নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কোথায় যাচ্ছি! :D

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

মানুষ আর মানুষ, যে দিকে তাকাই শুধু মানুষ আর মানুষ, ঢাকা শহর নয়, সারা দেশই মানুষে ভরপুর, এত মানুষ! আজ কাল রাত ১২টায় মালিবাগ রেলগেইটে যত মানুষ দেখি, তাতে অবাক হই! এত মানুষের জন্য কোথায় ফুটপাতে সামান্য দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় অসম্ভব, এত মানুষের জন্য রাস্তায় যোগ হয়েছে হাজারো কোটি গাড়ি, ফুড ভ্যান ইত্যাদি! বিকেল সন্ধ্যা নামলেই সবাই যেন রাস্তায় নেমে আসে! যাই হোক, কিছু করার নাই, সব আল্লাহর ইচ্ছা, আমরা বান্দারা কি করবো! আজ অফিসে ফেরার পথে কাকরাইলে কি করে ফিরবো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম, রিক্সা, বাইক মটরসাইকেল, বাস সব ভরে ভরে আসছে, কিছুতে উঠার চিন্তাও করা যাচ্ছে না! কাকরাইল বিজয় নগর হয়ে পলটনের দিকে বিশাল যানযট! ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মানুষ দেখছিলাম! কয়েকটা অব্জারভেশন -
; ঢাকার সচিবালয় সরিয়ে ফেলা উচিত বলে মনে করছি, এই সচিবালয়ের অফিস গুলো পুর্বাচল এলাকায় নেয়া দরকার, মন্ত্রণালয় হচ্ছে সরকারের সিধান্ত নেয়ার অফিস, এখানে যারা কাজ করেন তাদের এই ভীড়ে থাকার কোন মানে হয় না, তাদের ব্রেন কুল এলাকায় থাকা উচিত কারন এরা আপাতত সাধারন মানুষের সাথে কথা না বলেই চলে! আমি আজকে দাঁড়িয়ে দেখলাম, শুধু জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের ষ্টাফদের নেয়ার জন্য প্রায় ছোট বড় দ্বিতল বাস ৩০/৪০টা (তখন বেলা ৪টা), শুধু বিজয়নগর দিয়ে বাস গুলো কাকরাইলের দিকে যাচ্ছিলো, মানে অফিস ছুটির পরে ফিরে যাচ্ছিলো, একই পথে এত বাস, তা হলে অন্যান্ন দিকে কত হতে পারে? বিআরটিসির অনেক গুলো দ্বিতল বাস ছিলো, যাতে পরিপুর্ন ছিলো না, বলা চলে খালিই। সচিবালয়ে কিছু অফিস রেখে বাদ বাকী অফিস (যারা অভ্যন্তরীণ কাজ করে) দূরে নেয়াই ভাল। সচিবালয় ঘিরে সকাল বিকেলের এই ভীড় অনেকেই লক্ষ করে থাকবেন।

; মেট্রোরেল কমলাপুর থেকে দ্রুত চালু করা দরকার এবং কমলাপুর চালু হলেই মেট্রোরেল লাভবান হয়ে যাবে বছরেই।

; মতিঝিল দিল্কুশার পুরানো বিল্ডিং ভেঙ্গে ১০০/১২০ তলার কয়েকটা বিল্ডিং বানানো উচিত! তা না হলে অন্তত সব বিল্ডিং ৩০/৩৫ তলা এবং ১০০০ বর্গফুটের অফিস হিসাবে মাঝারি ব্যবসাহীদের আশ্রয় দেয়া উচিত।

; সারা শহরে প্রচুর বড় বিল্ডিং আছে, যার ৩০/৪০ ভাগ খালি, এইগুলোর ভাড়া দেয়ার জন্য মালিকদের চাপ দেয়া উচিত, ন্যায় ভাড়া নির্ধারন করা উচিত, এতে এলাকার মানুষ এলাকায় ব্যবসা করতে পারে।

; কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন, শান্তিবাগ সহ নানান এলাকায় বেশ বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে ধীরে, এদের টাইম বেধে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা উচিত। এই সকল বিল্ডিং এর নিচ দিয়ে হেঁটে যেতে ভয় হয়!

; কাকরাইল শান্তিনগর এলাকায় গত কয়েক বছর আগেও তেমন হাস্পাতাল/ডায়াগনাষ্টিক সেন্টার ছিলো না (পপুলারের একটা শাখা ছাড়া), এখন এই এলাকাতে পরিপূর্ন ৪/৫টা হাস্পাতাল/ডায়াগনাষ্টিক হয়ে গেছে এবং অচিরেই এই এলাকাও গ্রীন রোডের মত হয়ে যাবে, অবশ্য সারা ঢাকাই এখন হাস্পাতালের নগরী। ওহ, বলতে ভুলে যাচ্ছি, শান্তিনগরে পপুলার ডায়াগনাষ্টিক মনে হয় দেশের সব চেয়ে বড় সেন্টার খুলতে যাচ্ছে, কাজ চলছে পুরাদমে, অনেকে জানেন না, তবে আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, রাজারবাগ পুলিশ গেইট থেকে শান্তিনগর একটা বিরাট ডায়গনাষ্টিক হাব হবেই, দেখিয়েন এবং এটা পপুলার ডায়াগনাষ্টিকই বানিয়ে দিবে, যেমন বানিয়েছে ধানমন্ডির সিটি কলেজের সামনে থেকে!

* আলাদা একটা বিষয়ঃ বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর মেয়েদের কাকরাইলে বাসে উঠার চেষ্টা করতে দেখলাম, এরা মনে হয় চাকুরীজীবি, বাসের পর বাস যাচ্ছিলো, উঠতে পারছিলো না, দুই একজন পুরুষের মত ঢেলেই চেষ্টা করছিলেন। এদের দেখে আফসোস হচ্ছিলো, দেখে শুনে এরা সময় মত কাউকে বিয়ে করে ফেলেল, আজ এত কষ্ট করতে হত না! কি বোকাই না! এত সুন্দর মেয়েদের কেন চাকুরী করতে হচ্ছে! হয় রে সমাজ! (এখানে নারী বন্ধুরা এখন বলতে পারেন, উদরাজী ভাই বিবাহ ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন না!)

বিশেষঃ মুলত একটা রাষ্ট্র পরিচালিত হয় রাষ্ট্র প্রধানের দূরদৃষ্টির বা দৃঢ় চিন্তার উপর, সেটার অনুপস্থিতিতে যা বিশ্রী তাই হয় বা হচ্ছে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০২

নিবারণ বলেছেন: ঢাকায় যারা একবার থাইকা অভ্যাস করে, তাগোরে পাছায় লাথি দিয়াও বাইর করতে পারবেন না। যতই জাহান্নাম হউক গিয়া। এনেই থাকব। আমারে য্যামন পারব না।

আর পুরা দেশের সবচাইতে মার্কা মারা রাস্তা হইল গিয়া, কুড়িল-বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ-শান্তিনগর-কাকরাইল-গুলিস্তান। রাস্তাত খালি শান্তি আর শান্তি।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: যারা বিয়া করে এই শহরে বউ নিয়া ৬ মাস কাটাইছে তারেই আর গ্রামে নিতে পারবেন না! তার বউ কিছুতেই রাজী হবে না, প্র্যজনে তারে তালাক দিয়া দিবো, এই ভয়ে অনেকে তার স্ত্রীর সাথে এই কথা আলাপও করতে পারে না! আমি বসুন্দরা এলাকায় যেতে চাই, তাও রিজেক্ট বাই মাই ওয়াইফ, গ্রাম উপজেলা তো দুরের কথা! বলার সাহসও নেই! হা হা হা

আমি থাকি মালিবাগ রেইল্গেইট এলাকাতে! হা হা হা

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: নিবারণ বলেছেন: ঢাকায় যারা একবার থাইকা অভ্যাস করে, তাগোরে পাছায় লাথি দিয়াও বাইর করতে পারবেন না।

# ঠিক বলেছেন।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যা যা বললেন, সঠিক কথা বলেছেন।
এগুলো বাস্তবায়ন করবে কে? দুই মেয়রের কাছে এগুলো আশা করা বোকামি। এরা দুইজন সামান্য ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পারেনি। সত্যি কথা বলতে ঢাকা শহরের গজব অবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.