুটে যাই । এখন আযান দিচ্ছে , হালকা কুয়াশা আছে বাহিরে । কিছুক্ষণ পর পাঞ্জাবী , টুপি পড়া মানুষজন ধীরে সুস্থে মসজিদের দিকে যেতে থাকবে । দেরি হওয়ায় কয়েকজন দৌড়ে যেতে থাকবে । দৃশ্যটা কখনো ভালো লাগে যখন মনটা খারাপ থাকে ।
আজ তো মন খারাপ না তবুও ভালোই লাগছে , এলেমেলো চুলগুলো গুছিয়ে নিলাম । দিনের শুরু কেবল । মা আর পিচ্চিটা পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছে । পিচ্চিটা হা করে ঘুমোয় , দেখলেই হাসি পায় ।
মগে করে পানি নিয়ে বারান্দায় চলে গেলাম , অপরাজিতা ফুলের গাছে পানি দিলাম , ছোট্ট একটা মরিচ গাছ আছে সেটাতেও কিছু পানি দিলাম । ড্রয়িং রুমে দু’টা অর্কিড আছে ওগুলোতেও আজ পানি দিলাম । গাছে পানি দিতে গেলে একটা শান্তির অনুভূতি পাওয়া যায় , যদিও ক্ষণিকের ।
চুলটা ভালো করে বেঁধে নিলাম , একটা সোয়েটার গাঁয়ে জড়িয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম । তবে বেরুনোর আগে , মায়ের বালিশের নিচে ছোট একটা চিরকুট রেখে এসেছি ।
বাসার মূল গেট সকাল ছটায় খোলা হয় । এখন বাজে ৬ টা ২৭ । বাসার নিচে গ্যারেজে সাইকেলটা রাখা আছে , চাবি দিয়ে সাইকেলের লকটা খুলে বেরিয়ে গেলাম । ভোরবেলা সাইকেল চালানোর মাঝে অপরিসীম আনন্দ আছে , যদিও সাইকেল চালানোই শিখেছি ১ মাস হবে । পরিচিত কেউ সাইকেল চালাতে পারে না আর যারা পারে তারা ভোরে বের হওয়ার সাহস পায় না । আমার ওসব চিন্তা নেই , যা হওয়ার তা হবেই , এড়ানো যাবে না । শুধু শুধু নিজের খাঁচায় নিজেকে বন্দি করার মানে নেই । কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকার গলি ছেড়ে মূল রাস্তায় উঠে গেলাম । গাড়ি চলাচল এখনো শুরু হয় নি সেভাবে । দু একটা দেখা যাচ্ছে , পাশ কাটিয়ে দ্রুত গতিতে চলেও যাচ্ছে । রাস্তার ধার ঘেষে ধীর গতিতে সাইকেল চালাচ্ছি , ফুট ওভার ব্রিজের নিচে কাথা মুরি দিয়ে শুয়ে থাকা মানুষগুলো মুখও ঢেকে রেখেছে । সাইকেলের গতি একটু বাড়িয়ে দিলাম । ঠান্ডা বাতাস কাটার মতো গায়ে বিধতে শুরু করেছে । তবুও ভালো লাগা , নীরবতা , একাকীত্ব ।
বেঁচে থাকাটা এতো সুন্দর হলে কি ক্ষতি হতো , এতক্ষণ ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা হাসিটা মলীন হয়ে গেলো । গাল বেয়ে নেমে আসা পানির বিন্দুটা সাইকেলের সাথে এগুলো না , সে পিছনে চলে গেলো । কষ্টগুলো পিছনেই যেন পরে থাকে ।
মায়ের বালিশের নিচে ফেলে রাখা চিরকুটে লিখা ছিল – “ফিরে না আসার দেশে ফিরে গেলাম”

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৩

কালীদাস বলেছেন: সুন্দর :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.