নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচিত্র পেশাঃ ২০ (জয়নাল ভাইয়ের ফ্রুট মিক্স শরবত)

২৩ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

খাবার দাবার দেখলে কে না থেমে যায়! সদর ঘাটের রাস্তায় এমনি এই গরমে এমন সুন্দর করে শরবতের পশরা সাজিয়ে বসেছেন যে, দেখলেই পান করতে ইচ্ছা করবে! কোন হাকডাক ছাড়া নিরন্তর বিক্রি করে চলছেন রাস্তার ফুটপাতে বসা দুই জন শরবত বিক্রেতা। ক্রেতার অভাব নেই, গ্লাসের পর গ্লাস বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এই গরমে নানান বয়সের মানুষ এসেই পান করে টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে।

অনেকদিন পর আমি সদরঘাট গিয়ে এই এক শরবত বিক্রেতার পিছনে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে দেখছিলাম। মানুষ দেখা পাশাপাশি এই সব বিক্রেতার সাথে কথা বলা এবং তাদের পন্য দেখা আমার বিশেষ পছন্দের কাজ। পরে কিছু কথা বলি, নাম জয়নাল। বাড়ী মুন্সীগঞ্জ। অনেকদিন ধরে এই ঢাকা শহরে আছেন, তবে কোন নিজস্ব ব্যবসা তেমন দাড়া করাতে পারেন নাই, এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

- এই শরবতের ব্যবসা মাথায় কি করে এল?
; (হেসে ফেলেন) কত কিছুই তো করি? সব সিজনে কি আর সরবত চলে?
- এই শরবত বানানো কার কাছে শিখলেন?
; আমার ওস্তাদ আমি নিজেই। আগে অনেককেই এই শরবত বিক্রি করতে দেখতাম, দেখে দেখেই শেখা বলা চলে।
- শরবতে কি কি দেন?
; প্রায় ২০ ধরনের আইটেম (ফলাফলাদি বেশী) (কিছু নাম বলে চলেছেন)
- চিনি কোনটা দেন?
; কেন সাধারন চিনি দেই।
- ভেজাল কিছু দেন?
; ভেজাল কি দেব।

এদিকে আমাদের কথা ফাঁকে তিনি আপেল কুঁচি কেটে চলছেন, বরফ নাড়িয়ে দিচ্ছেন, মাঝে কয়েকজন কাষ্টমার বিদায় করছেন। আমি এক সময়ে লক্ষ করলাম, তিনি নিজে এক গ্লাস শরবত নিলেন এবং তা পান করছেন, থেমে থেমে। আমি জিজ্ঞেস করলাম।

- নিজের বানানো শরবত নিজে পান করছেন?
; (জয়নাল ভাই আবারো হেসে দিলেন) কেন আমার কি পিপাসা পায় না!


জয়নাল ভাইয়ের নিজের এই শরবত পান করা দেখে আমিও এক গ্লাসের ওর্ডার দিলাম। বললাম, একটু বেশী ঠান্ডা চাই। জয়নাল ভাই, আমার জন্য শরবতের যে কোনায় বরফ খন্ড তার পাশ থেকেই চামচ দিয়ে আমার জন্য শরবত উঠিয়ে গ্লাসে নিলেন। আমার হাতে এগিয়ে দিলেন।

আমি পান করে পরিতৃপ্ত হয়েছি।

যাই হোক, কথা থেকে যায়, আমাদের দেশের এই পথের ধারের এই ধরনের খাবার কতটুকূ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্য সম্মত। এটার আসলে কোন জবাব পাওয়া যায় না।
১। পানি ভাল কি না।
২। যে সব ফলফলাদি দিচ্ছে তা কতটুকু নিরাপদ।

জয়নাল ভাই নিজে কোন খাদ্য রঙ বা ভেজাল কিছু দিচ্ছেন না তবুও তার ব্যবহার করা উপাদান নিয়ে কথা থেকে যায়। এবং আমাদের দেশের পানি এবং ফলফলাদি নিয়ে কথা তো সেই কবে থেকে চালু আছে।

যাই হোক, আপনি যদি কোন ফাইফ স্টার হোটেলেও এমন শরবত খেয়ে থাকেন, সেখানেও এমন ফলের ব্যবহারি হয়ে থাকবে। পানিটা হয়ত ভাল মিলবে। আপেল, আঙ্গুর, মাল্টা, খেজুর, খুরমা তারাও এমনি বাজার থেকে কিনে নেবে! আমরা বা আমাদের সরকার যতক্ষন পর্যন্ত নিরাপদ খাবারের ব্যবস্থা বা কঠোর শাস্তির মাধ্যমে ভেজাল মুক্ত করতে পারবে না, ততদিন আমি আপনি কেহই নিরাপদ নয়।

যাই হোক, বেঁচে থাকার তাগিদেই আমাদের এই ধরনের পেশায় আস্তে হয়, চলে আমাদের জীবিকা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী আমি এই শরবত বিক্রেতা জয়নাল ভাইয়ের আরো সাফল্য কামনা করি। অন্তত তিনি যেন এই খোলা আকাশ ছেড়ে তার ব্যবসা কোন সুন্দর দোকানে নিয়ে যেতে পারেন।

ব্লগ লেখার আগেই ফেবুতে ছবিটা ছাপিয়ে দেই, লিঙ্কে এই শরবত নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে, সবাই এমন শরবত খাবার বিপক্ষেই মতামত দিয়েছেন। জয়নাল ভাইয়ের ফ্রুট মিক্স শরবত!


বিচিত্র পেশাঃ ১৯
http://www.somewhereinblog.net/blog/udraji/30036990

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা আসলেই চমৎকার হচ্ছে। চলতি পথ থেকেই কত টপিক পাওয়া যাচ্ছে।

২৫ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ভালবাসা ভাই।
সময় পাচ্ছি না, আরো বেশ মজার কিছু ঘটনা আছে, সবার সাথে শেয়ার করে যেতে চাই।
শুভেচ্ছা নিন।

২| ২৫ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: দেখলে ইনটারেস্টিং লাগে,খেতে গেলে ভয় লাগে।
আপনার সিরিজ চমৎকার হচ্ছে :)

০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার।

৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

তুষার কাব্য বলেছেন: অনেকদিন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমি কোনদিন সাহস পাইনি খাওয়ার :) ঐ যে বেশীরভাগ বিপক্ষে মত দিয়েছে তাদের একজন হয়ে । অথচ এই আমি যখন পাহাড়ে যাই তখন কি না কি খেতে হয় বিপদে পড়ে ! পরিস্তিতি মানুষ কে অনেক কিছু বাধ্য করে ।

শুভেচ্ছা ভাই।

০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ, তবুও মেনে চললে ভাল, এই আর কি? যতদুর পারা যায়, তবে জীবন আসলেই কঠিন।
শুভেচ্ছা নিন।

৪| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

জুন বলেছেন: খাইতে হবে উদার ভাই :)
+

০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হা হা হা, ভাল সাহসের কথা বলছেন!
তবে এটা পান করতে হলে সদরঘাট যেতে হবে।
ইম্পসিবল এরিয়া।
শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.