নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ বিল্টু ভাই

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০

গতকাল মহল্লার কয়েক বছরের বড় এক ভাইয়ের সাথে দেখা। তিনি পেশায় ডাক্তার, সরকারী চাকুরী করেন, সপ্তাহে দুইদিন ঢাকার বাইরে চেম্বার করেন। আগে এক সময়ে অনেক আড্ডা দিয়েছি এখন তেমন দেখা হয় না, কদাচিৎ। গতকাল শুক্রবারের দুপুরের পরে দেখা, জুম্মার নামাজের পরে।

; কি খবর বিল্টু ভাই, অনেকদিন দেখি না, কেমন আছেন?
- তোরা কেমন আছিস?
; এই তো, আমাদের দিন যাচ্ছে, সেই আগের মতই। তবে বড় ছেলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, এতে টেনশন বাড়ছে।
- কোথায়?
; নর্থ সাউথ।
- মাশাআল্লাহ। অনেক টাকার ধাক্কা!
; ভাবী ও আপনার সন্তানেরা কেমন আছে? (তিনি দুই মেয়ের জনক আগেই জানি)
- আছে, তারা তাদের মত আছে, ভাল।

বিল্টু ভাই মেধাবী ছিলেন, মানুষ হিসাবেও অমায়িক। সেই পুরানো দিনের আড্ডা নিয়ে কথা হচ্ছিলো, আমরা কে কি করতাম, কোথায় সন্ধ্যা হলে আড্ডা দিতাম। সেই সব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিলো। বিল্টু ভাই তখন প্রেম করতেন আমাদের পাশের মহল্লার এক মেয়ের সাথে। আড্ডা থেকে হঠাত কোথায় চলে যেতেন, আবার ফিরে আসতেন, জিজ্ঞেস করলে হাসতেন। আমরা অনেকেই তার প্রেমের কথা জানতাম। আমাকে দুই এক বার সেই প্রেমের কথা বলেছেন, একবার বিল্টু ভাই প্রেমিকার সাথে নারায়নগঞ্জ গিয়েছিলেন, সেইফটি হিসাবে আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি হেসে বললাম!

; সেই নারায়ণগঞ্জের কথা মনে আছে?
- মনে থাকবে না কেন, মাত্র তো ২৫/২৬ বছর আগের কথা! এই সময়ের কথা কি ভোলা যায়! এখনো কি এত বুড়া হয়েছি!

আমরা দুইজনেই হাসি। বিল্টু ভাই সিগারেট ধরালেন, আমাকেও অফার করলেন, বেনসন হোয়াইট। ডাক্তার সাহেবদের সিগারেট টানা আমার কাছে বিরাট রহস্য মনে হয়, উনারা ভাল করে জানেন, সিগারেট মানব শরীরের জন্য কতটা ভয়াবহ, অথচ উনারাই টানেন! এর ব্যাখ্যা দুনিয়ার কেহ দিতে পারবে বলে মনে করি না! যাই হোক, এখানে বলে রাখা ভাল, আমি বিল্টু ভাই প্রসঙ্গে আরে সামান্য জানি, বিল্টু ভাই মাঝে মাঝে গাঞ্জা দিয়ে বানানো সিগারেট টানতেন। এই সিগারেট টানার পরে তিনি বেশ ভাবুক হয়ে যেতেন, তখন শুরু হত দুনিয়ার অধ্যাত্বিক কথা। আমি সেই সময়ে উনার এই জ্ঞান দেখে অবাক হয়ে যেতাম, মানুষ এত জানে কি করে।

; এখনো কি মাঝে মাঝে টানেন নাকি!
- আরে না, বিবাহের পরে আর সেই পথে যাই নাই, সাহসেও কুলায় নাই।
; একদম পুরাই আর ধরেও দেখেন নাই!
- পাস করে ইন্টার্র্নিতে যোগ দিয়ে মনে হয়েছিল, এটা বিরাট অন্যায়, ফলে আর কল্পনাও করি নাই। আর এর পরে তোর ভাবীর সাথে বিয়ে হয়েছিল, ফলে ভাল মানুষ হতে বাধ্য হয়েই ছিলাম। উপার্জন, পরিবার, বাবা মা সব কিছু মিলিয়ে ভিন্ন কিছু আর চিন্তাও করি নাই।

বিল্টু ভাইয়ের সেই সময়ে অনেক আবেগি কিছু কথা এখনো আমার মনে আছে, তিনি বলতেন, পাশ করে ছোট নদীর ধারের কোন গ্রামে চলে যাব, সেই গ্রামে ছোট একটা জায়গা কিনে একটা ডাক্তারখানা বানাবো, ব্যস এভাবে বাকী জীবন যাবে। আমি বিল্টু ভাইকে সেই কথা মনে করিয়ে দিলাম। তিনি হেসে যাচ্ছেন।

; বিয়ে করেই সেই সব ভাবনা আর মনেও রাখতে পারি নাই, ২৫ বছর হেতিরে পাহারা দিয়েই কাটিয়ে দিলাম। এই মায়া থেকে বের হয়ে গ্রামের কথা আর চিন্তাও করতে পারি না।
- কেন, এখনই তো সময় আসছে, মেয়েদের বিবাহ দিয়ে এমন সময় বের করতে পারবেন, গ্রামে চলে যেতে পারবেন।
; হ, এখন কোন পাগলে এমন চিন্তা করে!

(বিল্টু ভাই হাসছিলেন, সাথে আমিও)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আধ্যাতিক কি কথা তিনি বলতেন? গাঁজা কি উনার জ্ঞান বাড়িয়ে দিতো?

২| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



ইহা কি গল্প, নাকি জীবন কাহিনী?

৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:




এটা গল্প হোক অথবা বাস্তব ঘটনা শেয়ার করা হোক, পড়লাম কিন্তু কোথাও যেনো যায়নি হঠাৎ থেমে গেলো।
অসম্পূর্ণ মনে হলো।


৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৭

আরিফ রুবেল বলেছেন: গাজার নৌকা পাহাড়তলী যায়

৫| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম এবং গাজা প্রায়ই একইম জিনিস।
দুটোই মানুষের চিন্তা ভাবনা সীমিত করে দেয়।

৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: আমার হয়েছে উল্টো।বিয়ের আগে গাজা ভাং মদ কিছুই খেতাম না।বিয়ের পর সব কিছুই খেয়েছি।তবে পরিমিত।

৭| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০২

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি হাউকাউ পোষ্ট দিয়ে ( কচ্ছপের ডিম ) কোথায় চলে যান?

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:১৫

জনারণ্যে একজন বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি হাউকাউ পোষ্ট দিয়ে ( কচ্ছপের ডিম ) কোথায় চলে যান?

-- ওহে @ সোনা, সবাই আপনার মতো বেকার নন। কিংবা ব্লগিংকে ফুল-টাইম জব হিসেবে নেননি।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হা হা হা.।.।
বয়স হয়েছে ভাই, লিখা শুরু করে শেষ করতে পারি নাই, উঠে অন্য কাজে লেগে গিয়েছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.