নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উনত্রিশে এপ্রিল ; মরণ কে খুব কাছ থেকে দেখার দিন।জীবন কে নতুন ভাবে অনুধাবন করার দিন।

উনত্রিশে এপ্রিল

উনত্রিশে এপ্রিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতা (ব্ল্যাক মিরর সিরিজের "ইউ এস এস ক্যালিস্টার" এপিসোড অবলম্বনে)

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

আপনি মনে করেন খুব অন্তর্মুখী স্বভাবের লোক।যেচে গিয়ে কারো সাথে খুব একটা কথা বলেন না।
কেউ যখন এসে জিগ্যেস করে তখনই শুধু আলাপ-আলোচনা সারেন।

আপনি মনে করেন অনেক ট্যালেন্ট কিন্তু শুধু সেটা নিজেই জানেন। বাহিরে খুব একটা প্রকাশ করেন না।এটা মনে করেন, যে ট্যালেন্ট তার ট্যালেন্সি যে কোন উপায়েই প্রকাশিত হবে।এর জন্য কারো কোন অনুকম্পা, আপনার হয়ে প্রচারণা, বড় কোন লোকের কিঞ্চিৎ সহযোগিতা দরকার নেই।

আপনি যে জায়গায় এখন আছেন সে জায়গাটা আসলে আপনার লেভেলের লোকদের জন্য না।আপনি মনে করেন এর চেয়েও ঢের অনেক ভাল জায়গায় আপনার থাকার কথা ছিল।আপনি মনে করেন আপনাকে নিয়ে আলোচনার বাইরে থাকা লোকদের অনেক কিছু দেখানোর আছে।

এগুলা ভাবতে ভাবতে যখন একটা বিশাল সময় পর্যন্ত আপনি কিছুই পাবেন না তখন আপনার আশেপাশের লোকদের দেখিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাটা একসময় নেতিবাচক মোড় নিতে থাকে।সব কিছুতেই আপনার সাফল্যের অন্তরায় হিসেবে আশেপাশের লোকজন, পরিবেশ সব কিছুকেই আপনার বিপক্ষ শক্তি হিসেবে মনে হবে।
মনে হবে সব কিছুকেই দুমড়ে-মুচড়ে একটা উচিত শিক্ষা দেই।

USS Callister
Created by :Charlie Brooker
Director: Toby Haynes
IMDb:8.3
ব্ল্যাক মিরর নামের ৪র্থ সিরিজের ১ম এপিসোড।

চার্লি ব্রুকার।এই লোকটার ব্যাপারে আগে অল্প কিছু বলে নেই;
একাধারে ইনি একজন লেখক,স্ক্রিন রাইটার,টেলিভিশন প্রেজেন্টার।২০১১ সালের ডিসেম্বরে "ব্ল্যাক মিরর" নামের এন্থোলজী সায়েন্স ফিকশন সিরিজটি চ্যানেল ফোর নামের টিভিতে অন এয়ারড হয়। পরে নেটফ্লিক্স সিরিজটির প্রযোজনা স্বত্ত কিনে নেয়। ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যেতে পারে এর অসাধারণ চিত্র প্রতিটি এপিসোডে উনি খুব দক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন।
প্রতিটি এপিই একটা একটার চাইতে দুর্দান্ত। আইএমডিবিতে সব চাইতে কম স্কোর পাওয়া "মেটালহেড" এপিসোড ৬.৭ আর বাকি সব কটা ৮ এর উপরে বা এর কাছাকাছি।

স্পয়লার আছে;
রবার্ট ডেলি একজন টেকনিক্যাল প্রোগ্রামার হিসেবে একটি অনলাইন মাল্টি প্লেয়ার গেইম কোম্পানিতে জব করে যেখানে তার সহকর্মীদের সাথে তার তেমন কোন সম্পর্ক নেই।হাই হোলো পর্যন্তই।যেখানে অন্য সহকর্মীরা একে অপরের সাথে অনেক অনেক মজা বা একে অপরের খোঁজ খবর নেয় সেখানে রবার্ট শুধু তার কাচঁ দিয়ে ঘেরা অফিসেই বসে থাকে।আর সব কিছুই দেখে তার অন্য সহকর্মীরা কি কি করে।এই একাকিত্ব বা তার প্রতি অন্য সহকর্মী দের কম কনসেন্ট্রেশন দেয়া তাকে খুব পীড়া দেয়।
যেহেতু সে একজন গেইম ডেভলপার তার মনে একটা দুস্টু বুদ্ধি খেলে যায়।সে তার বাসায় নিজেই একটা গেইম ডেভলপ করে যেটা মুলত একটা স্পেসশিপ গেইম আর ওই স্পেসশিপের নাম "ইউএসএস ক্যালিস্টার"।

USS Callister এর ক্যাপ্টেন হচ্ছে রবার্ট এবং এই শিপের সর্বময় কর্তা।আর এই শিপের অধিনস্তরা হচ্ছে তার অফিসের সহকর্মীরা।এই গেইম থেকে বের হয়ে আসতে হলে 'এক্সিট গেইম'বলতে হয় সেটা শুধু রবার্ট ই পারে অন্যদের এই গেইম থেকে বেরিয়ে আসার উপায় নেই।রবার্ট এখানে তার সহকর্মীদের ডিএনএ সংগ্রহের মাধ্যমে গেইমে এন্ট্রি করায় সেটা তার সহকর্মী দের ড্রিনকসের ক্যান আইস্ক্রিমের কাপ যেকোনো উপায়ে কালেক্ট করে।শিপে তার সহকর্মীদের ইচ্ছেমত নির্যাতন করে ইবেন সহকর্মী দের সেক্সুয়াল অর্গান ও রিমুভ করে রাখে।ঝামেলা টা শুরু হয় তখনি যখন "শানিয়া লওরি" নামে এক নতুন এম্পলয়ি ওই অফিসে জয়েন করে।রবার্ট তার ডিএনএ সংগ্রহ করে গেইমে এন্ট্রি করে দিয়ে চলে যাওয়ার পর শানিয়া নিজেকে স্পেসশিপে আবিস্কার করে এবং ওইখানে তার সহকর্মীদের দেখার পর তাদের দুর্দশা শুনে বিদ্রোহের প্লেন করতে থাকে।গেইমে ভার্চুয়াল ভাবে থাকা উনাদের কারো পক্ষেই রিয়েলিটির সাথে আসলে কোন যোগাযোগের কোন মাধ্যম থাকেনা সব কিছুই রবার্ট ই নিয়ন্ত্রণ করে।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত শানিয়ার বুদ্ধিতে রবার্ট এর কাছ থেকে অল্পকিছু সময়ের জন্য স্পেসশিপের নিয়ন্ত্রণ ওরা নিয়ে নেয় একপর্যায়ে ব্ল্যাকহোল অতিক্রম করে ভার্চুয়াল যন্ত্রনাময় জীবন থেকে মুক্তি পায়।আর রবার্ট তাদের পিছু পিছু আরেকটা স্পেসযানে করে ধাওয়া করে ব্ল্যাকহোলে এসে পড়লে স্পেসযানটি অকার্যকর হয়ে পড়ে এই অবস্থায় রবার্ট বারবার 'এক্সিট গেইম' বলতে থাকলেও আর সে গেইম থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনা।

রবার্ট ডেলি আসলে ভুমিকায় বলা সেই লোকটার মত।ক্ষমতা পেলে যে কখন কি হয়ে উঠে সেই চিত্রটায় রবার্ট ডেলি।
---ক্ষমতাবান লোকেদের মধ্যে মনে হয় কাঙ্ক্ষিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন উপায়ে শয়তান ভর করে ফেলে।ক্ষমতা র প্রয়োগ ঘটানো বা ক্ষমতাবান হওয়া কোনটাই যেহেতু আমি হতে পারি নাই।তাই এই লেখাটা লেখার আগে তুলনামূলক কোন ক্ষমতাবান ব্যাক্তির সাক্ষাৎকার নেয়া বাঞ্চনীয় ছিল!
--ক্ষমতা কি এটা নিয়ে আমার জব লাইফের প্রথম দিককার একটা ঘটনা দিয়ে এই লেখাটার ইতি টানবো।ক্ষমতা পাওয়ার আগের মানুষের চেহারা যদি ত্রিভুজ অথবা গোলাকার হয়ে থাকে ক্ষমতা পাওয়ার ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই তার চেহারাটি চতুর্ভুজ আকার ধারন করে(চতুর্ভুজ এখানে প্রভাবশালী, হামবড়া,দেখিয়ে দিলাম অর্থে বলা)।

আমি তখন একটা জেলা শহরে ছিলাম। গোপনীয়তার খাতিরে ব্যাক্তির নাম,স্থান লিখলাম না।একটা ইলেকশন হচ্ছিল আমাদের জব রিলেটেড ওইখানকার প্রতিনিধিদের বিভিন্ন কোম্পানির। তো ইলেকশনে আমার মোটামুটি ক্লোজ এক ফ্রেন্ড সেক্রেটারি পদে দাঁড়ালেন। অপোন্যান্ট ও অন্য এক ছেলে দুইজনেই অন্য কোম্পানির প্রতিনিধি। সাভাবিক ভাবেই আমি আমার ফ্রেন্ড কে সাপোর্ট দিচ্ছিলাম।অপোন্যান্ট এর ছেলেটার সাথেও ভাল সম্পর্ক ছিল।ইলেকশনে অপোন্যান্ট ছেলেটি জিতে যায়।পরে ও যখন সবার সাথে হ্যান্ডশেক করতে করতে আমার কাছে আসলো তখন তার চেহারাটি ওই চতুর্ভুজ আকার ধারন করেছিল আর হ্যান্ডশেক করার সময় আমার হাতটাই জোরে একটা ঝাঁকি দিল।
৫-১০ মিনিট আগের কোমল ছেলেটা ও ক্ষমতা পেয়ে তা কিন্তু দেখিয়ে দিতে সময় নিলোনা।

ইহাকেই সম্ভবত ক্ষমতা বলে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সেই ক্ষমতাই আমার নেই।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী বলেছেন: এই টিভি সিরিজটার প্রত্যেকটা এপিসোড একেকটা মাস্টারপিস। এত সুন্দর সুন্দর ইউনিক আইডিয়া দেখে প্রথমে সত্যিই অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। কে জানে, বিজ্ঞানের কল্যানে হয়ত ভবিষ্যতে ব্যাপারগুলো সত্যিও হয়ে যেতে পারে।!

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪২

উনত্রিশে এপ্রিল বলেছেন: হুম।তবে মাস্ট ওয়াচ সিরিজ।তবে এডাল্ট কন্টেন্ট আছে অনেক। আমি যতগুলো সিরিজ দেখেছি এটা ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

উনত্রিশে এপ্রিল বলেছেন: হুম।মাস্ট ওয়াচ সিরিজ।তবে এডাল্ট কন্টেন্ট আছে অনেক। আমি যতগুলো সিরিজ দেখেছি এটা ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

অন্তরা রহমান বলেছেন: ব্ল্যাক মিরর একটা জিনিসই। সুন্দর লিখেছেন। আর প্রাসঙ্গিকও বর্তমানের সাথে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.