নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উননুর

সামাইশি

সময় বয়ে যায়, ক্ষয়ে যায় জীবন, মন, সৃষ্টি, ক্লেদের গ্লানি জমা হোল যত যথাপি ঝরে যায় বৃষ্টি।

সামাইশি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"শয়তানের আয়াত (Satanic Verses)"

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪০



"শয়তানের আয়াত (Satanic Verses)"

"তোমরা কবিদের অনুসরণ করিও না
দ্যাখোনি তাহারা বিভ্রান্তিতে
উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়া বেড়ায়
তাহারা যাহা বলে, তাহা করেনা"
তাহারা যাহা করে, তাহা বলেনা।

তবে কি, কবিরা কখনো দৃষ্টান্ত হইতে পারিবে না!
মুসলমানদের নবী করিম(সা) এর
রাজকবি ছিলেন নাকি আঞ্জা শাহ!,
নবীর(সা) সাথে কাফেলায় আঞ্জা শাহ
যখন কবিতার পংক্তি আবৃত্তি করতেন
তখন নবী(সা) বলতেন, খুব সুন্দর খুব সুন্দর
আরো বলো আরো বলো।

কবি,মনীষী, দার্শনিক, পন্ডিত, নেতা এবং নবীদেরকে
আল্লাহ অশেষ রহমত দান করেছেন,
বিশ্ব ব্রম্মান্ডের অনেক গূঢ় রহস্য
আগেই তিনি তাহাদের মধ্যে প্রোথিত করেন।

নয়তো কবি কাজী নজরুল ইসলাম একশত বছর পূর্বেই
কি করে লিখলেন "বিশ্ব জগত দেখবো আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে"
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কি করে বললেন
"আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমাদের যা কিছু আছে
তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা কোরো",
পাঁচশত বছর পূর্বে কি করে নস্ট্রাডমাস
বর্তমানের ঘটনা সমূহ ভবিষ্যত বাণী করিয়াছিলেন।

আমি কিন্তু কবির পরিচিতি চাই না
কেননা অনেকেই অহমিকায় কবিদের উন্মাদ বলিয়া চিহ্নিত করে,
কিন্তু আমার মধ্যে কে কবিত্ব সেঁধে দিলো
আমি তো চরণে চরণে যাহা লিপিবদ্ধ করি
তাহা আমার মস্তিস্ক প্রসূত, দেখে দেখে লেখা নয়
মাঝে মাঝে তো মনে হয় কেহ আমার কানে উচ্চারণ করে চরণ সমূহ
তাই ভালো মন্দ যাহা কিছু উত্সারিত
উত্স নয় নিজের, বরং অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা।

কবিরা অন্তত: নিজে কিতাব রচনা করিয়া
বলেনা "ইহা আল্লাহর নিকট হইতে বিধান"
আমাদের নবী করিম (সা) ও কি একজন কবি ছিলেন!
কখনই কি ভাবিয়া দেখিয়াছ মন
একজন নিরক্ষর মানব, ঊষর মরুভূমিতে বসবাসকারী
গুগল, ইন্টারেনট, টেলিফোন, রেডিও, সংবাদপত্র
ব্যতিরেকে বিশ বছরে ১১৪ টি সূরা সংকলিত করলেন
কে তাহাকে ইথারে তাহা প্রোথিত করিলেন?

তাই যদি হয়, তবে কি জগতের মহান কবিরা
অন্য উত্স হইতে প্রোথিত হন,
হইতে পারে তাহা শয়তানের নিকট হইতে
আসলে কি তাহা সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য!
যদিও রাসূলের নিকট নাকি
শয়তান হইতে একটি আয়াত নাযিল হইয়াছিলো,
পরে রাসূল তাহা বাতিল করিয়া দেন।

যাহা সালমান রুশদীর স্যাটানিক ভার্সেসের মূল উপজীব্য।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

হাবিব বলেছেন: অনেক জ্ঞান গর্ব পূর্ণ কবিতা, ভালো লাগলো। কিন্তু কবিতার নাম নিয়ে আমার আপত্তি আছে। আমার কাছে নামের সাথে কবিতার বিষয় বস্তুর মিল ছিলো না। তবে আপনি যদি নাম করনের সারকথা বুঝিয়ে বলেন তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৩

সামাইশি বলেছেন: লেখকের সাথে পাঠকের মতপার্থক্য হতেই পারে, আমি তা সানন্দ চিত্তে গ্রহণ করি। তবে একমত হতেই হবে তা নয় কিন্তু।
লেখাটার নামকরনের ব্যাখ্যা দিতে গেলে অনেক বড় পরিসরে লিখতে হবে, তার জন্য সময় ও ধৈর্য্য আমার খুব একটা
নাই। সংক্ষেপে বলি আপনি যদি খুব ভালো করে লেখাটার চরণে চরণে খেয়াল করেন, তবে নামকরণের সারবত্তা খুঁজে পাবেনা।
অবশ্য আপনাকেও একটু সন্নিবেশিত তথ্য সম্বন্ধে জ্ঞাত থাকতে হবে। আশা করি কিছুটা হলেও হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছেন।
আপনার মতামতের জন্য আমি প্রীত অনুভব করলাম। শুভ কামনা রইলো।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
মুহাম্মদ নবী বলেছেন,
ইন্না মিনাশ শিয়রি লাহিকমাহ (নিশ্চয়ই কিছু কাব্য হয়ে থাকে গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞাপূর্ণ।)। __আল হাদিস



কবিতায় কবিতায় সব বলে দিলেন,
ভালোলাগা সকল প্লাস++...

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৫

সামাইশি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। অসংখ্য অসংখ্য শুকরিয়া আপনাকে। মহান আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল কথাগুলো সহজ সরলভাবে বোঝা মুশকিল

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২২

সামাইশি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। অপমার মোতে সহজ করেই কিন্তু বুঝে নিতে পারেন।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২২

সামাইশি বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

সাহিদুর রহমান তুর্য বলেছেন: ভালো লেগেছে ভীষন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২৩

সামাইশি বলেছেন: হৃদয়ের গভীর থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার হয়েছে কবিতাটা, কিন্তু নামকরণ ভালো লাগেনি!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২৫

সামাইশি বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নামকরণে আপনার মতের ভিন্নতা খেয়াল করলাম।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন:


তিলকাল ঘারানি-উল উলা ওয়া ইন্না শাফা-আতাহুমা লাতুরজা।


এজন্যই আমি বলি প্যাগান গড

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৩১

সামাইশি বলেছেন: আরবীতে আমার পারঙ্গমতা নাই মহাশয়। আপনার জানার সাথে সবাইকে অংশী করুন। কবিতাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:২৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কবিতাটি চরম হয়েছে | রাডারটাকে উপরে তুলতে হলো বোঝার জন্য | +++

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৩

সামাইশি বলেছেন: কি জানি আপনি কোন দৃষ্টিতে বুঝেছেন। যাই হউক আপনাকে কবিতাটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটাই ছিলো সেই আয়াত যেখানে ঘারানিকের নাম নবী সাহেব উল্লেখ করেন

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯

সামাইশি বলেছেন: আপনার বক্তব্য আমার বোধগম্য নয়।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

মহসিন ৩১ বলেছেন: আমি যা বুঝি সেটা কখনোই গুরুত্তপুরন হয় না। এর কারন হচ্ছে মানুষের রাসায়নিক ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা, এবং প্রান রসায়নের জটিলতা। অর্থাৎ মানুষের সমস্ত কাজ কর্মকেই মুহূর্তেই ভানিশ করে দেয়া যায়--- এটাও 'অনেকটাই' রাসায়নিক ব্যাপার -- ভৌত কোন কিছুর অংশ খুব কম।

নবীদের পরিচয় এক জিনিষ ; আর এটাকে ভাঁড়ামি প্রমান করার যোগ্যতা হল জাস্ট অন্য আরেকটা জিনিষ। ---এখন মানুষ যেভাবে তার কাজ টা 'করে ও করবে' তাতে কি কি বিষয়ের প্রাধান্য থাকে সেটাকে যাচাই করা যায় 'আজকাল' খুব সহজেই। ---এবং এইসব যাচাই বাছাইএর হাত থেকে কোন পরিত্রান আজ তক 'ডিভাইস' করা যায় নাই। রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়ার কারণগুলো তো অধরাই থেকে গেছে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

সামাইশি বলেছেন: মন্তব্য থেকে আপনার মনের জটিলতা অনুধাবন করছি। অহেতুক ঋনাত্বক ভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন, যদিও আমার লেখার
সারবত্তা তা নয়। তবে পাঠক টেনে টুনে তা করলে তা লেখকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। খোদা আপনার ভালো করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.