নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যি বলতে, সত্যি লিখতে ভালোবাসি।
আজকাল অনেক দেশেই পড়াশোনার ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে।
ডাক্তারি পড়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ইঞ্জিনিয়ার অথবা ওকালতি পড়ে এডভোকেট হতেই হবে - তরুন সমাজ এই তত্ত্ব বহু আগেই বাদ দিয়ে দিয়েছে.....
ডাক্তার হচ্ছে উপস্থাপক, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইনার, উকিল হচ্ছে সাংবাদিক.......এরকম আরকি।
অথচ এদেশে এরকম ভাবলে ৯৯% ক্ষেত্রেই তাকে পাগল ঠাউরানো হয়। ডাক্তারি পড়ে ডাক্তার বা এমনভাবে প্রকৌশলী/উকিল না হলে চারিদিকে হাসির রোল পড়ে যায়। অথচ আমরা ভাবিনা যে মানুষটা হয়তো এ বিষয়ে পড়েছে, সে হয়তো অন্যবিষয়ে আরও ভালো করতে পারত। "ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-উকিল-ব্যারিস্টার হতেই হবে" - এই নীতির ফাঁদে পড়ে কত যে মেধা নষ্ট হয়ে গেছে তার ইয়ত্তা নেই।
আমি নিজে ঘোরতরভাবে বিশ্বাস করি যে ডাক্তারির চেয়ে প্রানিবিজ্ঞান/ফার্মেসি/ইংরেজি সাহিত্যে আরও বেশি ভালো করতে পারতাম। আমাদের দেশের ভার্সিটির পড়াশোনার কারিকুলাম যতোটা ভালো, মেডিকেলে ততটাই জটিল ও কঠিন করা হয়েছে। একবার এখানে হোচট খেলে তাকে বাক্যবাণে বিধ্বস্ত না করে ছাড়ে না কেউ। ফলে ডাক্তার বের হয়, পূর্বের শিক্ষকদের মত প্রতিহিংসাপরায়ন হয়......সবটাই যায় ছাত্রের ওপর দিয়ে। ভালো ছাত্র খুঁজলেই পাওয় যায়, ভালো শিক্ষক ক'জন হয় যে শিক্ষার্থীকে বুঝতে পারে?
সত্যি বলতে, আমার এভাবে ডাক্তারি করার কোন ইচ্ছেই নেই। বরং ইচ্ছে আছে বেসিক সাব্জেক্টে এম.ফিল. করে শিক্ষক হওয়ার। যে পরিমাণ প্রতিহিংসাপরায়ন টিচার এই মেডিকেলে দেখেছি -- কেউ পলিটিকালি, কেউ চেহারা দেখে, কেউ পান থেকে চুন খসলেই শিক্ষার্থীদের অনেক মানসিক অত্যাচার করেন। আমি এটুকু বলতে পারি, শিক্ষক হলে আগলে রাখব পুরো পুরো ৫টা বছর। মানসিক হোক/ শারীরিক হোক - যেভাবেই অত্যাচারিত হোক.......আমি নাহয় কাউকে পাশে পাইনি - কিন্তু আমার শিক্ষার্থীদের আমি হাত ছেড়ে দেব না জানি প্রাক্টিস না করলে সবাই নানা কথা বলবে, থোড়াই কেয়ার করি
"Tare Jamin Paar" সিনেমাটা ডিস্লেক্সিয়া (অক্ষরজ্ঞানে সমস্যা) পটভূমিতে তৈরি। আমির খান বলেন, "আমার দূর্বল ছাত্রদের হাত আমি ছাড়ি না।"
ঠিক তেমনভাবেই....... তুমি দূর্বল? তুমি পিছিয়ে পড়ছ? তুমি সকলের হাসির পাত্র??
আমি বলব, "চিন্তা করো না, আমিও তোমার মতই ছিলাম। আমার হাত ধরার কেউ ছিল না। কিন্তু তোমার হাত আমি ছাড়ব না। "
আল্লাহ আমাকে ভালো শিক্ষক হওয়ার তৌফিক দিন
২| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৬
বটপাকুড় বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা। আমি জখন বিদেশে এই মাস্টার্স লেভেলে পড়াই, তখন মাঝে মাঝে ডিস্লেক্সিয়া সমস্যার ছেলে মেয়ে পাই। জানেন তাদের জন্য অতিরিক্ত সময় দেয়া থাকে পরীক্ষার জন্য। আমাদের দেশে এটা কল্পনা করা যায়? কত ছেলে মেয়ে শুধুমাত্র প্রপার গাইড্যান্সের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়।
আমার বউ বাংলাদেশের টপ রাঙ্কিং এ সরকারী মেডিক্যাল থেকে পাস করা চিকিৎসক, কিন্তু মাঝে মাঝে দেখি বাংলাদেশের চিকিতসা শিক্ষা এখনো আপডেটেট না। বাইরের বিশ্বের সাথে তাল মেলান শিক্ষা এখনও বাংলাদেশের মেডিকাল এডুকেশন এ চালু হয়নি। আমাদের পাশের দেশের খুব অখ্যাত মদেইকাল গুলোতেও ফার্স্ট ইয়ার থেকে ইউএসএমলি প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে, সেখানে আমরা এখনঅ মধ্যপাচে্যর বাইরে ডাঃ পাঠানোর চিন্তা করিনা।
০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
আগুনে পাখি বলেছেন: আমরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গী অত্যন্ত সংকীর্ণ করে ফেলেছি। এ থেকে বেরিয়ে না এলে হয়তো খেয়ে-পরে বাঁচা যাবে, কিন্তু মুক্তভাবে বাঁচতে পারবো না
৩| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১২:১৭
সহজপাঁচালি বলেছেন: মেডিকেলের কথা জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কথা বলতে পারি, যেহেতু আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা অভাগা।
ধরুন, একটা মোটামুটি কঠিন বিষয়। স্যার ক্লাসে পড়াতে এসেছেন। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, স্যার যখন লেকচার শুরু করেছেন তখন যদিওবা দু'একটা প্রশ্ন করে ব্যাপারটা কিছুটা হলেও পরিষ্কার করে নিতে চাচ্ছিলাম কিন্তু সময় গড়াতে শুরু করলেই আমিও বুঝতে শুরু করি স্যার বিষয় ব্যাখ্যার অতলে হারিয়ে যাচ্ছেন এবং আমরা কেউই হয়ত তাকে আর আমাদের ক্লাসরুমের বাস্তব অবস্থার কথা স্মরণ করাতে পারবো না। স্বাভাবিকভাবেই, আর কোন প্রশ্ন করার প্রশ্নই ওঠে না।
কিন্তু সেদিনই ইন্টারনেটে বসে ইউটিউবে দশ কি পনেরো মিনিটের একটা লেকচার দেখে একবারও মনে হয়নি আমি ওই শিক্ষকের সামনে বসে নেই।
যাহোক, শিক্ষকদের ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়। ভালো শিক্ষক অবশ্যই আছেন। আমার প্রিয় শিক্ষকদের কথা আমি সারাজীবন মনে রাখবো আর অবশ্যই খারাপ শিক্ষকদের কথাও।
৪| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১:০৯
মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: শুভ কামনা রইলো।।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:০৪
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।