নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচিত্র পেশাঃ ১৬ (দেলোয়ার হোসেন বয়াতী)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫০

আমাদের আজকের বিচিত্র পেশার নায়কের নাম দোলোয়ার হোসেন। তিনি মুলত নিজকে বয়াতী দেলোয়ার হোসেন পরিচয় দিতেই ভালবাসেন। আমাদের এলাকায় যে কয়েকজন বয়াতীকে আমি রাস্তার ধারে গান গাইতে দেখি তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম, তবে তিনি আমাদের এলাকায় থাকেন না, থাকেন আমাদের পাশের এলাকা মধুবাগে! তবে আমাদের এলাকায় মাঝে মাঝে বা মাসে একবার করে আসেন এবং আমার চোখে পড়েন, এই চোখে পড়ার কারন হচ্ছে, তিনি যে সময়ে তার দোতারা বাজিয়ে গান করেন সেই সময়ে আমি অফিস/আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরি! ব্যস, আমি উনার গান শুনে আনন্দের সংগে বাসায় ফিরি। হ্যাঁ, এভাবে গান গেয়ে উপার্জন করাই বয়াতী দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র পেশা। এটা ছাড়া তিনি আর এই জীবনে কিছুই করেন নাই।



দেলোয়ার হোসেন বয়াতী এভাবে প্রতিদিন আপনাদের এই ঢাকা শহরে নানা স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং নানান স্পটে দাঁড়িয়ে গান গেয়ে থাকেন, তার এই গান গাওয়া শুনে অনেক তাকে টাকা দিয়ে যান। এই টাকা দিয়েই তিনি নিজে চলেন, সংসার চালান। তিনি কারো কাছে টাকা কড়ি চান না, যারা তার গান শুনে দেন, তাদের টাকাই নিয়ে থাকেন। তবে আসর জমাতে চেষ্টা করেন এবং এই আসর থেকে কেহ একজন টাকা দিলে অনেকেই দিয়ে থাকেন।



জয়পুর হাটের স্থায়ী বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন ছোট বেলা থেকেই গান গেয়ে আসছেন, তিনি জানালেন এলাকায় এই গানের জন্যই উনাকে অনেকে চিনে থাকেন। কিন্তু এলাকায় গান গেয়ে আর সংসার চলছিলো না, কম বয়সে বিয়ে করেছেন এবং বর্তমানে দুই মেয়ে এক ছেলের পিতা তিনি। এভাবে অর্ধাহারে অনাহারে জয়পুরহাটে গান গেয়ে চলতে গিয়ে একদিন এক বন্ধু তাকে বলেন, আপনাদের এই ঢাকা শহরে চলে আসতে। ব্যস, একদিন রাতে স্ত্রীকে জানালেন, তিনি ঢাকা শহরে চলে যাবেন। স্ত্রীও এতে সায় দেয়, স্ত্রী ছেলে মেয়েদের রেখে গত পাঁচ বছর আগে তিনি এই ঢাকা শহরেলে আসেন, সাথে ছিল একটা দোতারা। ঢাকা শহরে এসে মধুবাগে এক মেসে উঠেন, ব্যস শুরু হয়ে যায় গান গাইয়ে জীবন।



প্রথম দিনে প্রায় সাড়ে পাঁচ শত টাকা উপার্জন করতে পেরেছিলেন, বড় রাস্তার ধারে গান গাইয়ে। সন্ধ্যার পর টানা কয়েক ঘন্টা গান গাইছিলেন। দোতারার সুরে অনেক গান, অনেকেই পছন্দ করেছিলেন।



কথা প্রসঙ্গে আমি বলি, অন্য কোন পেশা চিন্তা না করে এই পেশায় কি করে ভাবলেন। হেসে দেলোয়ার হোসেন বয়াতী জানান, আমি আসলে আর কিছু জানি না, তবে যেহেতু চুরি, ডাকাতি বা মানুষ ঠকানো নয় এবং ইচ্ছা হলেই আপনি আমাকে টাকা দিচ্ছেন তাই এটাই ভাল লাগে।



কথায় জানালেন, এই ঢাকা শহরে এসে এভাবে উপার্জন করে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, অন্য মেয়ে ক্লাস নাইনে পড়ছে এবং ছোট ছেলে এবার ৭ম শ্রেনীতে পড়ছে। তবে হাতে টাকা জমলে, মন চাইলেই তিনি এখন বাড়ী চলে যান এবং কয়েক দিন থেকে আসেন।



ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি, জানতে চাইলে তিনি হেসে জানান, উপরওয়ালাই জানেন। তবে এভাবে আরো কিছুদিন চললে এবং ছোট ছেলেটা বড় হলে, তিনি গ্রামেই চলে যাবেন, গ্রামেই আসল শান্তি।



বিচিত্র এই দেশ, বিচিত্র এই দেশের মানুষ আমরা। চলুন, দোলোয়ার হোসেন বয়াতীর কন্ঠে একটি গান শুনি। গানটা মোবাইলে ধারন করা, বড় রাস্তার ধারে বলে সাউন্ড এবং ছবি ততটা ক্লিয়ার হয়ত হবে না। তবে গানের কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে দেখতে পারেন।







বিচিত্র পেশাঃ ১৫

Click This Link



মন্তব্য ০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.